সাক্ষাৎকার

হালাল প্রসাধনী বিপণনের উর্বরভূমি বাংলাদেশ : গাজী সানাউল্লাহ রাহমানী

তরুণ আলেম ও মিডিয়া ব্যাক্তিত্ব গাজী সানাউল্লাহ রাহমানী। বাংলাদেশে টেলিভিশনের দর্শক- শ্রোতাদের কাছে জনপ্রিয় একটি নাম। বিগত এক দশকের বেশি সময় ধরে বাংলাদেশের স্যাটেলাইট চ্যানেলে ইসলামী অনুষ্ঠানসমুহে সরব অংশগ্রহন করে আসছেন তরুণ এই স্কলার। কাজের সিকৃতি হিসেবে সন্মানিত হয়েছেন সাউদি সরকারের বিশেষ মেহমান হিসেবে আমন্ত্রিত হয়ে।পেয়েছেন পবিত্র কাবার মহামান্য ইমামের পক্ষ থেকে শুভেচ্ছা ক্রেষ্ট। এছাড়াও পেয়েছেন জাগৃতি লেখক ফোরাম সম্মাননা। কোরআন-সুন্নাহ মাল্টিমিডিয়া সন্মাননা। শাহে মদিনা শিল্পী গুষ্ঠি সন্মাননা। মারকাযুত তাহফিজ মিডিয়া পদক। ঐশিস্বর মিডিয়া পদক। ঢাকাস্থ সাউদি দুতাবাসের ধর্মীয় অনুষদ কর্তৃক দায়ী ও খতিব সন্মাননা সনদ। বাংলাদেশ সরকারের ধর্ম মন্ত্রনালয়ের অধীনে ঢাকা হজ ক্যাম্পের হজ প্রশিক্ষক হিসেবে নিয়োজিত আছেন।  সাধারণ মানুষের মাঝে ইসলামী অনুশাসনের ব্যাপক প্রচারের লক্ষ্যে কাজ করছেন নানাবিধ প্রতিষ্ঠানে। তরুণ ও অভিজ্ঞ শরিয়াহ বিশেষজ্ঞদের নিয়ে প্রতিষ্ঠা করেছেন শরিয়াহ রিসার্চ ইনস্টিটিউট বাংলাদেশ। ইসলামী অর্থনীতি ও হালাল প্রসাধনীর বিষয়ে শিকড়ের গভীরে গিয়ে কাজ করছে তিনি। সম্প্রতি ভারতে অনুষ্ঠিত আন্তর্জাতিক ফেকাহ সেমিনারে বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করে প্রশংসিত হয়েছেন। হালাল প্রসাধনী বিষয়ে তার লেখা ও গবেষণা সম্প্রতি আলোচনার সৃষ্টি করেছে। এ বিষয়ে তার সাথে বিস্তারিত কথা বলেছেন ওয়ালিউল্লাহ সিরাজ

ইসলাম প্রতিদিন : হালাল প্রসাধনীর অপরিহার্যতা নিয়ে সম্প্রতি আপনারা কথা বলছেন। বিষয়টি বিস্তারিত জানতে চাই। 

গাজী সানাউল্লাহ রাহমানী : হালাল আল্লাহ পাকের পক্ষ থেকে একটা ফরজ বিধান। এটা মানা প্রতিটি মুসলিম নরনারীর উপর আবশ্যক। এই হালালেই রয়েছে সার্বজনীন কল্যাণ ও সফলতা। প্রশ্ন হতে পারে, হালাল কি কেবল মুসলমানদের জন্য আবশ্যক। সে ক্ষেত্রে আমাদের উত্তর হবে, না। হালাল বিষয়টি কেবল মুসলমানদের জন্যই নয়। বরং প্রতিটি সচেতন মানুষের জন্য পণ্যটি হালাল হওয়া অবশ্যক। কারন আল্লাহ পাক যেমন রব্বুল আলামিন। রাসূল যেমন রাহমাতুল্লিল আলামিন। তেমনি কোরআন হল, গোটা মানব জাতির দিকনির্দেশনা। আলোকিত রাহনুমা ও সিরাতে মোস্তাকিম। এ জন্য হালালেই বরকত। হালালেই শান্তি। হালালেই জীবন ও জীবিকার প্রশান্তি। এ কারনেই সারা পৃথিবীতে অনেক অমুসলিমও পণ্য ক্রয়ের ক্ষেত্রে হালাল পণ্য বা হালাল কসমেটিক্স ব্যবহার করছেন। যাতে করে স্কিনে ক্যান্সার হওয়ার ঝুঁকি না থাকে। মূল কথা হচ্ছে, নিজের শরিরকে নিরাপদ রাখার জন্যই এই হালাল পণ্য বা কসমেটিক্স ব্যবহার করছেন। একজন অমুসলিম যদি কেবলমাত্র দুনিয়ার নিরাপত্তার জন্য হারাম বর্জন করে হালালের স্নিগ্ধ ছায়ায় আশ্রয় খুঁজতে পারে আমরা মুসলিম হয়ে কেন এ বিষয়ে উদাসীন হয়ে আছি! হালাল ও হারামের বিষয়ে রসুলে আকরাম সা: একটি সুস্পষ্ট ও অবিসংবাদিত ঘোষণা দিয়েছেন। নবিয়ে দুজাহান সা: এরশাদ করেন, যা হালাল সেটিও সুস্পষ্ট আর যেটা হারাম তাও সুস্পষ্ট। নবীজির এই ঘোষণার পরে একজন মুসলমানের জন্য হালাল ও হারামের বিষয়ে দোদুল্যমানতার কোন সুযোগ নেই। আপসকামিতার কোন সুযোগ নেই।

ইসলাম প্রতিদিন : প্রসাধনী হালাল হওয়াটা কতটা আবশ্যক?

গাজী সানাউল্লাহ রাহমানী : ধন্যবাদ আপনাকে। একটি প্রয়োজনীয় প্রশ্ন করার জন্য। প্রসাধনী আজ আমাদের প্রতিদিনের একান্ত প্রয়োজনীয় বিষয়। প্রসাধনী এখন কেবল নারীদের জন্যই নির্ধারিত নয়। বরং স্বাস্থ্য সচেতন পুরুষ, শিশু, কিশোর যুবক এক কথায় প্রায় সকলেরই একান্ত প্রয়োজন। কিন্তু এই অতিব জরুরী প্রসাধনীটির ক্ষেত্রে তখনি আমরা থমকে যাই, যখন শুনি, আমার প্রিয় ক্রিম বা স্নো অথবা পবিত্রতা অর্জনের অন্যতম মাধ্যম সাবানটি তৈরী হচ্ছে হারাম এবং নাপাক বস্তু দিয়ে। অথবা নিকৃষ্ট কোন পশুর চর্বি দিয়ে। তাহলে কি আমরা প্রসাধনী ব্যবহার করবো না! নাকি হারামের সংমিশ্রণ ব্যতীত কোন প্রসাধনী তৈরি করা যায় না! অথচ বাস্তবতা হল বাজারি কিন্তু সম্পূর্ণ হালাল উপাদানের প্রসাধনীও আছে। একটু সচেতন হলেই আপনি হারাম বা সন্দেহযুক্ত প্রসাধনীর পরিবর্তে সম্পূর্ণ হালাল উপায়ে প্রস্তুতকৃত প্রসাধনী ব্যবহার করতে পারছেন। এরচে বড় কথা হল, এখন বিশ্বের প্রায় সবগুলো আন্তর্জাতিক কসমেটিক্স প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান মুসলিমদের কথা চিন্তা করে সম্পূর্ণ হালাল উপাদানের সংমিশ্রণে তৈরী মান সম্পন্ন প্রডাক্ট বাজারজাত করছে। আমরা সেই সচেতনতা বৃদ্ধি করতে চাচ্ছি।

ইসলাম প্রতিদিন : একটি পণ্যের গায়ে যখন হালাল লেখা ট্যাগ থাকে তখন কি সেটি সম্পূর্ণ হালাল নয় ?

গাজী সানাউল্লাহ রাহমানী : বর্তমান সময়ের অনেক আলেম ও শরিয়াহ বিশেষজ্ঞদের ভাষ্য মতে, পণ্যের গায়ে হালাল ট্যাগ থাকলেই এটি হালাল হওয়ার ব্যাপারে যথেষ্ট নয়। কারন হালালের দুটি ব্যাখ্যা আছে। বিষয়টি পরিষ্কার হওয়ার জন্য একটি উদাহরণ দেয়া যেতে পারে । ধরুন। কোন একটি সুপারসপ থেকে আপনি প্যাকেটজাত একটি মুরগি কিনলেন। বর্তমানে শহর বা উপশহরগুতে প্যাকেটজাত মাংসের চাহিদা ক্রমশ বৃদ্ধি পাচ্ছে। এখন এই মুরগির প্যাকেটের গায়ে যদিও হালাল লেখা থাকে তবে এই হালাল লেখা ট্যাগ পণ্যটিকে সম্পূর্ণ রূপে হালাল হিসেবে গণ্য করবে না। যতক্ষণ না একথা সুস্পষ্ট ভাবে জানা যাবে যে, এই মুরগিটি আল্লাহর নামে যাবেহ করা হয়েছে। তার মানে হল, একটি প্রাণী হালাল হতে হলে দুটি শর্ত আবশ্যক। এক, প্রাণীটি হালাল হওয়া। এবং দুই প্রাণীটি আল্লাহর নামে যাবেহকৃত হওয়া। এই দুই শর্তের যে কোন একটি না থাকলে, মাংশ জাতীয় কিছু খাওয়া মুসলমানদের জন্য হালাল নয়। অবশ্য ভুলবশত বিসমিল্লাহ ছুটে গেলে সেটি ইমামে আজম আবু হানিফা র: এর মতে জায়েজ।

ইসলাম প্রতিদিন : আন্তর্জাতিক বাজারে হালাল পণ্যের চাহিদা কেমন?

গাজী সানাউল্লাহ রাহমানী : আন্তর্জাতিক বাজারে হালাল পণ্যের চাহিদা ব্যাপক এবং দিনদিন সেই চাহিদা বৃদ্ধি পাচ্ছে।বিখ্যাত সংবাদ সংস্থা সিএনএন মানির ভাষ্য অনুযায়ী, চীনা বাজারে বাণিজ্য কমে যাওয়ায় দক্ষিণ কোরিয়ার বৃহত্তম প্রসাধনী কোম্পানি অ্যামোরপ্যাসিফিক গ্রুপ এশিয়ায় নতুন বাজার সৃষ্টির পরিকল্পনা করছে। এ লক্ষ্যে কোম্পানিটি এশীয় বাজারে মুসলিম ক্রেতাদের আকৃষ্ট করার মতো পণ্য আনতে চাইছে। এজন্য তারা হালাল সার্টিফিকেটের মতো বিষয়েও জোর দিচ্ছে। সম্প্রতি এক সংবাদে জানা যায়, বিগত বছরের জুনে অ্যামোরপ্যাসিফিক গ্রুপের খুচরা বিক্রি ৪০ শতাংশ কমে যায়।

লেনেইগে, সোলওয়াশো ও ইনিসফ্রির মতো শীর্ষস্থানীয় মেকআপ ব্র্যান্ডের স্বত্বাধিকারী কোম্পানি অ্যামোরপ্যাসিফিক গ্রুপটি এখন চীনের ক্ষতি পুষিয়ে নিতে প্রতিবেশী দেশগুলোয় ব্যবসা প্রসারের ছক কষছে। যার ধারাবাহিকতায় আগামী ২০২০ সালের মধ্যে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় বিক্রয় তিন গুণ বাড়াতে চাইছে তারা। অ্যামোরপ্যাসিফিক গ্রুপের জ্যেষ্ঠ ভাইস প্রেসিডেন্ট জেনিফার রহো সিএনএন মানিকে এ প্রসঙ্গে জানান, ‘আমরা আরো অনেক বৈচিত্র্য আনতে যাচ্ছি। উদাহরণ হিসেবে বলা যায়, অনেক মুসলিম নারী পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের আগে তাদের মুখাবয়ব পরিষ্কার করে। এ বিষয়টি মাথায় রেখে নতুন ফেসওয়াশ ও হালকা মেকআপ বাজারে আনা হবে।’

তিনি আরো বলেন, বাজার গবেষণায় দেখা গেছে, দক্ষিণ কোরিয়ার তুলনায় মুসলিম নারীরা ভিন্ন ধরনের মেকআপ ব্যবহার করে। যেমন— হিজাব পরিহিতা মুসলিম নারীরা গাঢ় রঙের লিপস্টিক ও সবুজ আইশ্যাডো পছন্দ করে; আর দক্ষিণ কোরিয়ার নারীদের ভালো লাগে হালকা গোলাপি রঙের লিপস্টিক।’ ক্রেতা পছন্দের পাশাপাশি আবহাওয়া ভিন্ন থাকায় পণ্য তৈরিতে ব্যাপক ভিন্নতা আনতে হবে।

সিএনএন মানির সংবাদে আরও জানা যায়, দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় ব্যবসা প্রসারের অংশ হিসেবে মালয়েশিয়ায় একটি নতুন ম্যানুফ্যাকচারিং কারখানা এবং এ অঞ্চলে আরো নতুন করে ১৫০টি শাখা চালুর পরিকল্পনা  নিয়েছে অ্যামোরপ্যাসিফিক গ্রুপ। বর্তমানে এশীয় অঞ্চলে কোম্পানিটির ২৫০টি শাখা রয়েছে। এছাড়া হালাল সার্টিফিকেটের জন্যও আবেদন করা হবে বলে জানিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি। এর ফলে কোম্পানিটির তৈরি পণ্যে শূকর এবং অ্যালকোহলের মতো কোনো উপাদান ব্যবহার করা হয়নি বলে মুসলিম ক্রেতাদের আশ্বস্ত করা সম্ভব হবে। ব্যবসা প্রসারের জন্য এরই মধ্যে মুসলিম নারী ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রভাব বিস্তারকারীদের সঙ্গে যোগাযোগ শুরু করেছে কোম্পানিটি। এর মধ্যে মালয়েশিয়ার লাইফস্টাইল ব্লগার নিসা কেই অন্যতম। এ সকল সংবাদের আলোকে আমরা বুঝতে পারি আন্তর্জাতিক বাজারে ক্রমশই হালাল পণ্যের চাহিদা ব্যাপক হারে বৃদ্ধি পাচ্ছে।

ইসলাম প্রতিদিন : হালাল পণ্য উৎপাদন ও বাজারজাত করনের বাংলাদেশের অবস্থান নিয়ে আপনার মতামত জানতে চাই?

গাজী সানাউল্লাহ রাহমানী : হালাল পণ্য উৎপাদন ও বিশ্বব্যাপী বাজারজাত করনের ক্ষেত্রে বাংলাদেশ একটি সম্ভাবনাময় পর্যায়ে আছে। সম্প্রতি একটি বেসরকারি গবেষণায় দেখা গেছে, মুসলিম বিশ্বে কসমেটিক্স বা প্রসাধনী ব্যবহারে বাংলাদেশ এখন ষষ্ঠস্থানে অবস্থান করছে। এই জরিপ টি বেশ ক বছর আগের। বাজার পর্যবেক্ষণ এবং মানসম্পণ্য হালাল প্রসাধনী উৎপাদনে বিশেষ দৃষ্টি দিলে বিশ্ব বাজারে আমাদের অবস্থান ঈর্ষণীয় পর্যায়ে উন্নীত হতে পারে। এ ক্ষেত্রে যথাযথ মহলের পদক্ষেপ গ্রহণ একান্ত কাম্য । আন্তর্জাতিক বাজার গবেষক দেলত্তি তমাতসু সম্প্রতি এক প্রবন্ধে উল্লেখ করেন, গত এক বছরে হালাল পণ্যের বিক্রির হার ১৯ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। ২০১৫ সালে মোট বিক্রীত হালাল পণ্যের মধ্যে শুধু প্রসাধনী বিক্রির হার ১১ শতাংশ। নগদ আর্থিক মূল্যে তা এক ট্রিলিয়ন ডলারের অধিক। মালয়েশিয়ায় বেশ কিছুদিন আগেই স্থানীয়ভাবে বেশকিছু কোম্পানি হালাল পণ্য উৎপাদন করা শুরু করেছে। সে বাজারগুলোই ধরতে চাইছে বিশ্বের খ্যাতনামা কোম্পানিগুলো। জার্মানের বিখ্যাত প্রসাধনী কোম্পানি ল’রিয়েলের পক্ষ থেকে বলা হয়, ‘হালাল’ হলো একটি উচ্চপর্যায়ের স্বীকৃতি, যেটা নিশ্চিত করে যে পণ্যটি ইসলামি শারিয়াহ অনুসারে উৎপাদিত হয়েছে। এর মানে হলো, পণ্যগুলোর মধ্যে শূকর, অ্যালকোহল এবং রক্তজাতীয় কোনো পদার্থের মিশ্রণ নেই। পরিষ্কার এবং দূষণমুক্ত। এটি নিশ্চিত করতে পারলে বিশ্বের ১৫০ কোটি মুসলমানের মধ্যে আলাদাভাবে ব্যবসায়িক সুবিধা পাওয়ার একটা সুযোগ আছে। এতে বিশ্বের মোট জনগোষ্ঠীর এক-চতুর্থাংশ পরিমাণ মানুষের মূল্যবোধের প্রতিও সম্মান দেখানো হবে এবং বিশ্বব্যাপী কোম্পানিগুলোর ব্যবসার বিস্তৃতিও নিশ্চিত হবে।

ইসলাম প্রতিদিন : হালাল প্রসাধনী বিষয়ে মুসলিম দেশগুলোর অবস্থান কি? 

গাজী সানাউল্লাহ রাহমানী : পৃথিবীর নানা দেশে বর্তমানে হালাল প্রসাধনীর প্রচলন শুরু হয়েছে। সাবান থেকে নিয়ে লিপিস্টিক পর্যন্ত সব রকমের প্রসাধনীতে সম্পূর্ণ হালাল উপাদানের সংমিশ্রণে মানসম্পন্ন প্রডাক্ট বাজারজাত হচ্ছে। এ বিষয়ে বেশ অগ্রগামী হল ইন্দোনেশিয়া। ইন্দোনেশিয়া মৌলিকধারার একটি মুসলিম দেশ। সেখানে উচ্চমান সম্পন্ন একটি হালাল শরীয়াহ কাউন্সিল রয়েছে, যেটা আন্তর্জাতিক হালাল শরীয়াহ বোর্ডের সাথে সংযুক্ত। ইন্দোনেশিয়াতে সম্প্রতি হালাল প্রসাধনী উৎপাদন ও বাজারজাত শুরু হয়েছে। যারা এই প্রসাধনী উৎপাদন করেন তারা সে দেশের সর্বোচ্চ শরীয়াহ কাউন্সিলের সর্ব প্রকার অনুমোদন নিয়েই প্রসাধনী উৎপাদন ও বাজারজাত করে থাকেন। এবং উৎপাদনের শুরু থেকে বাজারজাত করনের শেষ ধাপ পর্যন্ত ইন্টারন্যাশনাল শরীয়াহ বোর্ডের সার্বিক দিক-নির্দেশনা অনুযায়ী সব কিছু পরিচালনা করেন ।

ইসলাম প্রতিদিন : বাংলাদেশে পণ্যের শরিয়াহ’র মান নির্ধারণে কারা কাজ করছেন এবং এ বিষয়ে আপনার মূল্যায়ন কি?

গাজী সানাউল্লাহ রাহমানী : বাংলাদেশে পণ্যের শরিয়াহ’র মান নির্ধারণে সরকারিভাবে কাজ করছে ইসলামিক ফাউন্ডেশন। চট্টগ্রাম ভিত্তিক একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানও কাজ করছে বলে জেনেছি। তবে আমার মনে হয়, সরকারি উদ্যোগের পাশাপাশি বেসরকারি যে সকল শরিয়াহ গবেষণা প্রতিষ্ঠান আছে এগুলোর সমন্বয়ে একটি শক্তিশালী শরিয়াহ বিশেষজ্ঞ টিম গঠন করা যেতে পারে। তাহলে কাজের ক্ষেত্রে নতুন মাত্রা আসবে। ইন শা আল্লাহ।

Comment

লেখক পরিচিতি

ওয়ালি উল্লাহ সিরাজ

ওয়ালি উল্লাহ সিরাজ। তরুণ লেখক। আলেম ও গবেষক। দীর্ঘদিন যাবত দেশের বিভিন্ন জাতীয় দৈনিক ও অনলাইন নিউজপোর্টালে লিখছেন। কাজ করেছেন সুনামধন্য কয়েকটি অনলাইন নিউজ পোর্টালে।
বর্তমানে এই তরুণ লেখক আমাদের সময়.কম অনলাইন নিউজ পোর্টালের সহ-সম্পাদক হিসেবে কাজ করছে। পাশাপাশি দায়িত্ব পালন করছেন দৈনিক বাংলাদেশের খবর পত্রিকার ইসলামি বিভাগের।