প্রত্যেক মুমিন-মুলমানের উচিত প্রত্যেক ভালো কাজ ‘বিসমিল্লাহ’ বলে শুরু করা। এতে কাজে বরকত আসার সম্ভাবনা যেমন ত্বরান্বিত হয়; তেমনই আল্লাহর আদেশ ও রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর সুন্নতও পালন হয়। বিভিন্ন নবী-রাসুলসহ সর্বশেষ ও সর্বশ্রেষ্ঠ নবী রাসুলুল্লাহ (সা.) এবং তাঁর সাহাবা আজমাইন, তাবেঈন ও তাবে-তাবেঈনদের আমল হয়ে বুজুর্গানে দ্বীনগণ সব কাজের শুরুতে ‘বিসমিল্লাহ’ বলেছেন এবং লিখেছেন। এক্ষেত্রে কোনো যুগে বিসমিল্লাহর কোনো সংক্ষিপ্ত রূপ ব্যবহারের ইতিহাস খুঁজে পাওয়া যায় না।
‘বিসমিল্লাহ’ লেখার এ বরকতময় ধারাবাহিকতায় হঠাৎ করেই একটি সূক্ষ্ম বিভ্রান্তি পরিলক্ষিত হয়। ‘বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম’র পরিবর্তে ‘৭৮৬’ সংখ্যার ব্যবহার করা করেন অনেকেই। ঠিক কবে থেকে এবং কীভাবে ‘বিসমিল্লাহ’র বিকল্প হিসেবে এই সংখ্যার ব্যবহার শুরু হয়, তার সঠিক ইতিহাস খুঁজে পাওয়া যায় না।
অনেকে বলেন, আরবি বর্ণ ‘বা’, ‘সিন’ ও ‘মীম’-এর সংখ্যামানের যোগফল হলো ‘৭৮৬’। আরবি বর্ণ ‘বা’, ‘সিন’ ও ‘মীম’ দ্বারা যেহেতু ‘বিসমিল্লাহ’ নির্মিত, সুতরাং ‘বিসমিল্লাহ’র বদলে ‘৭৮৬’ লেখা বৈধ। বাস্তবতা হলো এই বৈধতার শরীয়তগত কোনো বৈধতা নেই। কোরআন-হাদিস-ইজমা-কিয়াসের কোনো মূলনীতির আলোকেও এ ব্যবহারের কোনো বৈধতার স্বীকৃতি পাওয়া যায় না।
কাজেই যে বা যারা ‘বিসমিল্লাহ’র বিকল্প হিসেবে ‘৭৮৬’ ব্যবহারে অভ্যস্ত এবং এটাকেই বরকতময় ভাবেন; তাদের উচিত এটা ত্যাগ করে সম্পূর্ণরূপে ‘বিসমিল্লাহ’ ব্যবহার করা। ‘বিসমিল্লাহ’র বিকল্প হিসেবে ‘৭৮৬’ সংখ্যার ব্যবহারে ‘বিসমিল্লাহ’ পাঠ ও লেখার সওয়াব তো অর্জিত হবেই না, এ দিয়ে সুন্নতও আদায় হবে না। ‘বিসমিল্লাহ’র সংখ্যামান ‘৭৮৬’ হলেও নয়। (আহসানুল ফতোয়া)