আন্তর্জাতিক সংবাদ

সৌদি আরবে উৎপাদিত হচ্ছে বিশ্বের সবচেয়ে দামি চাল

সৌদি আরব নামটি শুনলেই দৃশ্যপটে ভেসে উঠে মরুভূমির একটি দেশ। মরুভূমির বুকচিরে চলে যাওয়া উটের ছবি। পানি এবং বৃষ্টির অভাবে যে দেশে উদ্ভিদ জন্মানোই কষ্টসাধ্য, সেখানে এখন উৎপাদিত হচ্ছে ধান। সৌদি আরবের পূর্বাঞ্চলীয় প্রশাসনিক এলাকা আল-আহসায় উৎপাদিত হচ্ছে বিশ্বের সবচেয়ে ব্যয়বহুল ও দামি ধান। সম্প্রতি আল আহসা অঞ্চলের কৃষকদের ধান কাটার কয়েকটি ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পরায় বিষয়টি বিশ্ববাসীর নজরে আসে এবং প্রসংশিত হন সৌদিকৃষকরা।

রিয়াদভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল আরাবিয়া উর্দু নিউজের এক প্রতিবেদনে আল আহসা গ্রামের কৃষকদের ধান কাটার ছবি পোস্ট করে বলা হয়, এইসব ছবি পৃথিবীর কোটি কোটি মানুষের নজর কেড়েছে। সৌদি আরবের এই গ্রামে ধান উৎপাদনের সময় চলছে এখন। অত্যন্ত ব্যয়বহুল ও মূল্যবান এ ধানের শীষ এখন আল আহসার কৃষকদের মনে আনন্দের জোয়ার এনে দিচ্ছে। ভোর হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে জমিতে চলে যাচ্ছেন কৃষকেরা এবং কাজ করেন সন্ধ্যা পর্যন্ত।



আল-আরবিয়া ডটকমের ওই প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, আল-আহসার লাল চাল বিশ্বের সর্বাধিক বিখ্যাত এবং দামি চাল হিসাবে পরিচিতি। বিশেষ ওই ধানের চাল দিয়ে অত্যন্ত সুস্বাদু ও মজাদার খাবার তৈরি হয়। আশ্চর্যের বিষয় হলো, আল-আহসা নামক এই গ্রামটিতে বহু শতাব্দী পূর্ব থেকেই ধানের চাষ হচ্ছে এবং উৎপাদিত হচ্ছে বিশ্বের সবচেয়ে দামি চাল। সৌদি সংবাদসংস্থাগুলোর সূত্রে জানা যায়,  আল-আহসায় উৎপাদিত এ চালের প্রতি কেজির মূল্য ২৫ রিয়ালেরও বেশি। বাংলাদেশি মুদ্রায় যার মূল্য দাঁড়ায় ১০৬৬ টাকার কম-বেশি! সৌদি আরবরসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে এ চাল বাজারজাত করা হয়।

Comment

লেখক পরিচিতি

মুহাম্মদ বিন ওয়াহিদ

মুহাম্মদ বিন ওয়াহিদ— তরুণ সংবাদকর্মী ও সম্পাদক হিসেবে পরিচিত। ময়মনসিংহের ভালুকা উপজেলার ডাকাতিয়া গ্রামের বাসিন্দা। প্রাথমিক শিক্ষাজীবন শুরু গ্রামের মক্তব থেকে। ৭ বছর বয়সে নিজ ইচ্ছায় ইসলামী শিক্ষা শুরু করেন ঢাকার ঐতিহ্যবাহী ধর্মীয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠান জামি'আ রাহমানিয়া আরাবিয়ায়। সেখানে দীর্ঘ ১২ বছর পড়াশোনা করে উচ্চতর শিক্ষা গ্রহণের জন্য চলে যান ভারতের দারুল উলুম দেওবন্দে। সেখানে দেড় মাস অবস্থান করে পারিপার্শ্বিক অবস্থার অবনতির জন্য দেশে চলে আসতে হয় তাকে। সর্বশেষ ২০২০ সালে তিনি জামিয়া শারঈয়্যা মালিবাগে দাওরায়ে হাদিস অধ্যয়ন করছেন।
২০১২ সালে মিজান জামাত থেকে লেখালেখির সূচনা করেন এবং এর কিছুদিন পর থেকেই বিভিন্ন ছোট কাগজে, গল্প,কবিতা, প্রবন্ধ-নিবন্ধ, ভ্রমণকাহিনিসহ নানা বিষয়ে তিনি নিয়মিত লিখতে থাকেন। ২০১৭ সালে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর হিজরত পরবর্তী জীবন নিয়ে ৬৪ পৃষ্ঠার চমৎকার একটি উপন্যাসের বইও তিনি রচনা করেন। যা মানবাধিকার প্রকাশন থেকে প্রকাশিত হয়েছে।
২০১৯ সাল থেকে দৈনিক যুগান্তর,দৈনিক আমার সংবাদ,দৈনিক আমাদের সময়, দৈনিক আলোকিত বাংলাদেশ,বার্তা২৪, দুরন্ত নিউজ, ইনসাফ, আওয়ার ইসলাম এবং ইসলাম প্রতিদিনসহ দেশের সব জাতীয় দৈনিকে তিনি নিয়মিত লিখে চলেছেন। এছাড়াও কাজ করছেন ইসলাম প্রতিদিনের আন্তর্জাতিক ডেক্সে।