আন্তর্জাতিক সংবাদ

গোটা কুরআন মুখস্থ করলেন বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী আব্দুল্লাহ

পৃথিবীতে অসংখ্য মানুষ আছেন যারা পবিত্র কুরআন মুখস্থ করেছেন। এঁদের মধ্যে অনেকেই তীক্ষ্ণ মেধার অধিকারী। আবার অনেকেই কঠোর পরিশ্রমী- যারা খুব সহজেই কুরআন মুখস্থ করতে সক্ষম হন। কিন্তু পৃথিবীতে এমনও অনেক সুবিধাবঞ্চিত মানুষ রয়েছেন, যারা শারীরিক কিংবা মানসিক ভারসাম্যহীনতার কারণে পবিত্র কুরআন মুখস্থ করার সৌভাগ্য থেকে বঞ্চিত হন। যাদের পক্ষে পবিত্র কুরআন মুখস্থ করা সম্ভব হয়ে ওঠে না।

এমনই অসম্ভব আর কষ্টসাধ্য কাজটি সম্ভব করে দেখিয়েছেন ছবির মানুষটি। মানসিকভাবে অক্ষম হওয়ার পরেও পবিত্র কুরআন মুখস্থ করে রীতিমত বিশ্বকে অবাক করে দিয়েছেন তিনি। এমনকি জীবনে কখনো স্কুলেও যাওয়া হয়নি তাঁর। জীবনের অধিকাংশ সময় কাটিয়েছেন হাসপাতালের বেডে। তবুও তিনি পুরো কুরআন কিভাবে মুখস্থ করলেন সেটি সত্যিই বিস্ময়কর।



তাঁর নাম মুহাম্মাদ আব্দুল্লাহ আল করনি। বয়স ৩১। মানসিক অসুখের কারণে তার লেখাপড়ার সক্ষমতা নষ্ট হয়ে যায়। তিনি লিখতেও জানেন না, পড়তেও জানেন না। পড়ালেখায় অক্ষম হবার ফলে হাসপাতালেই দিন কাটাতে হয় তাঁকে। এতদসত্ত্বেও তিনি পুরো কুরআন মুখস্থ করতে সক্ষম হয়েছেন। এটা আল্লাহর বিশেষ দয়া ছাড়া কিছুই নয়। আমাদের মধ্যে অনেকেই আছেন যারা মানসিক ও শারীরিকভাবে সম্পূর্ণ সুস্থ। তারপরও কুরআনের একটি আয়াত মুখস্থ করতে পারি না, কিংবা পারলেও কঠোর পরিশ্রম করতে হয়।

আল করনির ভাই জানান, তিন এতিম। জন্মগতভাবেই আল করনি মানসিকভাবে অক্ষম। তাঁর ভেলভিস হাড় এবং মূত্রনালি ভেঙ্গে গেছে। বর্তমানে তিনি কিং ফাহাদ মেডিকেল সিটিতে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। তিনি আরও জানান, তিনিই এখন আল করনির দেখভাল করছেন।

তথ্যসূত্র : দ্য ইসলামিক ইনফরমেশন

Comment

লেখক পরিচিতি

জাহিদ হাসান মিলু

আমি জাহিদ। সরকাারি কাগজপত্রের জাহিদুল ইসলাম থেকে বেসরকারি কাগজপত্রে জাহিদ হাসান মিলু- নামের এই বিচিত্র পরিবর্তনের পেছনে একটা মিষ্টি গল্প আছে।
জন্মেছি গোপালগঞ্জ জেলার অখ্যাত গ্রাম প্রশন্নপুরে, ১৯৯৬ সালের ডিসেম্বরে। কী এক বিশেষ কারণে যেন কাগজকলমে বয়েস কমিয়ে আমাকে আরও তিনবছরের ছোটো করে রাখা হয়েছে। বাবা মা দুজনেই অক্ষর না শিখেও আমার জীবনের শ্রেষ্ঠতম স্বাক্ষর হয়ে আছেন।
অবুঝ বয়েসে পারিবারিক স্বপ্নের কারণে ভর্তি হতে পেরেছিলাম মাদ্রাসায় , আলহামদুল্লিলাহ। জীবনের সবথেকে বড় পারিবারিক গিফ্ট ছিল এটা আমার জন্য। কুরআন পড়তে শিখলাম, মুখস্থ করতে পারলাম। অর্থ জানলাম এবং ব্যাখ্যাও পড়লাম।
আমাদের পাড়ার মাদ্রাসা কুলিয়ার ভিটায় পড়ার সময় ধর্মের প্রতি আমাদের ভেতরে যে বীজটা রোপিত হয়েছিল, সেটা ডালাপাল মেলে খোলা হাওয়ায় বেড়ে ওঠার সুযোগ পায় প্রাণের প্রতিষ্ঠান এরাবিল মডেল মাদ্রাসায়। তারপর? তারপর আর কি- এখন পড়াশোনা করছি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জার্নালিজম বিভাগে।
দায়ী হওয়ার স্বপ্ন আমার সবথেকে বড় স্বপ্ন। স্বপ্নটি পূরণ করতেই পড়ছি, শুনছি, দেখছি, শিখছি এবং অপেক্ষা করছি।