দোয়া বিধান

আপনার দোয়া কবুল হচ্ছে না যে ৫টি কারণে…

আল্লাহ তায়ালা তাঁর সৃষ্টিকে দোয়ার মত একটি বিশেষ ইবাদত দান করেছেন। বান্দার জন্য এটি আল্লাহর পক্ষ থেকে মূল্যবান উপহার। এর মাধ্যমে মানুষ তার মনের সমস্ত চাওয়া পাওয়া তার পরম স্রষ্টার কাছে তুলে ধরতে পারে। কোনো রকম শর্ত ছাড়াই একনিষ্ঠতার সাথে আল্লাহর কাছে সরাসরি দোয়া করা যায়। আল্লাহ তায়ালা তাঁর সৃষ্টির দোয়া কবুল করার ব্যাপারে প্রতিশ্রুতিও দিয়েছেন। তবে আমরা অনেক সময় দেখতে পাই- আমরা দোয়া করি, কিন্তু আমাদের মনের আশা পূরণ হয় না। বিভিন্ন কারণে এমনটা হয়ে থাকে।  আজ আমরা কুরআন হাদিসের আলোকে এমন পাঁচটি কারণ উল্লেখ করবো, যেগুলোর কারণে অনেক সময় আমাদের দোয়া কবুল হয়না।

১. দোয়ার ক্ষেত্রে তাড়াহুড়ো করা : অনেক সময় দোয়ার ক্ষেত্রে আমরা তাড়াহুড়ো করে থাকি। কোনো সময় দিতে রাজী নই আমরা। ফলে দেখা যায়, আল্লাহ তায়ালা আমাদেরকে যা যা দিয়েছেন সেগুলোর জন্য তাঁর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করতেও আমরা ভুলে যায়। সর্বদা আল্লাহর প্রতি কৃতজ্ঞ থাকতে হবে। নইলে আমাদেরকে তিনি যা দিয়েছেন সেগুলো ছিনিয়ে নিতে পারেন। এবং যার ফলে অনেক সময় আমাদের দোয়া কবুল নাও হতে পারে।

২. হারাম উপার্জন : আপনার দোয়া কবুল হওয়ার জন্য অন্যতম প্রধান শর্ত হলো, আপনাকে অবশ্যই বৈধ পথে উপার্জন করতে হবে। অবৈধ পথে অর্থ উপার্জন করে সেটি দ্বারা জীবন পরিচালনা করলে দোয়া কবুল হওয়ার সম্ভাবনা অনেকাংশে কমে যায়। তাই দোয়া কবুল হওয়ার জন্য হালাল উপার্জনের ব্যাপারো যত্নবান হতে হবে।

৩. যথাযথভাবে দোয়া না করা : অনেক সময় আমরা যথাযথ উপায়ে দোয়া করতে ব্যর্থ হই। দোয়া করার ক্ষেত্রে যে সমস্ত বিষয়ের প্রতি খেয়াল রাখা জরুরি সেগুলো আমরা ভুলে যাই৷ যার ফলে অনেক সময় আমাদের দোয়া কবুল হয়না।

৪. আত্মবিশ্বাসহীনতা : দোয়া করার ক্ষেত্রে অনেক সময় আমরা আত্মবিশ্বাসহীনতায় ভুগি। আমরা ভাবি, আমি অনেক পাপ করেছি। আমার দোয়া বোধহয় কবুল হবে না। এরকম আত্মবিশ্বাসহীনতার কারণে আল্লাহর প্রতি আমাদের একনিষ্ঠতা নষ্ট হয়ে যায়। যার ফলে অনেক সময় আমাদের দোয়া কবুল হয়না।

৫. পাপকাজে লিপ্ত থাকা : আপনি হয়তো ইচ্ছাকৃতভাবে কোনো পাপে জড়িয়ে আছেন। সেখান থেকে ফিরে আসার সামর্থ্য থাকা সত্ত্বেও আপনি ফিরে আসছেন না। যার ফলে আপনার ওপর থেকে আল্লাহর রহমাতের দৃষ্টি সরে গেছে। তাই আপনার দোয়া কবুল হচ্ছে না।

তাই, দোয়া কবুল হওয়ার যাবতীয় শর্ত মেনে যথাযথ উপায়ে দোয়া  করলেই কেবল আল্লাহ তায়ালা আমাদের দোয়া কবুল করবেন। [তথ্যসূত্র : দ্য ইসলামিক ইনফরমেশন]

Comment

লেখক পরিচিতি

জাহিদ হাসান মিলু

আমি জাহিদ। সরকাারি কাগজপত্রের জাহিদুল ইসলাম থেকে বেসরকারি কাগজপত্রে জাহিদ হাসান মিলু- নামের এই বিচিত্র পরিবর্তনের পেছনে একটা মিষ্টি গল্প আছে।
জন্মেছি গোপালগঞ্জ জেলার অখ্যাত গ্রাম প্রশন্নপুরে, ১৯৯৬ সালের ডিসেম্বরে। কী এক বিশেষ কারণে যেন কাগজকলমে বয়েস কমিয়ে আমাকে আরও তিনবছরের ছোটো করে রাখা হয়েছে। বাবা মা দুজনেই অক্ষর না শিখেও আমার জীবনের শ্রেষ্ঠতম স্বাক্ষর হয়ে আছেন।
অবুঝ বয়েসে পারিবারিক স্বপ্নের কারণে ভর্তি হতে পেরেছিলাম মাদ্রাসায় , আলহামদুল্লিলাহ। জীবনের সবথেকে বড় পারিবারিক গিফ্ট ছিল এটা আমার জন্য। কুরআন পড়তে শিখলাম, মুখস্থ করতে পারলাম। অর্থ জানলাম এবং ব্যাখ্যাও পড়লাম।
আমাদের পাড়ার মাদ্রাসা কুলিয়ার ভিটায় পড়ার সময় ধর্মের প্রতি আমাদের ভেতরে যে বীজটা রোপিত হয়েছিল, সেটা ডালাপাল মেলে খোলা হাওয়ায় বেড়ে ওঠার সুযোগ পায় প্রাণের প্রতিষ্ঠান এরাবিল মডেল মাদ্রাসায়। তারপর? তারপর আর কি- এখন পড়াশোনা করছি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জার্নালিজম বিভাগে।
দায়ী হওয়ার স্বপ্ন আমার সবথেকে বড় স্বপ্ন। স্বপ্নটি পূরণ করতেই পড়ছি, শুনছি, দেখছি, শিখছি এবং অপেক্ষা করছি।