মক্কা রুট ইনিশিয়েটিভের আওতায় ২০২০ সালের হজে ঢাকার আশকোনা হজ ক্যাম্পে সব হজযাত্রীর ইমিগ্রেশন সম্পন্ন করা হবে। এ লক্ষে ধর্ম প্রতিমন্ত্রী আলহাজ এডভোকেট শেখ মো. আব্দুল্লাহ আশকোনা হজ ক্যাম্পের প্রয়োজনীয় সম্প্রসারণ ও সংস্কার কার্যক্রম শুরুর নির্দেশ দিয়েছেন। রোববার (২৭ অক্টোবর) হজ ক্যাম্প সম্প্রসারণ ও সংস্কার কার্যক্রম সংক্রান্ত সভায় সভাপতিত্বকালে সংশ্লিষ্টদের প্রতি তিনি এ নির্দেশ প্রদান করেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের মানুষের অর্থনৈতিক সক্ষমতা বৃদ্ধির ফলে ২০০৯ সাল থেকে বাংলাদেশি হজযাত্রীর সংখ্যার ক্রমাগত বৃদ্ধি পেয়েছে। হজযাত্রী বৃদ্ধির কথা মাথায় রেখে শেখ হাসিনার সরকারের তত্ত্বাবধানে হজসেবা কার্যক্রমও দিন দিন উন্নত ও সহজ হয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় ২০১৯ সালে রাজকীয় সৌদি সরকারের মক্কা রুট ইনিশিয়েটিভ কর্মসূচির অধীনে প্রায় অর্ধেক হজযাত্রী সৌদি আরব অংশের ইমিগ্রেশন জেদ্দার পরিবর্তে ঢাকায় সম্পন্ন করেছেন। ২০২০ সালে সব হজযাত্রীকে এ কর্মসূচির অধীনে আনা হবে, ইনশাআল্লাহ । ভবিষ্যতে হজযাত্রীর সংখ্যা যেমন বৃদ্ধি পাবে একইসঙ্গে এ সংক্রান্ত কার্যক্রমও বৃদ্ধি পাবে। তাই এখন থেকেই হজ ক্যাম্প সম্প্রসারণ ও সংস্কার সংক্রান্ত কার্যক্রম গ্রহণ করা প্রয়োজন।
ঢাকায় ইমিগ্রেশন সম্পন্ন হওয়ার মানে হলো- সৌদি আরবের পাসপোর্ট ও ইমিগ্রেশনের কর্মকর্তারা ঢাকায় ডিপারচার ইমিগ্রেশনের সময় সৌদি প্রবেশের ইমিগ্রেশনের প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে পাসপোর্ট ও কাগজপত্রে সিল দিয়ে দেবেন। হজযাত্রীরা বিমান থেকে নেমে সরাসরি হজ টার্মিনালে চলে যাবেন। টার্মিনাল থেকে মোয়াল্লিমের গাড়িতে মক্কায় নিয়ে যাওয়া হবে হজযাত্রীদের।
সভায় ধর্ম সচিব মো. আনিছুর রহমান, হজ অফিস, ঢাকা, সিভিল এভিয়েশন কর্তৃপক্ষ, পাসপোর্ট ও ইমিগ্রেশন অধিদফতর, গণপূর্ত অধিদফতর,বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স, হজ এজেন্সিজ এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (হাব)-এর প্রতিনিধিসহ সংশ্লিষ্টরা উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য ২০১৭ সাল থেকে মালয়েশিয়া এবং ২০১৮ সাল থেকে ইন্দোনেশিয়ার হজযাত্রীরা আগাম ইমিগ্রেশনের সুবিধা পাচ্ছেন। ২০১৯ সাল থেকে বাংলাদেশ তৃতীয় দেশ হিসেবে এ সুবিধা পাচ্ছেন।