ইন্দোনেশিয়া দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার একটি দ্বীপ রাষ্ট্র। ল্যাটিন ইন্ডাস থেকে ইন্দোনেশিয়া শব্দটি এসেছে। ল্যাটিন শব্দটির অর্থ দাঁড়ায় দ্বীপ। ডাচ উপনিবেশের কারণে তাদের দেয়া নামটি ওই অঞ্চলের জন্য প্রচলিত হয়। ১৯০০ সাল থেকে জায়গাটি ইন্দোনেশিয়া নামে পরিচিতি পায়। প্রায় ৫,০০০ দ্বীপের সমন্বয়ে গঠিত এই দেশটি পৃথিবীর বৃহত্তম মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ রাষ্ট্র। এর রাজধানীর নাম জাকার্তা। সরকারী ভাবে ইন্দোনেশিয়ার নাম ইন্দোনেশীয় প্রজাতন্ত্রী (ইন্দোনেশীয় ভাষায় Republik Indonesia).
ইন্দোনেশিয়ায় আরও রয়েছে অনেক নান্দনিক মসজিদ ও সুন্দ সুন্দর দর্শনীয়স্থান। রয়েছে অনেক পর্বত এবং এদের মধ্যে কিছু কিছু আবার আগ্নেয়গিরিও। এগুলিতে অনেক পর্যটক পর্বতারোহণ করতে ভালবাসেন।
১. সুলতান সুরিয়ান শাহ মসজিদ : এই মসজিদটি ইন্দোনেশিয়ার দক্ষিণ কালিমান্তা প্রদেশে অবস্থিত। এটি প্রায় তিনশত বছর আগে সুলতান সুরিয়ান শাহ এর আমলে নির্মিত হয়েছে।মসজিদটি কুইন উতারা গ্রামে অবস্থিত। ডাচ উপনিবেশ আমলের বিখ্যাত একটি দুর্গও আছে এর কাছে।
২. গ্রেট মস্ক অফ সুরাকর্তা : এই মসজিদটি ১৭৬৩ সালে আঞ্চলিক শাসক পাকুবুওনো নির্মাণ করেন। এটি একটি জামে মসজিদ। এর সাথে রাজকীয় বিভিন্ন কার্যক্রমের জন্য এখানে একটি হল আছে। এই মসজিদটির বিশেষত্ব হল এতে নামাজের পাশাপাশি সুদীর্ঘ দিন পর্যন্ত ইসলামি আইনানুযায়ী বিচারিক কার্যক্রম চলেছে। মসজিদটি এখনো প্রাচীণ নির্মাণশৈলীর ভিত্তিতেই আছে।
৩. রাহমাতাল্লালিল আলামিন মস্ক : এই মসজিদটি ইন্দোনেশিয়ার জাভা দ্বীপের পশ্চিমাংশে অবস্থিত। আল জাইতুন ইউনিভার্সিটি এই মসজিদটি নির্মাণ করেছে। ছয় তলা এই মসজিদটিতে প্রায় দশ হাজার মুসল্লী একসাথে নামাজ আদায় করতে পারে।
৪. ইস্তেকলাল মসজিদ : এটি ইন্দোনেশিয়ার সবচেয়ে বড় মসজিদগুলোর একটি। এর নির্মাণশৈলীও খুবই উন্নত এবং চমকপ্রদ। এই মসজিদ নির্মাণে আধুনিক ও উন্নত সরঞ্জামাদির ব্যবহার নিশ্চিত করা হয়েছে।
৫. বাইতুর রহমান জামে মসজিদ : এই মসজিদটি ইন্দোনেশিয়ার আচেহ প্রদেশের বান্দা আচেহে অবস্থিত। প্রথম নির্মাণ হয় ১৬১২ সালে। নির্মাতা ছিলেন ইসকান্দার মুদা।এই মসজিদটির সাতটি গম্বুজ ও একটি মিনার আছে। এটি বর্তমানে আচেহ প্রদেশের সবচেয়ে উঁচু মিনার।
কমেন্টস করুন