নামাজ বেসিক ইসলাম

ঘরে জামাতে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ ও জুমআ আদায় করবেন কীভাবে?

লিখেছেন মিরাজ রহমান

করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা দিন দিন বৃদ্ধি পাওয়ায় মসজিদের জামাতে সাধারণ মুসল্লিদের অংশগ্রহণকে সীমিত বা এক প্রকার নিষিদ্ধ করেছে ধর্ম মন্ত্রণালয়। লকডাইন অবস্থায় ঘরে সময় কাটছে অধিকাংশ মানুষের। এছাড়া অনেকেই রয়েছেন হোম কোয়ারেন্টাইন অথবা আইসোলেশনে। এসব অবস্থায় সরকারী নিদের্শ ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে ঘরে একাকী অথবা জামাতে নামাজ আদায় করার পরামর্শ দিয়েছেন ইসলামী বিশেষজ্ঞরা। ঘরে জামাতে নামাজ আদায় করার নিয়ম কী? লকডাউন অবস্থায় শুক্রবার মসজিদে জুমআর নামাজ আদায় করা সম্ভব না হলে, ঘরে জুমআর নামাজ আদায় করতে হবে নাকি পরতে হবে সেদিনের জোহরের নামাজ? এছাড়া করোনায় আক্রান্ত হয়ে হোম কোয়ারেন্টাইন অথবা আইসোলেশনে রয়েছেন যারা, কীভাবে নামাজ আদায় করবেন তারা? —এমন প্রশ্ন এখন সবার। চলুন তাহলে, আমরা এসব প্রশ্নের সঠিক উত্তর জেনে নেই।

প্রথমেই জানা যাক, করোনায় আক্রান্ত হয়ে হোম কোয়ারেন্টাইন অথবা আইসোলেশনে আছেন যারা, তারা কীভাবে নামাজ পড়বেন? মনে রাখতে হবে করোনায় আক্রান্ত হওয়া মানেই নিশ্চিত মৃত্যু নয়। সারাবিশ্বে এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণকারীর সংখ্যার চেয়ে সুস্থ হয়ে ঘরে ফেরা মানুষের সংখ্যা এখনও বেশি। সুতরাং মনোবল দৃঢ় রাখুন। পরিবারের অন্য সদস্যদের থেকে আলাদা হয়ে মহান প্রভুর দরবারে তাওবা-প্রার্থনা ও ইবাদত-বন্দেগীতে সময় কাটান এবং ডাক্তারের পরামর্শ নিন। এক্ষেত্রে আক্রান্ত ব্যক্তির পক্ষে যেভাবে সম্ভব একাকী নামাজ আদায় করবেন তিনি। বুখারি শরীফে হজরত ইমরান ইবনে হুসাইন (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমার অশ্ব রোগ ছিল, এ অবস্থায় কীভাবে নামাজ আদায় করবো, তা রাসুলকে (সা.) জিজ্ঞাসা করলাম। তিনি বললেন, দাঁড়িয়ে নামাজ আদায় কর, যদি না পার তবে বসে কর, তাও যদি না পার তাহলে এক পার্শ্বের উপর আদায় কর। অন্য বিভিন্ন বর্ণনায় শুয়ে এবং ইশারায় নামাজ আদায় করারও কথা এসেছে। সুতরাং যে বা যারা করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন, মহান প্রভূর প্রতি ভরসা রেখে একাকী নামাজ আদায় করুন এবং পরিবারের সদস্যদের সুস্থ থাকতে সহযোগিতা করুন। আল্লাহ চাহে সুস্থ হলে আবার জামাতে নামাজ আদায় করতে পারবেন ইনশা আল্লাহ

লকডাউন অবস্থায় ঘরে জামাতে নামাজ আদায় করার জন্য আজান দিতে হবে নাকি হবে না? জামাতে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায়ের জন্য আজান ও ইকামত দেওয়া সুন্নতে মুআক্কাদা। ঘরে জামাতের জন্য আজান ও ইকামত দেওয়া উত্তম। তবে না দিলেও চলবে। কারণ, মহল্লার মসজিদের আজান-ইকামত মহল্লাবাসীদের জন্য যথেষ্ট। কিন্তু মহল্লার মসজিদ যদি বন্ধ থাকে, তাতে আজান-ইকামত যদি না হয়; তাহলে ঘরের জামাতে নামাজ আদায়ের জন্য আজান-ইকামত দেওয়াই বাঞ্চনীয়।

এবার আসি ঘরের জামাত প্রসঙ্গে— ঘরে জামাতে নামাজ আদায়ের ক্ষেত্রে কী কী সুরত হতে পারে এবং এসব সুরতে কে কোথায় এবং কীভাবে কাতারে দাঁড়াবেন?  ঘরে জামাতে নামাজ আদায়ের ক্ষেত্রে মোট ৭ (সাতটি) সুরত হতে পারে। সুরতগুলোতে কাতারে দাঁড়ানোর নিয়ম বা বিধান হলো— ১. জামাতে নামাজ পরার জন্য যদি ঘরে শুধু পিতা ও পুত্র অথবা দুইজন পুরুষ উপস্থিত থাকেন, তখন কীভাবে দাঁড়াবেন? এক্ষেত্রে ইমামতির জন্য যোগ্য পুরুষ ইমামতি করবেন এবং অন্য পুরুষ ইমামের ডান পাশে সামান্য পেছনে দঁড়াবেন। ২. ঘরে যদি পিতা ও একাধিক পুত্র বা একাধিক পুরুষ থাকেন, তখন কীভাবে দাঁড়াবেন? এক্ষেত্রে ইমামতির জন্য যোগ্য পুরুষ ইমামতি করবেন এবং বাকি পুরুষগণের একজন ইমামের সরাসরি পেছনে দাঁড়িয়ে এরপরের জন প্রথমে ডানে অন্যজন বামে দাঁড়াবেন। সদস্য আরো বেশি হলে প্রথমে ডানে পরে বামে দাঁড়াবেন। ৩. জামাতে নামাজ পরার জন্য যদি ঘরে শুধু স্বামী ও স্ত্রী থাকেন, তখন কীভাবে দাঁড়াবেন? এক্ষেত্রে স্বামী ইমামতি করবেন এবং স্ত্রী ইমামের সরাসরি পেছনে দাঁড়াবেন। ৪. স্বামী-স্ত্রী বা বাবা-মায়ের সাথে জামাতে নামাজ পরার জন্য যদি ঘরে এক পুত্র থাকেন, তখন কীভাবে দাঁড়াবেন? এক্ষেত্রে স্বামী ইমামতি করবেন এবং স্ত্রী ইমামের সরাসরি পেছনে দাঁড়াবেন আর পুত্র ইমামের ডান পাশে সামান্য পেছনে দাঁড়াবেন। ৫. স্বামী-স্ত্রী বা বাবা-মায়ের সাথে একাধিক পুত্র থাকলে, তখন কীভাবে দাঁড়াবেন? এক্ষেত্রে স্বামী বা বাবা অথবা ইমামতির জন্য অধিক যোগ্য পুরুষ ইমামতি করবেন আর বাকি পুরুষ বা পুত্ররা ইমামের সরাসরি পেছনে এবং স্ত্রী বা মা পুত্রদের পেছনের কাতারে দাঁড়াবেন। ৬. স্বামী-স্ত্রী বা বাবা-মায়ের সাথে এক বা একাধিক কন্যা থাকলে, তখন কীভাবে দাঁড়াবেন? এক্ষেত্রে স্বামী ইমামতি করবেন এবং স্ত্রী ও এক বা একাধিক কন্যার একজন ইমামের সরাসরি পেছনে দাঁড়িয়ে এরপরের জন প্রথমে ডানে অন্যজন বামে দাঁড়াবেন। সদস্য আরো বেশি হলে প্রথমে ডানে পরে বামে দাঁড়াবেন। ৭. স্বামী-স্ত্রী বা বাবা-মায়ের সাথে এক বা একাধিক পুত্র ও এক বা একাধিক কন্যা থাকলে, তখন কীভাবে দাঁড়াবেন? এক্ষেত্রে স্বামী বা ইমামতির জন্য অধিক যোগ্য পুরুষ ইমামতি করবেন আর বাকি পুত্র বা পুরুষরা সরাসরি ইমামের পেছনে দাঁড়াবেন এবং এক বা একাধিক কন্যা মায়ের সাথে পুরুষ বা পুত্রদের পেছনের কাতারে দাঁড়াবেন।



উল্লেখিত ৭টি সুরাতে জামাতে নামাজ আদায় করার ক্ষেত্রে যেসব বিষয়গুলো গুরুত্বের সাথে বিবেচনায় রাখতে হবে, সেগুলো হলো—  ১. স্বামী-স্ত্রী অথবা মা-পুত্র অথবা ভাই-বোন অথবা পিতা-কন্যা জামাতবদ্ধ হতে পারবে। কোনোভাবেই যেন ইসলামের পর্দার বিধান লঙ্ঘিত না হয়, সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। ২. সেজদাতে নারী মুক্তাদির মাথা যেন কোনোভাবেই পুরুষ মুক্তাদির পায়ের পাশাপাশি না হয়, সেদিকেও খেয়াল রাখতে হবে। সামনে পেছনে করে দাঁড়াতে হবে। ৩. নারী মুক্তাদিরা কোনো অবস্থাতেই জামাতে নামাজ পড়াকালীন সময় কোনো পুরুষের পাশাপাশি দাঁড়াতে পারবেন না। ৪. ইমান নির্বাচনের ক্ষেত্রে অবশ্যই ইমামতির জন্য যোগ্যতা তথা শুদ্ধ তিলাওয়াত, প্রাপ্তবয়স্ক হওয়াসহ বাকি গুণগুলো বিবেচনায় রাখতে হবে। ৫. নামাজের জামাতে কাতারবদ্ধ হওয়ার সুন্নত পদ্ধতি হলো— প্রথমে বালেগ পুরুষ দাঁড়াবে, এরপর নাবালেগ বা অপ্রাপ্ত বয়স্ক বালক দাঁড়াবে। যদি নারীরা জামাতে অংশগ্রহণ করে তারা সবার পেছনে দাঁড়াবে। প্রথমজন সরাসরি ইমামের পেছনে দাঁড়াবেন। এরপর একজন ডানে অপরজন বামে এভাবে দাঁড়াবেন। সদস্য আরো বেশি হলে প্রথমে ডানে পরে বামে দাঁড়াবেন।

ঘরে যদি গায়রে মাহরাম বা যাদের সাথে ইসলামে পর্দার বিধান রয়েছে, এমন এক বা একাধিক নারী থাকেন এবং তারাও যদি নামাজের জামাতে অংশ গ্রহণ করতে আগ্রহী হন তাহলে করণীয় কী? খুলাসাতুল ফাতওয়া নামক গ্রন্থের ১ খণ্ডের ২২৮ নং পৃষ্ঠায় এবং আপকে মাসায়েল আওর উনকে হাল নামক গ্রন্থের ২ খন্ডের ২২৭ নং পৃষ্ঠায় বলা হয়েছে, গায়রে মাহরাম বা ইসলামী বিধান মতে যাদের সাথে পর্দা করা ফরজ, এমন নারীরা যদি ঘরে নামাজের জামাতে শরিক হতে চায়, অবশ্যই তারা পর্দার আড়ালে থেকে জামাতে অংশগ্রহণ করবে। পর্দার বিধান লঙ্ঘন করে নামাজের জামাত করা বৈধ নয়।

নারীদের জামাতে নামাজের ব্যাপারে আরেকটি প্রশ্ন হলো, কোনো ঘরে যদি পুরুষ না থাকে তখন কি শুধু নারীরা জামাতে নামাজ আদায় করতে পারবেন? ফাতওয়ে দারুল উলুম গ্রন্থের ৩ খন্ডের ৪৩ নং পৃষ্ঠায় উল্লেখ করা হয়েছে, ঘরে বা অন্য কোথাও নারীরা একত্রিত হয়ে কোনো নারীকে ইমাম বানিয়ে নামাজের জামাত করা মাকরূহে তাহরিমি তথা নাজায়েজ। সুতরাং কোনো ঘরে যদি কোনো পুরুষ না থাকে শুধু নারী থাকে; তাহলে তারা একাকী আলাদা আলাদাভাবে নামাজ আদায় করবেন। প্রসঙ্গত রাসুল (সা.)-এর জামানায় তার স্ত্রীগণ একত্রিত হয়ে জামাতে নামাজ আদায় করার কোনো প্রমাণ কোনো হাদিস শরিফে পাওয়া যায় না। এখানে আরেকটি বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য আর তা হলো— কোনো নামাজের জামাতে নারীদের ইমাম হওয়ার বা ইমামতি করার বিষয়টিও ইসলামে নিষিদ্ধ।

লকডাউন অবস্থায় শুক্রবার মসজিদে গিয়ে জুমআর নামাজ আদায় করা সম্ভব না হলে ঘরে সেদিনের জোহরের নামাজ পড়তে হবে নাকি ঘরে জুমআর নামাজ আদায় করা সম্ভব? জুমআর নামাজ আদায় সঠিক হওয়ার জন্য ইসলাম প্রদত্ত বিশেষ কিছু শর্ত রয়েছে। তন্মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ শর্ত হলো, জনবসতিপূর্ণ স্থান হওয়া এবং ইজনে আম বা জনসাধারণের অংশ গ্রহণগত অনুমতি থাকা। বাসা বা ঘর যেহেতু জনবসতিপূর্ণ স্থান না, শুধু পরিবারের লোকজন থাকে এবং বাসায় ঢালাওভাবে যে কোনো মানুষের প্রবেশেরও অনুমতিও যেহেতু থাকে না সুতরাং ঘরে জুমআর নামাজ আদায় করা ঠিক হবে না। ইসলামী শরীয়তের আরো কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিধান পরিপন্থী হওয়ায় ঘরে জুমআর নামাজ আদায় সহিহ হবে না বলে মন্তব্য করেছেন বহু ইসলামী আইনবিশেষজ্ঞ। তবে কোনো কোনো ইসলামী আইনবিদ ঘরের দরজা খোলা রেখে অথবা বেশ কিছু ফ্লাটের বাসিন্দা মিলে একই দালান বা ভবনে জুমআর নামাজ আদায় করা অনুমিত দিলেও ঘরে বা বাসায় থাকাকালীন শুক্রবারে জুমআর নামাজ না পড়ে একাকী সেদিনের জোহরের নামাজ আদায় করাই উত্তম এবং এটাই অধিক বিধানসম্মত।

সুপ্রিয় দর্শক-শ্রোতা! এখন পর্যন্ত করোনাভাইরাসের কোনো প্রতিষেধক আবিস্কৃত না হওয়ায় বিশেষজ্ঞরা যেহেতু সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখাকে গুরুত্ব দিচ্ছেন এবং এর ওপর ভিত্তি করে ইসলামী শরীয়াহ মোতাবেক ঘরে নামাজ আদায়ের সিন্ধান্ত গ্রহীত হয়েছে সুতরাং প্রত্যেক মুসলমানের উচিত ইসলাম প্রদত্ত মহামারীকালীন বিধান মেনে ঘরে একাকী বা জামাতে নামাজ আদায়ের মাধ্যমে মহান প্রভুর সন্তুষ্টি অর্জন সর্বোচ্চ সচেষ্ঠ থাকা। আল্লাহ আমাদের সবাইকে সুস্থ রাখুন এবং নিরাপদ রাখুন। আমিন।

Comment

লেখক পরিচিতি

মিরাজ রহমান

গতানুগতিক ধারার বাইরে থেকে কাজ করে ইতিমধ্যেই বেশ জনপ্রিয়তা অর্জন করেছেন মিরাজ রহমান। পেশায় পুরোদস্তুর একজন সাংবাদিক হলেও কেবল ইসলামকে ঘিরেই আবর্তিত তার ধ্যান-জ্ঞান। দৈনিক পত্রিকার ইসলাম পাতায় লেখালেখি থেকে তিনি পরিচিত হয়ে উঠেছেন বটে, কিন্তু একসময় শিল্প চর্চায়ও ছিলেন বেশ মনোযোগী।
মিডিয়ায় সক্রিয়ভাবে কাজ শুরু করেছেন যখন, তখনও তিনি ছাত্র। মাদানিনগর মাদরাসার কাফিয়া জামাতের (শ্রেণি) শিক্ষার্থী থাকা অবস্থায় কণ্ট্রিবিউটর হিসেবে প্রথম কাজ শুরু করেন দৈনিক যুগান্তরে। ধারালো লিখনী শক্তি অল্পদিনের মধ্যে পরিচিত করে তোলে তাকে। দেশের জাতীয় দৈনিক পত্রিকার প্রায় সবগুলোতেই ইসলামবিষয়ক কলাম ও ফিচার লিখেছেন দীর্ঘ সময়। জাতীয় প্রিন্ট মিডিয়াগুলোতে তার অন্তত দুই সহস্রাধিক প্রবন্ধ-নিবন্ধ প্রকাশিত হয়েছে।
মিরাজ মূলত পড়াশুনা করেছেন কওমি শিক্ষাধারায়, এর পাশাপাশি তিনি জেনারেল শিক্ষাধারায়ও পড়াশুনা করছেন। সহ-সম্পাদক হিসেবে প্রথম যোগদান করেন দৈনিক ডেসটিনি পত্রিকায়। সেখান থেকে দৈনিক কালের কণ্ঠে। দেশে-বিদেশে অনলাইন গণমাধ্যমের জয়যাত্রা শুরু হলে মিরাজ ইন্টারনেট জগতকে ইসলাম প্রচারের জন্য সবচেয়ে সম্ভাবনাময় ক্ষেত্র বিবেচনা করে অনলাইনেই গাঁটছাড়া বাঁধেন। দেশের প্রথম পূর্ণাঙ্গ ইসলামবিষয়ক অনলাইন পোর্টাল প্রিয়.কমের ‘প্রিয় ইসলাম’-এর সৃষ্টি ও পথচলার সূচনা তারই হাতে। দীর্ঘদিন কাজ করেছেন প্রিয়.কমের প্রিয় ইসলাম বিভাগের এডিটর ইনচার্জ। সর্বশেষ কর্মরত ছিলেন দৈনিক বাংলাদেশের খবরের ফিচার ইনচার্জ হিসেবে।
টেলিভেশনে অনুষ্ঠানের উপস্থাপনা ও আলোচনার সঙ্গেও ইতিমধ্যে যুক্ত হয়েছেন মিরাজ রহমান। পরিচালনা করেছেন বেশ কিছু অনুষ্ঠানও। এসো কলম মেরামত করি, ছোটদের নবী-রাসূল সিরিজ, তাবলিগী জামাতের পৃষ্ঠপোষক-মুরুব্বি ছিলেন যাঁরা, শরয়ী পর্দার বিধান, আশিক মিন ফিলিস্তিন, নারী তুমি সৌভাগ্যবতী ও হালাল ব্যবসা ও হালাল অর্থনীতির কথকতাসহ বেশ কিছু আলোড়ন সৃষ্টিকারী গ্রন্থেও জনক তিনি। বর্তমান তিনি ইসলাম প্রতিদিনের সম্পাদক ও প্রকাশক এবং দ্য সুলতান প্রকাশনীর প্রধান নির্বাহী হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।