ফিচার ফিরে আসার গল্প

মুসলিম হলেন মার্কিন যাজক স্যামুয়েল

ভিন্নধর্মের যাজকরা কুরআন নিয়ে গবেষণা করতে এসে মুসলমান হয়েছেন এমন সংখ্যা কম নয়। এবার তাদের কাতারে নাম লেখালেন আরেকজন মার্কিন যাজক। তার নাম স্যামুয়েল আর্ল শ্রপশায়ার। স্যামুয়েল মুসলমান হওয়ার পর জানান, মার্কিন গণমাধ্যমে মুসলমানদের নেতিবাচকভাবে উপস্থাপন করতে দেখেছি। কুরআন নিয়ে সমালোচনা করতে দেখেছি। মূলত সে থেকেই কুরআনের প্রতি অন্যরকম একটা টান অনুভব করতাম। একটা ভিন্ন আকর্ষণ ছিলো।এরপর কুরআনকে অনুবাদের জন্য ২০১১ সালে প্রথমবার সৌদিতে আসি। তারপর সৌদির জেদ্দায় থেকে কুরআন অনুবাদের সময় যে আতিথেয়তা পেয়েছি মুসলিমদের থেকে। সেটাই আমাকে ইসলামের প্রতি ভালোলাগা তৈরি করে দিয়েছে।

মঙ্গলবার (২১ মে) সৌদি গণমাধ্যম ‘সাবাক’কে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে সাবেক মার্কিন যাজক স্যামুয়েল আর্ল শ্রপশায়ার এসব কথা বলেছেন। তিনি বলেন, সৌদিতে আমি অনেক ভালো মানুষ দেখতে পাই। আমি মুসলিম কিংবা অমুসলিম, সেটা বিবেচনা না করে কেবল মানুষ হিসেবে আমার সঙ্গে তারা ভালো আচরণ করেছে। সৌদিবাসীগণ শুধু এক আল্লাহর উপাসনা করে।তাদের ভালো নৈতিকতা রয়েছে। জানা যায়, তার বয়স ৭০। বর্তমানে তিনি সৌদি আরবেই আছেন। শান্তি ও সংহতির জন্য মুসলমানদের কণ্ঠস্বর নামে অলাভজনক একটি সংগঠন পরিচালনা করছেন তিনি।



 

Comment

লেখক পরিচিতি

মুহাম্মদ ছফিউল্লাহ হাশেমী

মুহাম্মদ ছফিউল্লাহ হাশেমী— প্রাবন্ধিক ও শিক্ষক। জন্ম ০১ মার্চ, ১৯৮৪। কুমিল্লা জেলার দেবিদ্বার উপজেলাধীন বেতুয়া গ্রামে জন্ম এবং বেড়ে উঠা। পিতা কুমিল্লা জেলার প্রখ্যাত ওয়ায়েজ ও মুফাসসিরে কুরআন মাওলানা আবুল হাশেম (রহ.)।
কুমিল্লা জেলার ঐতিহ্যবাহী দীনি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ধামতী ইসলামিয়া কামিল মাদরাসা থেকে দাখিল, আলিম, ফাজিল ও কামিল পাশ করেন। পাশাপাশি কওমি শিক্ষাধারায়ও কিছুদিন পড়াশুনা করেছেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগ থেকে স্নাতক (সম্মান) ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রি লাভ করেন। একই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এমফিল ডিগ্রিও অর্জন করেন।
দীর্ঘদিন যাবত দেশের বিভিন্ন জাতীয় দৈনিক ও অনলাইন পোর্টালে লিখছেন। বর্তমানে একটি বেসরকারি কলেজে সহকারী অধ্যাপক হিসেবে কর্মরত আছেন।