ফিচার ফিরে আসার গল্প

ইসলামের রীতিনীতি আমাকে মুগ্ধ করেছে : লিন্ডসে লোহান

লিখেছেন তারিক আজিজ

লোহান ডেইলিমেইলকে বলেন, ‘আমি বেশ কিছু দিন ধরে কোরআন নিয়ে গবেষণা করেছি। এখন আমার ধর্মান্তের একটা প্রক্রিয়া চলছে। সব ধর্মের প্রতি আমার সম্মান রয়েছে… । ইসলাম একটি সুন্দর ধর্ম এবং আমি একজন অত্যন্ত ধর্মপরায়ণ ব্যক্তি। আমার কাছে ইসলাম এমন কিছু যা আমি অনেকদিন ধরেই খুঁজছিলাম।’ 


হলিউডের বিখ্যাত অভিনেত্রী লিন্ডসে লোহান সম্প্রতি তার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ইনস্টাগ্রামের অ্যাকাউন্ট থেকে নিজের জীবন বৃত্তান্ত মুছে দিয়ে সেখানে ‘আলাইকুম সালাম’ বার্তা পোস্ট করেছিলেন। তার এই বার্তা প্রকাশের পরই চারদিকে চলছে নানা কানাঘুষা, আন্তর্জাতিক সংবাদের শিরোনামও হয়েছে। সেইসঙ্গে জল্পনা-কল্পনা চলছে যে, তিনি ইসলামে ধর্মান্তরিত হয়েছেন এবং তা অনেকের মাঝেই ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি করেছে।  এমন একটি পরিস্থিতিতে লোহান তার নীরবতা ভাঙলেন। প্রকৃতপক্ষে তিনি শুধু ইসলাম নিয়েই মুখ খোলেন নি, একই সঙ্গে এটিকে স্বাগতও জানিয়েছেন।

এদিকে  নব্য আমেরিকা প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের মুসলিম ও অভিবাসনের ওপর  নিষেধাজ্ঞা নিয়ে লিন্ডসে তার নিজের ভয় প্রকাশ করে বলেন, ‘ইসলামের প্রতি নিজের দুর্বলতার কারণেই আমি যুক্তরাষ্ট্রে ফিরতে ‘ভয়’ পাচ্ছি।’ খবর ডেইলি মেইল। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প যখন অভিবাসন ও সিরিয়াসহ ৭টি মুসলিম দেশের নাগরিকদের যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশ নিষিদ্ধের নির্বাহী আদেশ স্বাক্ষর করেন তখন লিন্ডসে লোহান গ্রীস ও তুরস্ক সফর করছিলেন। ট্রাম্পের এ আদেশের বিরুদ্ধে দেশটিতে ব্যাপক বিক্ষোভ সংগঠিত হয়েছে। তিনি বলেন, ‘বাস্তব পরিস্থিতি ও আমার ব্যক্তিগত বিশ্বাসের কারণেই আমি এখানে আসতে ভয় পাচ্ছি।’

তবে, তার সমসাময়িক বন্ধু ও ইন্ডাস্ট্রিতে নিজের সহকর্মীদের কথা ভেবেই এই মুহূর্তে লিন্ডসে উত্তেজনাকর কোন সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন না। অধিকন্তু, তিনি আমেরিকাকে তার সঙ্গে যোগদান করতে আহ্বান জানিয়েছেন।  তিনি বলেন, ‘আমার সবসময় মনে হয় জনসাধারণের চোখ আপনাকে (ট্রাম্প) যাচাই-বাচাই করছে। তিনি প্রেসিডেন্ট- আমাদেরকে তার সঙ্গে যোগদান করতে হবে। আপনি যদি তাকে পরাজিত করতে না পারেন, তাহলে তার সঙ্গে যোগ দিন।’

অন্যদিকে লোহান অনেক দিন ধরেই তুরস্কে বসবাস করছেন। তিনি দেশটিতে সফর করার জন্য প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘আমি মনে করি এই সফরের মাধ্যমে তিনি (ট্রাম্প) তুর্কিদের আতিথিয়তা ও সমর্থণ দেখতে পারবে এবং এটি আমেরিকার জন্য ইতিবাচক হবে এবং এর মাধ্যমে তিনি অনুভব করতে পারবেন, এই দেশের মানুষগুলো কতটা ভালো।’


লিন্ডসে বলেন, ‘ইসলামের প্রতি নিজের দুর্বলতার কারণেই আমি যুক্তরাষ্ট্রে ফিরতে ‘ভয়’ পাচ্ছি।’ প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প যখন অভিবাসন ও সিরিয়াসহ ৭টি মুসলিম দেশের নাগরিকদের যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশ নিষিদ্ধের নির্বাহী আদেশ স্বাক্ষর করেন তখন লিন্ডসে লোহান গ্রীস ও তুরস্ক সফর করছিলেন। ট্রাম্পের এ আদেশের বিরুদ্ধে দেশটিতে ব্যাপক বিক্ষোভ সংগঠিত হয়েছে। বাস্তব পরিস্থিতি ও আমার ব্যক্তিগত বিশ্বাসের কারণেই আমি এখানে আসতে ভয় পাচ্ছি।’


লোহান বলেন, ‘তিনি (ট্রাম্প) এখানে এসে অভিজ্ঞতা নিতে পারবেন কিভাবে তুরস্ক হাজার হাজার উদ্বাস্তুদের আশ্রয় দিয়েছে এবং কিভাবে তাদের স্বাগত জানিয়েছে। প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যেপ এরদোগান অনেক বড় হৃদয়ের মানুষ এবং তার দেশ তার পাশে দাঁড়িয়েছে।’ দেশটিতে সাম্প্রতিক সামরিক অভ্যুত্থান সম্পর্কে কোনো মন্তব্য না করে তিনি কেবল বলেন, ‘আমি মনে করি আমরা সবাইকে এব্যাপারে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।

সূত্র : ডেইলি মেইল , সাউথ লাইভ.কম

Comment

লেখক পরিচিতি

তারিক আজিজ

আমি তারিক আজিজ। ঘুরে-বেড়ানো আমার প্রথম শখ ও আনন্দ। সাংবাদিকতা, লেখালেখি আর উদ্ভাবনমূলক বিষয়কে একীভূত করে নিয়েছি জীবনের সঙ্গে। ছোট্ট একটি মানুষ স্বপ্নবাজ হয়ে ভাবনা-কাজের জগতেই থাকতে ভালবাসি। নির্জন-নির্মল প্রকৃতি আমায় অনেক কিছু শিখিয়ে বেড়ায়। তাই নিরন্তর সৃষ্টির গল্প খুঁজে ফিরি...!

কমেন্টস করুন