আন্তর্জাতিক সংবাদ

সৌদির কোরআন তিলাওয়াত প্রতিযোগিতায় বাংলাদেশী হাফেজ দ্বিতীয়

লিখেছেন মিরাজ রহমান

কিং আব্দুল আজিজ আন্তর্জাতিক কোরআন তিলাওয়াত প্রতিযোগিতায় তৃতীয় গ্রুপে (প্রথম ১৫ পারা) বিশ্বে দ্বিতীয় হয়েছেন বাংলাদেশের হাফেজ শিহাব উল্লাহ। পুরস্কার হিসেবে ৫০ হাজার সৌদি রিয়াল ও সম্মাননা ক্রেষ্ট হাতে তুলে দেন মক্কার গভর্নর খালিদ বিন ফয়সাল। শিহাব উল্লাহ ঢাকার যাত্রাবাড়ির তাহফিজুল কোরআন আস-সুন্নাহ মাদরাসার ছাত্র। তার গ্রামের বাড়ি কুমিল্লা।

১০৩টি দেশের ১৪৬ জন হাফেজ সৌদি আরবে অনুষ্ঠিত এ প্রতিযোগিতায় অংশ নেন। এর মধ্যে বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে শ্রেষ্ঠ ১২ জন হাফেজকে পুরস্কার প্রদান করা হয়। অনুষ্ঠানের শুরুতে কোরআন তেলোয়াত করেন বিভিন্ন আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায় পুরুস্কার প্রাপ্ত বাংলাদেশী হাফেজ জাকারিয়া।


৪১তম কোরআন তিলাওয়াত প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশের ধর্ম প্রতিমন্ত্রী শেখ মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ।


কাবা শরিফ মসজিদের নতুন ভবনে আয়োজিত ৪১তম কোরআন তিলাওয়াত প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের ধর্ম প্রতিমন্ত্রী আলহাজ এডভোকেট শেখ মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ আমন্ত্রিত সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন সৌদি আরবের ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রী ডক্টর আব্দুল লতিফ বিন আলশেখ ও মক্কার হারাম শরিফের সিনিয়র ইমাম ডক্টর শেখ আব্দুর রহমান আল সুদাইস।

এ অনুষ্ঠানে ধর্ম প্রতিমন্ত্রী শেখ মোহাম্মদ আব্দুল্লাহর উপস্থিতিতে সন্তোষ প্রকাশ করেন মক্কার মেয়র ও সৌদি আরবের ধর্ম মন্ত্রীসহ উর্ধতন কর্মকর্তারা। ধর্ম প্রতিমন্ত্রী এ সময় জানান, ভবিষ্যতে বাংলাদেশও এরকম কোরআন তিলাওয়াত প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হবে। এসময় তিনি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তাঁর কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ ও সৌদি আরবের গভীর বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের কথা স্মরণ করিয়ে দেন।

Comment

লেখক পরিচিতি

মিরাজ রহমান

গতানুগতিক ধারার বাইরে থেকে কাজ করে ইতিমধ্যেই বেশ জনপ্রিয়তা অর্জন করেছেন মিরাজ রহমান। পেশায় পুরোদস্তুর একজন সাংবাদিক হলেও কেবল ইসলামকে ঘিরেই আবর্তিত তার ধ্যান-জ্ঞান। দৈনিক পত্রিকার ইসলাম পাতায় লেখালেখি থেকে তিনি পরিচিত হয়ে উঠেছেন বটে, কিন্তু একসময় শিল্প চর্চায়ও ছিলেন বেশ মনোযোগী।
মিডিয়ায় সক্রিয়ভাবে কাজ শুরু করেছেন যখন, তখনও তিনি ছাত্র। মাদানিনগর মাদরাসার কাফিয়া জামাতের (শ্রেণি) শিক্ষার্থী থাকা অবস্থায় কণ্ট্রিবিউটর হিসেবে প্রথম কাজ শুরু করেন দৈনিক যুগান্তরে। ধারালো লিখনী শক্তি অল্পদিনের মধ্যে পরিচিত করে তোলে তাকে। দেশের জাতীয় দৈনিক পত্রিকার প্রায় সবগুলোতেই ইসলামবিষয়ক কলাম ও ফিচার লিখেছেন দীর্ঘ সময়। জাতীয় প্রিন্ট মিডিয়াগুলোতে তার অন্তত দুই সহস্রাধিক প্রবন্ধ-নিবন্ধ প্রকাশিত হয়েছে।
মিরাজ মূলত পড়াশুনা করেছেন কওমি শিক্ষাধারায়, এর পাশাপাশি তিনি জেনারেল শিক্ষাধারায়ও পড়াশুনা করছেন। সহ-সম্পাদক হিসেবে প্রথম যোগদান করেন দৈনিক ডেসটিনি পত্রিকায়। সেখান থেকে দৈনিক কালের কণ্ঠে। দেশে-বিদেশে অনলাইন গণমাধ্যমের জয়যাত্রা শুরু হলে মিরাজ ইন্টারনেট জগতকে ইসলাম প্রচারের জন্য সবচেয়ে সম্ভাবনাময় ক্ষেত্র বিবেচনা করে অনলাইনেই গাঁটছাড়া বাঁধেন। দেশের প্রথম পূর্ণাঙ্গ ইসলামবিষয়ক অনলাইন পোর্টাল প্রিয়.কমের ‘প্রিয় ইসলাম’-এর সৃষ্টি ও পথচলার সূচনা তারই হাতে। দীর্ঘদিন কাজ করেছেন প্রিয়.কমের প্রিয় ইসলাম বিভাগের এডিটর ইনচার্জ। সর্বশেষ কর্মরত ছিলেন দৈনিক বাংলাদেশের খবরের ফিচার ইনচার্জ হিসেবে।
টেলিভেশনে অনুষ্ঠানের উপস্থাপনা ও আলোচনার সঙ্গেও ইতিমধ্যে যুক্ত হয়েছেন মিরাজ রহমান। পরিচালনা করেছেন বেশ কিছু অনুষ্ঠানও। এসো কলম মেরামত করি, ছোটদের নবী-রাসূল সিরিজ, তাবলিগী জামাতের পৃষ্ঠপোষক-মুরুব্বি ছিলেন যাঁরা, শরয়ী পর্দার বিধান, আশিক মিন ফিলিস্তিন, নারী তুমি সৌভাগ্যবতী ও হালাল ব্যবসা ও হালাল অর্থনীতির কথকতাসহ বেশ কিছু আলোড়ন সৃষ্টিকারী গ্রন্থেও জনক তিনি। বর্তমান তিনি ইসলাম প্রতিদিনের সম্পাদক ও প্রকাশক এবং দ্য সুলতান প্রকাশনীর প্রধান নির্বাহী হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।