আন্তর্জাতিক সংবাদ

‘যুক্তরাষ্ট্রের সন্ত্রাসবিরোধী যুদ্ধে প্রাণ হারিয়েছে ৮ মিলিয়ন নিরীহ মুসলিম’

সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে দীর্ঘদিন ধরে চলতে থাকা মার্কিন যুদ্ধে প্রায় ৮ মিলিয়ন নিরপরাধ মুসলিমকে প্রাণ দিতে হয়েছে বলে দাবি করেছেন বিখ্যাত সাংবাদিক মনার মুওয়াইশ । মিডিয়ার সঙ্গে কথা বলার সময় মিন্টপ্রেসের প্রতিষ্ঠাতা-সম্পাদক মুওয়াইশ একটি টিভি টকশোতে এমন মন্তব্য করেন। সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের যুদ্ধ নিয়ে ভুল ধারণা এবং এ যুদ্ধের জন্য মুসলমানদের যে ক্ষতির মুখে পড়তে হয়েছে সে বিষয়ে কথা বলার সময় তিনি উল্লেখ করেন, এ যুদ্ধে নিরপরাধ মুসলমানই বেশি আক্রান্ত ও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

মুসলমানরা কীভাবে নিজেদের এলাকা থেকে সন্ত্রাসবাদ নির্মূল করবে সে বিষয়েও জোর দেন মুওয়াইশ। অন্যথায় আরও নিরপরাধ মুসলিমদের প্রাণ দিতে হবে বলে আশঙ্কাও প্রকাশ করেন তিনি। সারা বিশ্বের মুসলমানরা এই হত্যার বিষয়টিকে আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর বিবেচনায় আনার জন্য আওয়াজ তুলতে শুরু করেছে ইদানীং। এখন পর্যন্ত বিষয়টি প্রায় আলোচনায় বাইরেই ছিল—কত মুসলিমকে তার প্রিয়জন হারাতে হচ্ছে। কোনো মিডিয়াকেও এ বিষয়ে কথা বলতে দেখা যায়নি।



মুওয়াইশ আরও বলেন, সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে এই যুদ্ধ নিয়ে মানুষের মাঝে সবচেয়ে বড় যে ভুল ধারণাটি রয়েছে তা হলো, তারা মনে করে ২০০৩ সালে আফগানিস্তান ও ইরাকে মার্কিন আগ্রাসনের পরই এ যুদ্ধ শুরু হয়েছে। কিন্তু বাস্তবতা হলো—এই তথাকথিত যুদ্ধ ছিল ১৯৮০ এবং ১৯৯০ এর দশকের গোড়ার দিকে বিভিন্ন দেশে মার্কিন সৈন্যবাহিনীর সম্প্রসারণেরই একটি পরিণতি মাত্র। যার কারণে প্রায় ৮ মিলিয়ন নিরীহ মুসলমানকে প্রাণ দিতে হয়েছে। অথচ এসব যুদ্ধ ছিল সম্পূর্ণভাবে অর্থহীন এবং মুসলিম, ইসলাম বা সন্ত্রাসের সাথে এর কোনো সম্পর্কও ছিল না প্রকৃতপক্ষে। এই যুদ্ধগুলো ছিল কেবল নিজেদের স্বার্থে তেলসমৃদ্ধ অঞ্চলকে সুরক্ষিত করা ।

নিজেদের স্বার্থ রক্ষার্থেই অসংখ্য মানুষের প্রাণ নিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। কিন্তু মৃতের সংখ্যা এত বেশি হওয়ার পরও অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল, জাতিসংঘসহ বিশ্বের কোনো সংস্থাই কখনো মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে  এ নিয়ে প্রশ্ন তোলেনি যে, কেন তারা সন্ত্রাসবাদ দমনের নামে পাবলিকে প্লেসে, মার্কেটে, প্রতিষ্ঠানে তাদের অবৈধ ড্রোন দিয়ে  হামলা চালায়? সবশেষে মনার মুওয়াইশ জানায়, যে সন্ত্রাসবাদ দমনের কথা বলে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বিভিন্ন জায়গায় হামলা চালিয়ে নিরপরাধ মানুষকে হত্যা করে, যুক্তরাষ্ট্র  কখনোই সে সন্ত্রাসবাদের স্পষ্ট কোনো ব্যাখ্যা দিতে পারেনি।

তথ্যসূত্র : দ্য ইসলামিক ইনফরমেশন

ওকে/এমএইচ

Comment

লেখক পরিচিতি

জাহিদ হাসান মিলু

আমি জাহিদ। সরকাারি কাগজপত্রের জাহিদুল ইসলাম থেকে বেসরকারি কাগজপত্রে জাহিদ হাসান মিলু- নামের এই বিচিত্র পরিবর্তনের পেছনে একটা মিষ্টি গল্প আছে।
জন্মেছি গোপালগঞ্জ জেলার অখ্যাত গ্রাম প্রশন্নপুরে, ১৯৯৬ সালের ডিসেম্বরে। কী এক বিশেষ কারণে যেন কাগজকলমে বয়েস কমিয়ে আমাকে আরও তিনবছরের ছোটো করে রাখা হয়েছে। বাবা মা দুজনেই অক্ষর না শিখেও আমার জীবনের শ্রেষ্ঠতম স্বাক্ষর হয়ে আছেন।
অবুঝ বয়েসে পারিবারিক স্বপ্নের কারণে ভর্তি হতে পেরেছিলাম মাদ্রাসায় , আলহামদুল্লিলাহ। জীবনের সবথেকে বড় পারিবারিক গিফ্ট ছিল এটা আমার জন্য। কুরআন পড়তে শিখলাম, মুখস্থ করতে পারলাম। অর্থ জানলাম এবং ব্যাখ্যাও পড়লাম।
আমাদের পাড়ার মাদ্রাসা কুলিয়ার ভিটায় পড়ার সময় ধর্মের প্রতি আমাদের ভেতরে যে বীজটা রোপিত হয়েছিল, সেটা ডালাপাল মেলে খোলা হাওয়ায় বেড়ে ওঠার সুযোগ পায় প্রাণের প্রতিষ্ঠান এরাবিল মডেল মাদ্রাসায়। তারপর? তারপর আর কি- এখন পড়াশোনা করছি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জার্নালিজম বিভাগে।
দায়ী হওয়ার স্বপ্ন আমার সবথেকে বড় স্বপ্ন। স্বপ্নটি পূরণ করতেই পড়ছি, শুনছি, দেখছি, শিখছি এবং অপেক্ষা করছি।