স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার শর্ত সাপেক্ষে বৃহস্পতিবার (৭ মে) জোহর থেকে দেশের সব মসজিদে সামাজিক ও শারীরীক দূরত্ব বজায় রেখে ৫ ওয়াক্ত ও তারাবির নামাজ আদায় করা যাবে। ধর্ম মন্ত্রণালয়ের উপসচিব মো: সাখাওয়াৎ হোসেন স্বাক্ষরিত জরুরি বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
এতে বলা হয়, দেশের শীর্ষ স্থানীয় আলেম-উলামাগণ পবিত্র রমজানুল মোবারক মাসের গুরুত্ব বিবেচনা করে মসজিদে নামাজ আদায়ের শর্ত শিথিল করার জন্য প্রধানমন্ত্রী বরাবর জোর দাবি জানিয়েছেন। সম্প্রতি সরকার সার্বিক বিবেচনায় কিছু কিছু ক্ষেত্রে বন্ধ ঘোষণার নিষেধাজ্ঞা শিথিল করেছে। এ প্রেক্ষিতে মন্ত্রিাপরিষদ বিভাগ. জনস্বাস্থ্য বিবেচটনায় স্বাস্থ্য সেবা বিভাগ কর্তৃক জারিকৃত নির্দেশনাবলি অনুসরণপূর্বক বিশেষ সতর্কতামূলক বিষয়াদি মেনে চলার শর্তে ০৭ মে জোহরের ওয়াক্ত থেকে সুস্থ মুসল্লিদের মসজিদে জামায়াতে নামাজ আদায়ের সুযোগ প্রদান করছে।
শর্তগুলো হলো : ১/ মসজিদে কার্পেট বিছানো যাবে না। পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের পূর্বে সম্পূর্ণ মসজিদ জীবানুনাশক দ্বারা পরিস্কার করতে হবে, মুসল্লিরা সকলেই নিজ নিজ দায়িত্বে জায়নামাজ নিয়ে আসবেন। ২/ মসজিদে প্রবেশদ্বারে হ্যান্ড স্যানিটাইজার/ হাত থধোয়ার ব্যবস্থাসহ সাবান পানি রাখতে হবে এবং আগত মুসল্লিকে অবশ্যই মাস্ক পরে মসজিদে আসতে হবে। ৩/ প্রত্যেকে নিজ নিজ বাসা থেকে ওজু করে, সুন্নত নামাজ ঘরে আদায় করে মসজিদে আসতে হবে এবং ওজু করার সময় কমপক্ষে ২০ সেকেন্ড সাবান দিয়ে হাত ধুতে হবে। ৪/ কাতারে নামাজে দাড়ানোর ক্ষেত্রে সামাজিক দূরত্ব অর্থাৎ তিন ফুট পর পর দাঁড়াতে হবে। ৫/ এক কাতার অন্তর অন্তর কাতার করতে হবে। ৬/ শিশু বয়স্ক, বয়বৃদ্ধ যে কোন অসুস্থ ব্যক্তি এবং অসুস্থদের সেবায় নিয়োজিত ব্যক্তি জামায়াতে অংশ নিতে পারবেন না। ৭/ সংক্রমণ রোধ নিশ্চিতকল্পে মসজিদের ওজুখানায় সাবান/ হ্যান্ড স্যানিটাইজার রাখতে হবে। মসজিদে সংরক্ষিত জায়নামাজ ও টুপি ব্যবহার করা যাবে না। ৮/ সর্বসাধারণের সুরক্ষা নিশ্চিত করে, স্বাস্থ্য সেবা বিভাগ, স্থানীয় প্রশাসন এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নির্দেশনা অবশ্যই অনুসরণ করতে হবে। ৯/ মসজিদে ইফতার ও সেহরির আয়োজন করা যাবে না। ১০/ উল্লেখিত শর্ত পালন সাপেক্ষে প্রত্যেক মসজিদে সর্বোচ্চ পাঁচজন নিরাপদ দুরত্ব বজায় রেখে ইতেকাফ এর জন্য অবস্থান করতে পারবেন। ১১/ করোনাভাইরাস মহামারি থেকে রক্ষা পেতে নামাজ শেষে মহান রাব্বুল আলামিনের দরবারে দোয়া করার জন্য খতিব ও ইমামগণকে অনুরোধ করা যাচ্ছে। ১২/ খতিব, ইমাম এবং মসজিদ পরিচালনা কমিটি বিষয়গুলো বাস্তবায়ন নিশ্চিত করবে। এসব নির্দেশনা লঙ্ঘিত হলে স্থানীয় প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।
উল্লিখিত নির্দেশনা লংঘিত হলে স্থানীয় প্রশাসন ও আইন শৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণকারী বাহিনী সংশ্লিষ্ট দায়িত্বশীলদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। প্রাণঘাতি করোনা ভাইরাস সংক্রমন রোধে স্থানীয় প্রশাসন, আইন শৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণকারী বাহিনী, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং সংশ্লিষ্ট মসজিদের পরিচালনা কমিটিকে উল্লিখিত নির্দেশনা বাস্তবায়ন করার জন্য অনুরাধে জানানো হলো। যথাযথ কর্তৃপক্ষের অনুমাদোনক্রমে জনস্বার্থে এ বিজ্ঞপ্তি জারি করা হলো।