রোববার তিউনিসে অনুষ্ঠিত এক সম্মেলনে ইসরাইলি ভূখন্ড হিসেবে গোলান মালভূমিকে স্বীকৃতি দেয়ার মার্কিন সিদ্ধান্তের নিন্দা জানিয়েছেন আরব নেতারা। এদিকে সম্মেলনের শুরুতেই উত্তেজনার কারণে কাতারের আমির সেখান থেকে বেরিয়ে যাওয়ার পর সকলকে ফের শান্ত করার চেষ্টা করা হয়।
আরব লীগের এ সম্মেলনের চূড়ান্ত ঘোষণায় বলা হয়, ‘জাতিসংঘ ও নিরাপত্তা পরিষদের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী গোলান হচ্ছে অধিকৃত সিরীয় ভূখন্ড এমনটা জোরালোভাবে সমর্থন করে তারা। আর জাতিসংঘ ও নিরাপত্তা পরিষদের সিদ্ধান্ত হচ্ছে আন্তর্জাতিক আইন।’ এককভাবে দেয়া পৃথক এক বিবৃতিতে ওয়াশিংটনের পদক্ষেপকে ‘অকার্যকর ও অবৈধ’ বলে অভিহিত করা হয়।
এক সংবাদ সম্মেলনে লীগের মহাসচিব আহমেদ আবুল ঘেইত বলেন, ‘এটা সত্যি যে সামরিক দিক থেকে আমেরিকা বিশ্বে সবচেয়ে শক্তিশালী হলেও তাদের এমন সিদ্ধান্ত একেবারে মূল্যহীন।’ প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প কৌশলগত দিক থেকে গুরুত্বপূর্ণ গোলান মালভূমিকে ইসরাইলের অংশ হিসেবে স্বীকৃতি দিয়ে গত সোমবার একটি ঘোষণাপত্রে স্বাক্ষর করেন। মালভূমিটি ইসরাইল ১৯৬৭ সালে দখল করে নেয় এবং ১৯৮১ সালে এর ভূখন্ডের অন্তর্ভুক্ত করে।
ইসরাইলের এই পদক্ষেপ আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃতি পায়নি এবং জাতিসংঘ নিরাপত্ত পরিষদের তিনটি প্রস্তাবে গোলান মালভূমি থেকে তাদের সরে যাওয়ার আহ্বান জানানো হয়। জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের অন্যান্য সদস্য দেশ যুক্তরাষ্ট্রের এমন সিদ্ধান্তের সমালোচনা করে এবং ইউরোপীয় ইউনিয়ন এ সিদ্ধান্ত প্রত্যাখান করেছে।
এদিকে উপসাগরীয় দেশ কাতারের সরকারি বার্তা সংস্থা কিউএনএ জানায়, উত্তেজনার ইঙ্গিত পাওয়ায় কাতারের শেখ তামিম বিন হামাদ আল-সানি সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে যোগ দেয়ার পরপরই সেখান থেকে চলে যান। তবে এ ব্যাপারে বিস্তারিত আর কিছু বলা হয়নি। নাম প্রকাশ না করার শর্তে তিউনিশিয়ার একজন কর্মকর্তা বলেন, আরব লীগের প্রধান আবুল ঘেইতের ভাষণ চলাকালে কাতারের নেতা সম্মেলন বর্জন করেন।
সৌজন্যে : নয়াদিগন্ত