আন্তর্জাতিক সংবাদ

বিশ্বের কোন কোন দেশে হিজাব নিষিদ্ধ?

লিখেছেন ফজলে রাববি

হিজাব নিষিদ্ধ বিশে^র যে সব দেশে

বিশ্বের বিভিন্ন দেশে মুসলিম নারীদের ব্যবহৃদ বোরকা ও হিজাব নিষিদ্ধ। প্রিয় দর্শক চলুন জেনে নেই, বিশে^র কোন কোন দেশে মুসলিমদের গুরুত্বপূর্ণ পর্দার বিধানে ব্যবহৃত হিজাব নিষিদ্ধ করা হয়েছে।

[১] ফ্রান্স
২০১১ সালে ফ্রান্সে মুসলিমদের জন্য মুখ ঢাকা সম্পূর্ণভাবে নিষিদ্ধ করা হয়।
[২] বেলজিয়াম
বেলজিয়ামের ইউরোপিয়ান কোর্ট অব হিউম্যান রাইটস ২০১৭ সালে মুসলিম নারীদের জন্য নিকাব পরিধান করাকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করে।
[৩] কঙ্গো
আফ্রিকার দেশগুলোর মধ্যে সর্বপ্রথম ২০১৫ সালে কঙ্গো প্রজাতন্ত্র বোরকা পরিধান নিষিদ্ধ করে।
[৪] চাঁদ
মুসলিম সংখ্যাগড়িষ্ট দেশগুলোর মধ্যে সর্বপ্রথম চাঁদ ২০১৫ সালে হিজাব নিষিদ্ধ করে।
[০৫] বুলগেরিয়া
২০১৬ সালে একটি বিল পাশের মাধ্যমে বুলগেরিয়ায় মুসলিম নারীদের জন্য চেহারা ঢাকা নিষিদ্ধ করে।
[০৬] অস্ট্রেলিয়া
২০১৭ সালে অস্ট্রেলিয়ায় মুখ ঢাকার উপর ১৩৫ ডলার জরিমানা ঘোষণা করে নিকাব নিষিদ্ধ করা হয়।
[০৭] ডেনমার্ক
দেশীয় কালচারের সাথে অসামাঞ্জস্য দাবি করে ২০১৮ সালে ডেনমার্কে বোরকা নিষিদ্ধ করা হয়।
[০৮] শ্রীলঙ্কা
২০১৯ সালে এক আত্মঘাতি হামলার পর নিকাব নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয় শ্রীলঙ্কায়।

 

[০৯] কানাডা
কানাডায় নিকাব পরিধানকে বেআইনী ঘোষণা করা হয়; এমনকি নিকাব পরিহিত কোনো নারী চাকুরি বা পাবলিক বাসেও চড়তে পাওে না।
[১০] জার্মানী
জার্মানীর প্রধানমন্ত্রী এ্যাঞ্জেল মার্কেল ২০১৬ সালে নিকাবকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করে।
[১১] ক্যামেরুন
ক্যামেরুন তাদের দেশে বোরকা নিষিদ্ধ করে ২০১৫ সালে।
[১২] মরোক্কো
২০১৭ সালে মরোক্কোয় হিজাব নিষিদ্ধ করা হয়। পাশাপাশি নিকাব বা বোরকা বেচাকেনাও নিষিদ্ধ করা হয়।
[১৩] ইতালি
১৯৭৫ সালে ইতালিতে মুসলিমদের হিজাবসহ সবরকম মুখ ঢাকার উপর আইন পাশ হয়।
[১৪] নেদারল্যান্ড
২০১২ সালে নেদারল্যান্ডে মুখম-ল ঢাকা ও নিকাব নিষিদ্ধ ঘোষিত হয়।
[১৫] সুইডেন
২০১২ সালে সুইডেন সরকার নিকাব পরিধান নিষিদ্ধ করে দেয়।
[১৬] নরওয়ে
নরওয়েতে জনসম্মুখে মুসলিম নারীদের জন্য নিকাবকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয় ২০১৬ সালে ।

 

Comment

লেখক পরিচিতি

ফজলে রাববি

ফজলে রাববি— তরুণ আলেমেদ্বীন ও মিডিয়াকর্মী। গাইবান্ধা জেলার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার থানাপাড়ায় তার জন্ম। পিতার নাম খাইরুল ইসলাম সরকার। দুই ভাই দুই বোনের মধ্যে সবার ছোট ফজলে রাববি।
মায়ের একান্ত ইচ্ছায় শৈশবেই মাদ্রাসা শিক্ষায় যাত্রা শুরু হয়। এরপর মা ও বড় বোনের উৎসাহ-অনুপ্রেরণায় এগিয়ে চলা। ছোটবেলা থেকেই স্বপ্নবাজ একজন মানুষ তিনি।
কওমি মাদ্রাসা শিক্ষার পাশাপাশি জেনারেল শিক্ষাধারাতেও পড়াশুনা করছেন রাববি। বর্তমানে দেশের অন্যতম বিদ্যাপিঠ পাহাড়ঘেরা মায়াহরিণের ক্যাম্পাস চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে আরবী বিভাগে অধ্যয়ন করছেন।
পড়াশুনার পাশাপাশি প্রিন্ট ও ইলেকট্রিক মিডিয়ায় রয়েছে সরব উপস্থিতি। রেডিও, টেলিভিশন ও দেশি-বিদেশী মিডিয়ায় কাজ করার অভিজ্ঞতাও রয়েছে। এছাড়াও তার রয়েছে দাওয়াহ ও সেবামূলক কাজে ব্যাপক আগ্রহ ও অংশগ্রহণ।
মিডিয়ার মাধ্যমে ইসলামের বাণীকে ছড়িয়ে দিতে চান বিশ্বময়। আরো বহুদূর যেতে চান তরুণ এই স্কলার। বর্তমানে কাজ করছেন ইসলাম প্রতিদিনের ইন্টারন্যাশনাল ডেক্সের ইনচার্জ হিসেবে।