দুবাই প্রদেশের আল-খাওয়ানিজ অঞ্চলে ৬৪ হেক্টর জমির ওপর গড়ে তোলা হয়েছে কুরআনিক গার্ডেন ‘হলি কুরআন পার্ক’। দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর গত ২৯ মার্চ এ কুরআনিক পার্কের উদ্বোধন করা হয়। কুরআনিক পার্ক গড়ে তোলার মূল উদ্দেশ্য হলো বিভিন্ন সংস্কৃতি ও ধর্ম-বর্ণের মানুষের সঙ্গে বিজ্ঞান এবং সংস্কৃতির সেতুবন্ধ।
কুরআনে বর্ণিত বিভিন্ন সৃষ্টি, উদ্ভিদ ও ঘটনার সঙ্গে মিল রেখেই তৈরি করা হয়েছে এ কুরআনিক গার্ডেন। এ কুরআনিক গার্ডেনে রয়েছে মূল প্রবেশদ্বার, প্রশাসনিক ভবন, ইসলামিক বাগান, শিশুদের খেলার স্থান, দর্শনীয় স্থান, উন্মুক্ত আঙ্গিনা এবং কুরআনের অলৌকিক ঘটনার বর্ণনাসমৃদ্ধ এলাকা।
কুরআনে বর্ণিত ঘটনার কোনো বর্ণনার চিত্রায়ন ও সাজসজ্জা বাদ যায়নি এ পার্কে। এ পার্কে রয়েছে মরুদ্যান, পাম বাগান, নয়নাভিরাম লেক, চলমান রাস্তা এবং সাইক্লিনিং ট্র্যাক ও হাঁটার রাস্তা। দুবাই সিটি কর্পোরেশনের ঘোষণা অনুযায়ী, গত ২৯ মার্চ পার্কটি উদ্বোধনের দিন সব দর্শনার্থীর জন্য প্রবেশ ছিল উন্মুক্ত।
কুরআনে বর্ণিত দারুচিনি, জলপাই, মরিচ, রসুন, পেঁয়াজ, মরিচ, গম, আদা, কুমড়া, তরমুজ, তেঁতুল, আঙ্গুর, কলা, ডুমুর, ডাল, ভুট্টা, বার্লি, শসা, আম, কাছিড়, তুঁত এবং বিভিন্ন মসলার উদ্ভিদ দ্বারা সজ্জিত করা হয়েছে এ কুরআনিক পার্ক। তাছাড়া কুরআনিক গার্ডেনে এমন কিছু উদ্ভিদের বাগান রয়েছে, যা দ্বারা ভেষজ চিকিৎসা করা যায়।
এছাড়া রয়েছে প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের আকর্ষণ দৃষ্টিনন্দন ঝরনা। গ্লাস নির্মিত স্বচ্ছ ভবন। কুরআনের বর্ণনায় একটি গুহার আবহও তৈরি করা হয়েছে। পবিত্র কুরআনে বর্ণিত ৫৪ প্রজাতির মধ্যে ৩৫টি পার্কের অভ্যন্তরে প্রদর্শিত হবে। অবশিষ্ট ১৫টি গ্রিন হাউজে প্রদর্শিত হবে এবং আরো ২০টি প্রজাতি পার্কের বাইরে প্রদর্শিত হবে।
পার্কে একটি টানেল থাকবে, যা অলৌকিক ঘটনার অডিওসহ চিত্র তুরে ধরা হবে। পর্যাপ্ত খোলা জায়গা এবং পার্কিংয়ের ব্যবস্থাও রাখা হয়েছে এ কুরআনিক পার্কে। প্রকল্পটি নির্মাণে দুবাই মুদ্রায় ২৭ মিলিয়ন অর্থ ব্যয় করা হয়েছে।
সৌজন্যে : জাগোনিউজটোয়েন্টিফোর.কম