জাতীয় সংবাদ

হজ ব্যবস্থাপনা বিষয়ক দিনব্যাপি কর্মশালা অনুষ্ঠিত

লিখেছেন মিরাজ রহমান

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা হজের সময় এলে সংশ্লিষ্ট সবাইকে সুশৃঙ্খলভাবে কাজ পরিচালনার নির্দেশ দেন। আল্লাহর মেহমানদের কষ্ট সহ্য করতে পারেন না তিনি। তাদের চোখে পানি ঝরুক এটা কোনোভাবেই মাননীয় প্রধানমন্ত্রী মেনে নিতে পারেন না। এজন্য প্রতি বছর কঠোরভাবে হজ কার্যক্রম পর্যবেক্ষণ করেন তিনি। বৃহস্পতিবার (১৭ অক্টোবর) সকাল ১০টায় রাজধানীর অফিসার্স ক্লাবে আয়োজিত দিনব্যাপী হজ ব্যবস্থাপনা বিষয়ক কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এমন কথাই বলেন ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মাননীয় প্রতিমন্ত্রী আলহাজ এডভোকেট শেখ মো. আব্দুল্লাহ।

ধর্ম মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. আনিছুর রহমানের সভাপতিত্বে কর্মশালায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি সদস্য মাহমুদ উস সামাদ চৌধুরী এমপি, সদস্য মুজিবুল হাসান মাইজভান্ডারি এমপি, উপ-সচিব রহিমা আক্তার ও হাব সভাপতি শাহাদাত হোসেন তসলিম প্রমুখ।

প্রতিমন্ত্রী আরো বলেন বলেন, প্রধানমন্ত্রীর আন্তরিক দিক-নির্দেশনায় সংশ্লিষ্ট সবার একান্ত প্রচেষ্টায় এবারের হজ কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হয়েছে, আলহামদুলিল্লাহ।

হজ এজেন্সি অ্যাসোসিয়েশন বাংলাদেশের (হাব)-এর প্রশংসা করে প্রতিমন্ত্রী বলেন, অতীতে এই প্রতিষ্ঠানটির কারণে হজ কার্যক্রম নষ্ট হয়েছে। তবে বর্তমান কমিটি খুব ভালোভাবেই কাজ করছে। তাদের প্রশংসার যোগ্য কাজ এবার করেছে। ২০২০ সালের হজ কার্যক্রম যাতে আরও ভালোভাবে করা যায়, সে চেষ্টা করছি।

কর্মশালায় ধর্ম মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য মাহমুদ উস সামাদ চৌধুরী বলেন, অতীতের যেকোনো বছরের তুলনায় এবারের হজ কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আমাদের হজে পাঠিয়েছিলেন মূলত হজ কার্যক্রম পর্যবেক্ষণ করার জন্য। কেননা, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা হাজিদের কোনো দুর্ভোগ দেখতে চান না।

দিনব্যাপী কর্মশালায় বিভিন্ন আলেম-ওলামা, হজ এজেন্সির প্রতিনিধিসহ হজ সম্পর্কিত দায়িত্বশীল ব্যক্তিবর্গসহ ইলেক্ট্রনিক, প্রিন্ট ও অনলাইন মিডিয়ার প্রতিনিধিগণ উপস্থিত ছিলেন। ২০২০ সালে বাঙালি জাতিকে সর্বশ্রেষ্ঠ হজ ব্যবস্থাপনা উপহার দেওয়ার প্রত্যাশা ব্যক্ত করেই দিনব্যাপি কর্মশালার সমাপ্তি টানা হয়।

Comment

লেখক পরিচিতি

মিরাজ রহমান

গতানুগতিক ধারার বাইরে থেকে কাজ করে ইতিমধ্যেই বেশ জনপ্রিয়তা অর্জন করেছেন মিরাজ রহমান। পেশায় পুরোদস্তুর একজন সাংবাদিক হলেও কেবল ইসলামকে ঘিরেই আবর্তিত তার ধ্যান-জ্ঞান। দৈনিক পত্রিকার ইসলাম পাতায় লেখালেখি থেকে তিনি পরিচিত হয়ে উঠেছেন বটে, কিন্তু একসময় শিল্প চর্চায়ও ছিলেন বেশ মনোযোগী।
মিডিয়ায় সক্রিয়ভাবে কাজ শুরু করেছেন যখন, তখনও তিনি ছাত্র। মাদানিনগর মাদরাসার কাফিয়া জামাতের (শ্রেণি) শিক্ষার্থী থাকা অবস্থায় কণ্ট্রিবিউটর হিসেবে প্রথম কাজ শুরু করেন দৈনিক যুগান্তরে। ধারালো লিখনী শক্তি অল্পদিনের মধ্যে পরিচিত করে তোলে তাকে। দেশের জাতীয় দৈনিক পত্রিকার প্রায় সবগুলোতেই ইসলামবিষয়ক কলাম ও ফিচার লিখেছেন দীর্ঘ সময়। জাতীয় প্রিন্ট মিডিয়াগুলোতে তার অন্তত দুই সহস্রাধিক প্রবন্ধ-নিবন্ধ প্রকাশিত হয়েছে।
মিরাজ মূলত পড়াশুনা করেছেন কওমি শিক্ষাধারায়, এর পাশাপাশি তিনি জেনারেল শিক্ষাধারায়ও পড়াশুনা করছেন। সহ-সম্পাদক হিসেবে প্রথম যোগদান করেন দৈনিক ডেসটিনি পত্রিকায়। সেখান থেকে দৈনিক কালের কণ্ঠে। দেশে-বিদেশে অনলাইন গণমাধ্যমের জয়যাত্রা শুরু হলে মিরাজ ইন্টারনেট জগতকে ইসলাম প্রচারের জন্য সবচেয়ে সম্ভাবনাময় ক্ষেত্র বিবেচনা করে অনলাইনেই গাঁটছাড়া বাঁধেন। দেশের প্রথম পূর্ণাঙ্গ ইসলামবিষয়ক অনলাইন পোর্টাল প্রিয়.কমের ‘প্রিয় ইসলাম’-এর সৃষ্টি ও পথচলার সূচনা তারই হাতে। দীর্ঘদিন কাজ করেছেন প্রিয়.কমের প্রিয় ইসলাম বিভাগের এডিটর ইনচার্জ। সর্বশেষ কর্মরত ছিলেন দৈনিক বাংলাদেশের খবরের ফিচার ইনচার্জ হিসেবে।
টেলিভেশনে অনুষ্ঠানের উপস্থাপনা ও আলোচনার সঙ্গেও ইতিমধ্যে যুক্ত হয়েছেন মিরাজ রহমান। পরিচালনা করেছেন বেশ কিছু অনুষ্ঠানও। এসো কলম মেরামত করি, ছোটদের নবী-রাসূল সিরিজ, তাবলিগী জামাতের পৃষ্ঠপোষক-মুরুব্বি ছিলেন যাঁরা, শরয়ী পর্দার বিধান, আশিক মিন ফিলিস্তিন, নারী তুমি সৌভাগ্যবতী ও হালাল ব্যবসা ও হালাল অর্থনীতির কথকতাসহ বেশ কিছু আলোড়ন সৃষ্টিকারী গ্রন্থেও জনক তিনি। বর্তমান তিনি ইসলাম প্রতিদিনের সম্পাদক ও প্রকাশক এবং দ্য সুলতান প্রকাশনীর প্রধান নির্বাহী হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।