আন্তর্জাতিক সংবাদ

ফিলিস্তিনের নাম মুছে ফেলা হল গুগল ও অ্যাপেল ম্যাপ থেকে

সম্প্রতি গুগল ও অ্যাপেলের বিশ্ব মানচিত্র থেকে ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের নামটি মুছে ফেলা হয়েছে। গুগল ম্যাপের বর্তমান সংস্করণে এবং অ্যাপেল ম্যাপের আপডেট ভার্সনে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না ফিলিস্তিন বা প্যালেস্টাইন নামের কোনো দেশ। প্যালেস্টাইন লিখে ম্যাপে সার্চ করলে দেখা মিলছে ইসরাইল, জেরুজালেম ও গাজা ইত্যাদি নাম।

বিষয়টি নিয়ে সারা বিশ্বের সচেতন মুসলিম অঙ্গনে সমালোচনার ঝড় বইছে। ব্যাপক প্রতিবাদ চলছে বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে।

আন্তর্জাতিক বিভিন্ন মিডিয়া হাউজের পাশাপাশি দ্য ইসলামিক ইনফরমেশন.কমে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে বলা হয়, ‘খবরটির সত্যতা যাচাইয়ের জন্য আমরাও অনুসন্ধানে নামি এবং নিশ্চিত হই গুগল ও অ্যাপেল ম্যাপ থেকে ফিলিস্তিনকে মুছে দেওয়া হয়েছে।’ প্রতিবেদনে আরও বলা হয়,‘ অনুসন্ধানকারীরা গুগল ম্যাপে এখন কেবল জেরুজালেম, মসজিদে আকসা ও ইসরাইলকে দেখতে পাচ্ছেন। প্যালেস্টাইন নামের কোনো নামই নেই এ ম্যাপদ্বয়ে।’

উদ্বেগের বিষয় হলো, বিশ্বমানচিত্র থেকে ফিলিস্তিনকে এভাবে মুছে দেওয়া কোনো কারণ দর্শায়নি গুগল ও অ্যাপেল কর্তৃপক্ষ।

গুগল কর্তৃক ফিলিস্তিনের প্রতি এমন আচরণ এই প্রথমবার নয়, ২০১৬ এবং ২০১৮ সালেও তারা বিশ্বমানচিত্র থেকে ফিলিস্তিনকে মুছে দিয়েছিল। পরে তীব্র প্রতিবাদের মুখে পুনোরায় দেশটিকে মানচিত্রে যোগ করতে বাধ্য হয় তারা।

২০২০ সালে সংযোজিত গুগলের পরিমার্জিত ম্যাপ থেকে ফিলিস্তিনকে মুছে দেওয়াও বিষয়টির তীব্র নিন্দা জানাচ্ছেন শত কোটি মুসলিম সম্প্রদায় এবং দেশটির নামকে পুনরায় বিশ্ব মানচিত্রে যুক্ত করার জন্য আহবান জানানো হচ্ছে বিভিন্নভাবে।

বিষয়টির ব্যাপারে বাংলাদেশস্থ ফিলিস্তিন দূতাবাসের মাননীয় রাষ্ট্রদূত ইউসুফ এস ওয়াই রামাদান কাছে মতামত জানতে চওয়া হয়। ইসলাম প্রতিদিনকে তিনি ওভারফোনে বলেন,



মুসলিমবিশ্বের অত্যন্ত মর্যাদাপূর্ণ একটি দেশ ফিলিস্তিন। বিশ্বমানচিত্রে ফিলিস্তিনের অবস্থানকে এভাবে নিশ্চিহ্ন করে দেওয়ার বিষয়টিকে সাধারণ কোনো বিষয় মনে করছেন না কোটি কোটি মুসলিম জনতা। অতীতেত মতো নিজেদের ভুল বুঝে আবারও বিশ্বমানচিত্র ফিলিস্তিনের নামকে অক্ষুন্ন রাখবেন গুগল ও অ্যাপেল কর্তৃপক্ষ— এমনটাই প্রত্যাশা রইলো।

Comment

লেখক পরিচিতি

মুহাম্মদ বিন ওয়াহিদ

মুহাম্মদ বিন ওয়াহিদ— তরুণ সংবাদকর্মী ও সম্পাদক হিসেবে পরিচিত। ময়মনসিংহের ভালুকা উপজেলার ডাকাতিয়া গ্রামের বাসিন্দা। প্রাথমিক শিক্ষাজীবন শুরু গ্রামের মক্তব থেকে। ৭ বছর বয়সে নিজ ইচ্ছায় ইসলামী শিক্ষা শুরু করেন ঢাকার ঐতিহ্যবাহী ধর্মীয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠান জামি'আ রাহমানিয়া আরাবিয়ায়। সেখানে দীর্ঘ ১২ বছর পড়াশোনা করে উচ্চতর শিক্ষা গ্রহণের জন্য চলে যান ভারতের দারুল উলুম দেওবন্দে। সেখানে দেড় মাস অবস্থান করে পারিপার্শ্বিক অবস্থার অবনতির জন্য দেশে চলে আসতে হয় তাকে। সর্বশেষ ২০২০ সালে তিনি জামিয়া শারঈয়্যা মালিবাগে দাওরায়ে হাদিস অধ্যয়ন করছেন।
২০১২ সালে মিজান জামাত থেকে লেখালেখির সূচনা করেন এবং এর কিছুদিন পর থেকেই বিভিন্ন ছোট কাগজে, গল্প,কবিতা, প্রবন্ধ-নিবন্ধ, ভ্রমণকাহিনিসহ নানা বিষয়ে তিনি নিয়মিত লিখতে থাকেন। ২০১৭ সালে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর হিজরত পরবর্তী জীবন নিয়ে ৬৪ পৃষ্ঠার চমৎকার একটি উপন্যাসের বইও তিনি রচনা করেন। যা মানবাধিকার প্রকাশন থেকে প্রকাশিত হয়েছে।
২০১৯ সাল থেকে দৈনিক যুগান্তর,দৈনিক আমার সংবাদ,দৈনিক আমাদের সময়, দৈনিক আলোকিত বাংলাদেশ,বার্তা২৪, দুরন্ত নিউজ, ইনসাফ, আওয়ার ইসলাম এবং ইসলাম প্রতিদিনসহ দেশের সব জাতীয় দৈনিকে তিনি নিয়মিত লিখে চলেছেন। এছাড়াও কাজ করছেন ইসলাম প্রতিদিনের আন্তর্জাতিক ডেক্সে।