তথ্য-প্রযুক্তি ফিচার

পাবজি গেম নিষিদ্ধের দাবী জানিয়েছেন বিশ্বসেরা ইসলামী স্কলারগণ : কিন্তু কেন?

লিখেছেন মিরাজ রহমান

পাবজি গেমের সর্বশেষ ভার্সনে প্রতিমা পূজা বা মূর্তির উপাসনা করার মতো একটি বিষয় সংযুক্ত করায় এটি নিষিদ্ধের ফতোয়া দিয়েছেন বিশ্বসেরা ইসলামী স্কলারগণ। গেমটির একটি অংশে দেখা যায়, খেলোয়াড় প্রতিমার সামনে দিয়ে দাঁড়িয়ে তার প্রার্থনা করে এবং প্রতিমাটি খেলোয়াড়কে এমন একটি পানীয় প্রদান করে; যা পান করার মাধ্যমে খেলোয়াড়ের বেঁচে থাকা দীর্ঘায়িত হয় আর তার স্বাস্থ্যগত শক্তি বৃদ্ধি পায়। এছাড়া গেমটিতে প্রচুর বিরল অস্ত্র থেকে উপকৃত হওয়ার প্রশিক্ষণও রয়েছে।

সৌদি আরব, ইন্দোনেশিয়া, মিশর, মালয়েশিয়া, ভারত, পাকিস্তান এবং কুয়েতের বহু ইসলামী ব্যক্তিত্ব খেলাটিকে হারাম ঘোষণা করেছেন। কারণ এই গেমটিতে সরাসরি প্রতিমা পূজা বা মূর্তির উপসনায় উৎসাহিত করা হয়েছে। ইসলামী স্কলারগণ এও বলেছেন, সারা বিশ্বের বহু কিশোর-কিশোরী এই খেলাটি খেলে এবং এভাবে প্রতিমা পূজায় উৎসাহিতকরণ থেকে তাদের বিশ্বাসে পারিবর্তন সাধিত হওয়ার সম্ভবনা বৃদ্ধি পায়। আর এটা একেবারেই প্রসিদ্ধ বা স্বীকৃতি বিষয় যে, একমাত্র আল্লাহ মহান ব্যতীত অন্য কারো উপসনা করা ইসলামের দৃষ্টিতে সম্পূর্ণ হারাম এবং এটা শিরক হিসেবে গণ্য।



উল্লেখ্য, পাবজি একটি অনলাইনভিত্তিক প্রসিদ্ধ ভিডিও গেম। এর আগেও বহুবার বিভিন্ন কারণ দর্শিয়ে পাবজি গেম নিষিদ্ধের দাবী তোলা হলেও নির্মাতা প্রতিষ্ঠান বিষয়টিকে আমলে নেয়নি। কিন্তু এবারের ফতোয়াটি প্রকাশের পরপরই পাবজি গেমের নির্মাতা প্রতিষ্ঠান ক্ষমা প্রার্থনা করেছেন এবং তারা জানিয়েছেন, গেমের সর্বশেষ ভার্সনের আপডেটটি মুসলমানদের অনুভূতিতে আহত হানায় তারা দুঃখিত। খুব দ্রুতই এ সংযোজনটি সরিয়ে ফেলা হবে বলে নিশ্চিত করেছেন তারা।

Comment

লেখক পরিচিতি

মিরাজ রহমান

গতানুগতিক ধারার বাইরে থেকে কাজ করে ইতিমধ্যেই বেশ জনপ্রিয়তা অর্জন করেছেন মিরাজ রহমান। পেশায় পুরোদস্তুর একজন সাংবাদিক হলেও কেবল ইসলামকে ঘিরেই আবর্তিত তার ধ্যান-জ্ঞান। দৈনিক পত্রিকার ইসলাম পাতায় লেখালেখি থেকে তিনি পরিচিত হয়ে উঠেছেন বটে, কিন্তু একসময় শিল্প চর্চায়ও ছিলেন বেশ মনোযোগী।
মিডিয়ায় সক্রিয়ভাবে কাজ শুরু করেছেন যখন, তখনও তিনি ছাত্র। মাদানিনগর মাদরাসার কাফিয়া জামাতের (শ্রেণি) শিক্ষার্থী থাকা অবস্থায় কণ্ট্রিবিউটর হিসেবে প্রথম কাজ শুরু করেন দৈনিক যুগান্তরে। ধারালো লিখনী শক্তি অল্পদিনের মধ্যে পরিচিত করে তোলে তাকে। দেশের জাতীয় দৈনিক পত্রিকার প্রায় সবগুলোতেই ইসলামবিষয়ক কলাম ও ফিচার লিখেছেন দীর্ঘ সময়। জাতীয় প্রিন্ট মিডিয়াগুলোতে তার অন্তত দুই সহস্রাধিক প্রবন্ধ-নিবন্ধ প্রকাশিত হয়েছে।
মিরাজ মূলত পড়াশুনা করেছেন কওমি শিক্ষাধারায়, এর পাশাপাশি তিনি জেনারেল শিক্ষাধারায়ও পড়াশুনা করছেন। সহ-সম্পাদক হিসেবে প্রথম যোগদান করেন দৈনিক ডেসটিনি পত্রিকায়। সেখান থেকে দৈনিক কালের কণ্ঠে। দেশে-বিদেশে অনলাইন গণমাধ্যমের জয়যাত্রা শুরু হলে মিরাজ ইন্টারনেট জগতকে ইসলাম প্রচারের জন্য সবচেয়ে সম্ভাবনাময় ক্ষেত্র বিবেচনা করে অনলাইনেই গাঁটছাড়া বাঁধেন। দেশের প্রথম পূর্ণাঙ্গ ইসলামবিষয়ক অনলাইন পোর্টাল প্রিয়.কমের ‘প্রিয় ইসলাম’-এর সৃষ্টি ও পথচলার সূচনা তারই হাতে। দীর্ঘদিন কাজ করেছেন প্রিয়.কমের প্রিয় ইসলাম বিভাগের এডিটর ইনচার্জ। সর্বশেষ কর্মরত ছিলেন দৈনিক বাংলাদেশের খবরের ফিচার ইনচার্জ হিসেবে।
টেলিভেশনে অনুষ্ঠানের উপস্থাপনা ও আলোচনার সঙ্গেও ইতিমধ্যে যুক্ত হয়েছেন মিরাজ রহমান। পরিচালনা করেছেন বেশ কিছু অনুষ্ঠানও। এসো কলম মেরামত করি, ছোটদের নবী-রাসূল সিরিজ, তাবলিগী জামাতের পৃষ্ঠপোষক-মুরুব্বি ছিলেন যাঁরা, শরয়ী পর্দার বিধান, আশিক মিন ফিলিস্তিন, নারী তুমি সৌভাগ্যবতী ও হালাল ব্যবসা ও হালাল অর্থনীতির কথকতাসহ বেশ কিছু আলোড়ন সৃষ্টিকারী গ্রন্থেও জনক তিনি। বর্তমান তিনি ইসলাম প্রতিদিনের সম্পাদক ও প্রকাশক এবং দ্য সুলতান প্রকাশনীর প্রধান নির্বাহী হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।