সৌদি আরবের যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানের সফর থেকে বিনিয়োগে গতি সঞ্চারের আশায় আছে ভারত ও পাকিস্তান। আগামী দিনগুলোতে এ দুটো দেশ সফরকালে বিন সালমান জ্বালানি এবং অবকাঠামো খাতে বিনিয়োগের ঘোষণা দিতে পারেন বলে আশা করা হচ্ছে। এ সপ্তাহ শেষেই পাকিস্তান সফরে যাবেন বিন সালমান। পাকিস্তানের জন্য সৌদি আরব যে বিপুল অর্থের বিনিয়োগ প্যাকেজ তৈরি করেছে তা দেশটিকে অনেকটা চাপমুক্ত করবে বলেই ধারণা বিশ্লেষকদের। এ বিনিয়োগের মূলে আছে ১ হাজার কোটি ডলারের তেল শোধনাগার এবং পেট্রোকেমিক্যাল কমপ্লেক্স। যেটি নির্মিত হবে গোয়াদর বন্দরে। যেখানে চীন তাদের বেল্ট অ্যান্ড রোড প্রকল্পের আওতায় একটি বন্দর গড়ছে।
মুসলিম দেশ হওয়ার কারণে পাকিস্তানের সঙ্গে সৌদি আরবের দীর্ঘদিনের অটুট বন্ধন রয়েছে।গতবছর অক্টেবরের শেষ দিকে সৌদি আরব পাকিস্তানের অর্থনীতিকে সচল রাখতে ৬শ’ কোটি ডলার ঋণ দিয়েছিল। পাকিস্তানের খনি খাতেও সৌদি আরবের আগ্রহ আছে বলে জানিয়েছেন পাকিস্তানের বিনিয়োগ বোর্ডের চেয়ারম্যান। ওদিকে, পাকিস্তানের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক মন্ত্রী বলেছেন, “সৌদি আরবের প্রচুর সম্পদ আছে। তাদের বিনিয়োগ তহবিল ১ লাখ কোটি ডলারেরও বেশি। আমরা এর একটু ছিটেফোটা চাইছি মাত্র।”
পাকিস্তান সফরের পরই আগামী সপ্তাহে ভারতে যাওয়ার কথা রয়েছে সৌদি যুবরাজ বিন সালমানের। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর আমন্ত্রণে শীর্ষ ব্যবসায়ীদের নিয়ে যুবরাজ এ সফরে যাবেন বলে মঙ্গলবার জানিয়েছে ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রণালয়। গত নভেম্বরে মোদীর সঙ্গে জি-২০ সম্মেলনে আর্জেন্টিনায় দেখা হয়েছিল বিন সালমানের। সৌদি আরব সবচেয়ে বেশি অশোধিত তেল সরবরাহ করে ভারতেই। তবে দু দেশের মধ্যে সম্পর্ক কেবল তেলখাতেই সীমাবদ্ধ নেই। ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে বলেছে, সম্প্রতি কয়েকবছরে জ্বালানি, বাণিজ্য এবং বিনিয়োগসহ পারষ্পরিক স্বার্থসংশ্লিষ্ট কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্রে দু’দেশের মধ্যে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতার পরিসর বেড়েছে।
ভারতের এক কর্মকর্র্তা বলেন, সৌদি যুবরাজ জাতীয় বিনিয়োগ এবং অবকাঠামো তহবিলে প্রাথমিক বিনিয়োগের ঘোষণা দেবেন এবং এ বিনিয়োগ বিভিন্ন বন্দর এবং মহাসড়ক নির্মাণের কাজে গতি সঞ্চার করবে বলেই আশা করছেন তারা। তাছাড়া, সৌদি আরব ভারতের ফার্ম সেক্টরেও বিনিয়োগ করা এবং সৌদি আরবে পণ্য রপ্তানিতেও আগ্রহ প্রকাশ করেছে বলে জানিয়েছেন বণিজ্য মন্ত্রণালয়ের আরেক কর্মকর্তা।
সৌজন্যে : বিডিনিউজটোয়েন্টিফোর.কম