আন্তর্জাতিক সংবাদ

তুরস্কের স্থানীয় নির্বাচনে এরদোগানের বিশাল জয়

তুরস্কে রোববার অনুষ্ঠিত স্থানীয় নির্বাচনে জয় পেয়েছে তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়েব এরদোগানের দল একে পার্টি। মেয়র নির্বাচনে এরদোগানের দল ৫৬ শতাংশ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছে। বেসরকারি ফল অনুযায়ী এরদোগানের দল ১৬টি মেট্রোপলিটন ও ২৪টি শহরে জয় পেয়েছে।

নির্বাচনে একে পার্টিকে বড় জয়ী করায় তুর্কিদের ধন্যবাদ জানিয়েছেন প্রেসিডেন্ট এরদোগান। আঙ্কারায় একে পার্টির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের বারান্দা থেকে হাত নেড়ে উপস্থিত নেতাকর্মীদের ধন্যবাদ জানিয়ে এরদোগান বলেন, নির্বাচনে একে পার্টি ৫৬ শতাংশ ভোট পেয়েছে। এজন্য আমার নাগরিকদের ধন্যবাদ। আমাদের দলকে সমর্থন জানানোর জন্য বিশেষ করে কুর্দি ভাইদের প্রতি কৃতজ্ঞতা।

দেশটির স্থানীয় নির্বাচনে মেয়র, সিটি কাউন্সিল, মুখতার ও সদস্য নির্বাচিত করতে লাখো তুর্কি তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেন। বেশ কয়েকটি স্থানে হেরে যাওয়ার কারণ খুঁজবেন জানিয়ে এরদোগান বলেন, আগামীকাল সকাল থেকেই আমরা আমাদের ক্রটিগুলো খুঁজে বের করার চেষ্টা করব। এবারের স্থানীয় সরকার নির্বাচনে প্রায় সাড়ে পাঁচ কোটি ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেন। সংসদের পাঁচ দলের বাইরে আরও সাত দল লড়েছে এবারের নির্বাচনে।

ভোটে জেতার লড়াইয়ে টিকে থাকতে ক্ষমতাসীন এবং বিরোধী দলগুলো জোট করে নির্বাচন করেছে। নির্বাচনের মাঠ মূলত দুই ভাগে বিভক্ত ছিল। ক্ষমতাসীন জোট ও বিরোধী জোট। ক্ষমতাসীন জোটে সরকারি দল একে পার্টি এবং কট্টর জাতীয়তাবাদী দল এমএইচপি। অন্যদিকে প্রধান বিরোধী দল সেক্যুলারিস্ট সিএইচপি জোট করেছে ডানপন্থী আইপি বা সু পার্টির সঙ্গে। বড় সিটি কর্পোরেশন ও গুরুত্বপূর্ণ শহরগুলোতে পার্টিগুলো জোটবদ্ধ হয়ে প্রার্থী দিয়েছিল। কোথাও আবার জোটের শরিকদের প্রার্থীর সমর্থনে নিজের প্রার্থীকে তুলে নিয়েছে।
সৌজন্যে : নয়াদিগন্ত
Comment

লেখক পরিচিতি

জাহিদ হাসান মিলু

আমি জাহিদ। সরকাারি কাগজপত্রের জাহিদুল ইসলাম থেকে বেসরকারি কাগজপত্রে জাহিদ হাসান মিলু- নামের এই বিচিত্র পরিবর্তনের পেছনে একটা মিষ্টি গল্প আছে।
জন্মেছি গোপালগঞ্জ জেলার অখ্যাত গ্রাম প্রশন্নপুরে, ১৯৯৬ সালের ডিসেম্বরে। কী এক বিশেষ কারণে যেন কাগজকলমে বয়েস কমিয়ে আমাকে আরও তিনবছরের ছোটো করে রাখা হয়েছে। বাবা মা দুজনেই অক্ষর না শিখেও আমার জীবনের শ্রেষ্ঠতম স্বাক্ষর হয়ে আছেন।
অবুঝ বয়েসে পারিবারিক স্বপ্নের কারণে ভর্তি হতে পেরেছিলাম মাদ্রাসায় , আলহামদুল্লিলাহ। জীবনের সবথেকে বড় পারিবারিক গিফ্ট ছিল এটা আমার জন্য। কুরআন পড়তে শিখলাম, মুখস্থ করতে পারলাম। অর্থ জানলাম এবং ব্যাখ্যাও পড়লাম।
আমাদের পাড়ার মাদ্রাসা কুলিয়ার ভিটায় পড়ার সময় ধর্মের প্রতি আমাদের ভেতরে যে বীজটা রোপিত হয়েছিল, সেটা ডালাপাল মেলে খোলা হাওয়ায় বেড়ে ওঠার সুযোগ পায় প্রাণের প্রতিষ্ঠান এরাবিল মডেল মাদ্রাসায়। তারপর? তারপর আর কি- এখন পড়াশোনা করছি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জার্নালিজম বিভাগে।
দায়ী হওয়ার স্বপ্ন আমার সবথেকে বড় স্বপ্ন। স্বপ্নটি পূরণ করতেই পড়ছি, শুনছি, দেখছি, শিখছি এবং অপেক্ষা করছি।