আন্তর্জাতিক সংবাদ

নিউজিল্যান্ডের জাতীয় প্রতীকের আদলে নামাজরত মুসল্লির ছবি

নিউজিল্যান্ডের জাতীয় প্রতীকের আদলে নামাজরত বিভিন্ন ভঙ্গিতে সারিব্দ্ধভাবে ৫০ জন মুসল্লির আঁকা একটি ছবি স্যোসাল মিডিয়ায় ভাইরাল। ছবিতে দেখা যায় কেউ নামাজের নিয়ত বাঁধছেন, কেউ রুকু করছেন, কেউ সেজদায় আবার কেউবা মুনাজাতরত। শুরুতে দেখে মনে হবে এটা নিউজিল্যান্ডের জাতীয় প্রতীক ‘রূপালী ফার্ন’।

অনলাইনে ছড়িয়ে পড়া ছবিটি এঁকেছেন অস্ট্রেলিয়ার এক কার্টুনিস্ট। প্যাট ক্যানবেরা টাইমস পত্রিকায় কাজ করেন ক্যাম্পবেল নামের এই কার্টুনিস্ট। সারা বিশ্বের মতো ক্রাইস্টচার্চের ওই সন্ত্রাসী হামলা তার মনেও দাগ কেটেছে। তাই নিহতদের প্রতি সম্মান জানাতে এমন উদ্যোগ নেন তিনি।

ছবিটি নিয়ে ক্যাম্পবেল বলেন, ‘শুরুতে আমি ৪৯টি চরিত্র এঁকেছিলাম। পরে যখন (হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায়) ৫০ জন নিহত হওয়ার কথা জানতে পারলাম, আমি আরও একটি যোগ করি। সপ্তাহজুড়ে ছবিটি সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে ঘুরে বেড়াচ্ছে। ছবিটিতে সরলভাবে যে ‘দর্শনীয় সৌন্দর্য’ তুলে ধরা হয়েছে তার প্রশংসা করছে সবাই। কোনো বাক্য ছাড়ায় ছবিটিতে ঘটনার ভয়াবহতা ও মানবিকতা দুটোই অসাধারণভাবে ফুটিয়ে তুলেছেন ক্যাম্পবেল।

সৌজন্যে : আওয়োরইসলঅমটোয়েন্টিফোর.কম

Comment

লেখক পরিচিতি

জাহিদ হাসান মিলু

আমি জাহিদ। সরকাারি কাগজপত্রের জাহিদুল ইসলাম থেকে বেসরকারি কাগজপত্রে জাহিদ হাসান মিলু- নামের এই বিচিত্র পরিবর্তনের পেছনে একটা মিষ্টি গল্প আছে।
জন্মেছি গোপালগঞ্জ জেলার অখ্যাত গ্রাম প্রশন্নপুরে, ১৯৯৬ সালের ডিসেম্বরে। কী এক বিশেষ কারণে যেন কাগজকলমে বয়েস কমিয়ে আমাকে আরও তিনবছরের ছোটো করে রাখা হয়েছে। বাবা মা দুজনেই অক্ষর না শিখেও আমার জীবনের শ্রেষ্ঠতম স্বাক্ষর হয়ে আছেন।
অবুঝ বয়েসে পারিবারিক স্বপ্নের কারণে ভর্তি হতে পেরেছিলাম মাদ্রাসায় , আলহামদুল্লিলাহ। জীবনের সবথেকে বড় পারিবারিক গিফ্ট ছিল এটা আমার জন্য। কুরআন পড়তে শিখলাম, মুখস্থ করতে পারলাম। অর্থ জানলাম এবং ব্যাখ্যাও পড়লাম।
আমাদের পাড়ার মাদ্রাসা কুলিয়ার ভিটায় পড়ার সময় ধর্মের প্রতি আমাদের ভেতরে যে বীজটা রোপিত হয়েছিল, সেটা ডালাপাল মেলে খোলা হাওয়ায় বেড়ে ওঠার সুযোগ পায় প্রাণের প্রতিষ্ঠান এরাবিল মডেল মাদ্রাসায়। তারপর? তারপর আর কি- এখন পড়াশোনা করছি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জার্নালিজম বিভাগে।
দায়ী হওয়ার স্বপ্ন আমার সবথেকে বড় স্বপ্ন। স্বপ্নটি পূরণ করতেই পড়ছি, শুনছি, দেখছি, শিখছি এবং অপেক্ষা করছি।