জাতীয় সংবাদ

কোনো হাজির চোখ থেকে এবার বেদনার পানি ঝরেনি : ধর্ম প্রতিমন্ত্রী

লিখেছেন মিরাজ রহমান

‘এবার প্রথম আমি হজ ব্যবস্থাপনার দায়িত্ব পালন করেছি। প্রথমবার হিসেবে তুলনামূলক বেশ কাজ করার চেষ্টা করেছি এবং আল্লাহ মহানের ইচ্ছায় সফলতাও এসেছে। আগামী বছর ইনশাআল্লাহ বাঙালি জাতিকে সর্বশ্রেষ্ঠ হজ ব্যবস্থাপনা উপহার দেব। এবারই প্রথম কোনো ধরনের বিশৃঙ্খলা এবং হয়রানি ছাড়া হজযাত্রীরা নিরাপদে হজ পালন করতে সক্ষম হয়েছেন। কোনো একজন হাজিও হয়রানি হয়ে হজে যেতে পারেনি এমনটা ঘটেনি। হজ ব্যবস্থাপনা-সংশ্লিষ্ট সকল ব্যক্তি ও সংস্থার সম্মিলিত প্রচেষ্টায় এবার সুষ্ঠু ও সুন্দরভাবে সবাই হজ পালন করতে পেরেছে। আলহামদুলিল্লাহ কোনো হাজির চোখ থেকে এবার বেদনার পানি ঝরেনি।’ সোমবার (৩০ সেপ্টেম্বর) দুপুরে সচিবালয়ে হজ-ব্যবস্থাপনার সমাপ্তি বিষয়ে সংবাদ সম্মেলনে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের ধর্ম-বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মাননীয় প্রতিমন্ত্রী আলহাজ অ্যাডভোকেট শেখ মোহাম্মাদ আব্দুল্লাহ এমন কথা বলেন।

হজকেন্দ্রিক এ সফলতার জন্য ধর্ম প্রতিমন্ত্রী বাংলাদেশের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সুযোগ্য কন্যা সফল রাষ্ট্রনায়ক জননেত্রী শেখ হাসিনার প্রতি কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করে বলেন, ‘মূলত মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর প্রত্যক্ষ তত্ত্বাবধান ও দিক-নির্দেশনার ফলেই আমরা বাংলাদেশের ইতিহাসে একটি সফলতম হজ-ব্যবস্থাপনা উপহার দিতে পেরেছি।’

ধর্ম প্রতিমন্ত্রী আরও জানান,  Makkah Route Initiative ফ্রেমওয়ার্কের আওতায় সৌদি আরবের ইমিগ্রেশন বাংলাদেশেই সম্পন্ন করা, লাগেজ পরিবহনের কষ্ট লাঘবের উদ্দেশ্যে United Agents Office -এর মাধ্যমে হজযাত্রীদের লাগেজ পরিবহন ব্যবস্থাকরণ, ডিজিটাল নিবন্ধন, ইলেক্ট্রনিক হেলথ প্রোফাইল সিস্টেম চালু, সরাসরি হজ এজেন্সির কাছ থেকে টিকেট বিক্রির ব্যবস্থা করা, হজযাত্রীদের জন্য প্রতিটি জেলায় উন্নত প্রশিক্ষণ জোরদার করা এবং বাড়ি ভাড়ার ক্ষেত্রে আগে তথ্য সংগ্রহ ব্যবস্থাকরণসহ এবারের হজ ব্যবস্থাপনাকে সফল করার জন্য মোট ১৪টি পদক্ষেপ গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করা হয়েছে। যেসব পদক্ষেপের অধিকাংশই পূর্বে ছিল না; বরং এ বছরই প্রথম হয়েছে।’

সংবাদ সম্মেলনে প্রতিমন্ত্রী আরও আশা প্রকাশ করেন, ‘আগামী বছর বাংলাদেশ থেকে যাওয়া মোট হজযাত্রীর অর্ধেক-সংখ্যককে সরকারি ব্যবস্থাপনায় নেওয়ার পরিকল্পনা করা হয়েছে এবং এটা যেকোনো মূল্যে বাস্তবায়ন করা হবে।’

এ বছর যা কিছু ছোটখাটো সমস্যা দৃষ্টিগোচর হয়েছে আগামী বছর যেন তাও না থাকে সে জন্য সচেতন গণমাধ্যমকর্মীদের সহযোগিতা কামনা করেছেন ধর্ম প্রতিমন্ত্রী আলহাজ অ্যাডভোকেট শেখ মোহম্মাদ আব্দুল্লাহ।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন ধর্ম-বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. আনিছুর রহমান, অতিরিক্ত সচিব কাজি হাসান আহমেদ, অতিরিক্ত সচিব ড. মোয়াজ্জেম হোসেন, যুগ্ম সচিব হজ এবিএম আমিন উল্লাহ নুরী, যুগ্ম সচিব উন্নয়ন মো. আব্দুল হামিদ জমাদদার, হজ অফিস (ঢাকা) পরিচালক মো. সাইফুল ইসলাম ও হজ এজেন্সিস এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (হাব)-এর প্রেসিডেন্ট শাহাদাত হোসাইন তাসলিম।

ওকে/এমএইচ

Comment

লেখক পরিচিতি

মিরাজ রহমান

গতানুগতিক ধারার বাইরে থেকে কাজ করে ইতিমধ্যেই বেশ জনপ্রিয়তা অর্জন করেছেন মিরাজ রহমান। পেশায় পুরোদস্তুর একজন সাংবাদিক হলেও কেবল ইসলামকে ঘিরেই আবর্তিত তার ধ্যান-জ্ঞান। দৈনিক পত্রিকার ইসলাম পাতায় লেখালেখি থেকে তিনি পরিচিত হয়ে উঠেছেন বটে, কিন্তু একসময় শিল্প চর্চায়ও ছিলেন বেশ মনোযোগী।
মিডিয়ায় সক্রিয়ভাবে কাজ শুরু করেছেন যখন, তখনও তিনি ছাত্র। মাদানিনগর মাদরাসার কাফিয়া জামাতের (শ্রেণি) শিক্ষার্থী থাকা অবস্থায় কণ্ট্রিবিউটর হিসেবে প্রথম কাজ শুরু করেন দৈনিক যুগান্তরে। ধারালো লিখনী শক্তি অল্পদিনের মধ্যে পরিচিত করে তোলে তাকে। দেশের জাতীয় দৈনিক পত্রিকার প্রায় সবগুলোতেই ইসলামবিষয়ক কলাম ও ফিচার লিখেছেন দীর্ঘ সময়। জাতীয় প্রিন্ট মিডিয়াগুলোতে তার অন্তত দুই সহস্রাধিক প্রবন্ধ-নিবন্ধ প্রকাশিত হয়েছে।
মিরাজ মূলত পড়াশুনা করেছেন কওমি শিক্ষাধারায়, এর পাশাপাশি তিনি জেনারেল শিক্ষাধারায়ও পড়াশুনা করছেন। সহ-সম্পাদক হিসেবে প্রথম যোগদান করেন দৈনিক ডেসটিনি পত্রিকায়। সেখান থেকে দৈনিক কালের কণ্ঠে। দেশে-বিদেশে অনলাইন গণমাধ্যমের জয়যাত্রা শুরু হলে মিরাজ ইন্টারনেট জগতকে ইসলাম প্রচারের জন্য সবচেয়ে সম্ভাবনাময় ক্ষেত্র বিবেচনা করে অনলাইনেই গাঁটছাড়া বাঁধেন। দেশের প্রথম পূর্ণাঙ্গ ইসলামবিষয়ক অনলাইন পোর্টাল প্রিয়.কমের ‘প্রিয় ইসলাম’-এর সৃষ্টি ও পথচলার সূচনা তারই হাতে। দীর্ঘদিন কাজ করেছেন প্রিয়.কমের প্রিয় ইসলাম বিভাগের এডিটর ইনচার্জ। সর্বশেষ কর্মরত ছিলেন দৈনিক বাংলাদেশের খবরের ফিচার ইনচার্জ হিসেবে।
টেলিভেশনে অনুষ্ঠানের উপস্থাপনা ও আলোচনার সঙ্গেও ইতিমধ্যে যুক্ত হয়েছেন মিরাজ রহমান। পরিচালনা করেছেন বেশ কিছু অনুষ্ঠানও। এসো কলম মেরামত করি, ছোটদের নবী-রাসূল সিরিজ, তাবলিগী জামাতের পৃষ্ঠপোষক-মুরুব্বি ছিলেন যাঁরা, শরয়ী পর্দার বিধান, আশিক মিন ফিলিস্তিন, নারী তুমি সৌভাগ্যবতী ও হালাল ব্যবসা ও হালাল অর্থনীতির কথকতাসহ বেশ কিছু আলোড়ন সৃষ্টিকারী গ্রন্থেও জনক তিনি। বর্তমান তিনি ইসলাম প্রতিদিনের সম্পাদক ও প্রকাশক এবং দ্য সুলতান প্রকাশনীর প্রধান নির্বাহী হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।