আন্তর্জাতিক সংবাদ

বিশ্বের সর্বকনিষ্ঠ চার্টার্ড এ্যাকাউন্ট্যান্ট মুসলিম তরুণী আকসা মাজিদ

বিশ্বের সর্বকনিষ্ঠ চার্টার্ড এ্যাকাউন্ট্যান্ট নির্বাচিত হয়েছেন পাকিস্তানী বংশদ্ভূত মুসলিম তরুণী আকসা মাজিদ মেমন। আঠারো বছর বয়েসি এই নারী বর্তমানে বসবাস করছেন পাকিস্তানের সাকরানে। তাঁর বাবা একজন সাধারণ দোকানী। মেমন জন্মগ্রহণ করেন ১৯৯৯ সালে এবং নিজ শহরেই তার প্রাথমিক শিক্ষা সম্পন্ন করেন। তারপর ২০১৪ সালের আগস্ট মাসে ভর্তি হন এফআইএ কোর্সে এবং ২০১৫ আগস্টের মধ্যেই সম্পন্ন করেন কোর্সটি।

এফআইএ সম্পন্ন করার পর তিনি ভর্তি হন এসিসিএ-তে। ২০১৭ সালের জুলাইয়ের মধ্যেই অবিশ্বাস্য নম্বর পেয়ে সম্পন্ন করেন এসিসিএ। তখন তার বয়েস মাত্র আঠারো চলছে। সাধারণত নব্বই শতাংশ শিক্ষার্থীই এখানে ভর্তি হয় আঠারো বছর বয়েসে, আর সেখানে মেমন তার কোর্সটিই কমপ্লিট করে ফেলেন এ বয়েসে!

ত্রিমাত্রিক নলেজের ওপরে নেওয়া এই পরীক্ষাটি সম্পন্ন করতে নূন্যতম তিন বছর সময় লাগে। আকসা মজিদ মেমন মাত্র ১৮ বছর চার মাস বয়েসের মধ্যেই এটি সম্পন্ন করতে পারায় তিনি হয়ে যান বিশ্বের সর্বকনিষ্ঠ চার্টার্ড এ্যাকাউন্ট্যান্ট। তবে বিগত বছরগুলোতে তাকালে দেখা যায়, ভারতীয় বংশোদ্ভূত রামকুমার রুমান আঠারো বছর আটমাসে উল্লিখিত কোর্সটি সম্পন্ন করেন। কিন্তু মেমন সেটিকে আঠারো বছর চারমাসে সম্পন্ন করে উঠে আসেন তালিকার শীর্ষে।

সূত্র : দ্য ইসলামিক ইনফরমেশন.কম

Comment

লেখক পরিচিতি

জাহিদ হাসান মিলু

আমি জাহিদ। সরকাারি কাগজপত্রের জাহিদুল ইসলাম থেকে বেসরকারি কাগজপত্রে জাহিদ হাসান মিলু- নামের এই বিচিত্র পরিবর্তনের পেছনে একটা মিষ্টি গল্প আছে।
জন্মেছি গোপালগঞ্জ জেলার অখ্যাত গ্রাম প্রশন্নপুরে, ১৯৯৬ সালের ডিসেম্বরে। কী এক বিশেষ কারণে যেন কাগজকলমে বয়েস কমিয়ে আমাকে আরও তিনবছরের ছোটো করে রাখা হয়েছে। বাবা মা দুজনেই অক্ষর না শিখেও আমার জীবনের শ্রেষ্ঠতম স্বাক্ষর হয়ে আছেন।
অবুঝ বয়েসে পারিবারিক স্বপ্নের কারণে ভর্তি হতে পেরেছিলাম মাদ্রাসায় , আলহামদুল্লিলাহ। জীবনের সবথেকে বড় পারিবারিক গিফ্ট ছিল এটা আমার জন্য। কুরআন পড়তে শিখলাম, মুখস্থ করতে পারলাম। অর্থ জানলাম এবং ব্যাখ্যাও পড়লাম।
আমাদের পাড়ার মাদ্রাসা কুলিয়ার ভিটায় পড়ার সময় ধর্মের প্রতি আমাদের ভেতরে যে বীজটা রোপিত হয়েছিল, সেটা ডালাপাল মেলে খোলা হাওয়ায় বেড়ে ওঠার সুযোগ পায় প্রাণের প্রতিষ্ঠান এরাবিল মডেল মাদ্রাসায়। তারপর? তারপর আর কি- এখন পড়াশোনা করছি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জার্নালিজম বিভাগে।
দায়ী হওয়ার স্বপ্ন আমার সবথেকে বড় স্বপ্ন। স্বপ্নটি পূরণ করতেই পড়ছি, শুনছি, দেখছি, শিখছি এবং অপেক্ষা করছি।