আমরা হজ ব্যবস্থাপনাকে সর্বাত্মকভাবে সুন্দর করার চেষ্টা করছি। সৌদি আরবও প্রতিনিয়ত নতুন নতুন পদ্ধতি ও নিয়ম প্রবর্তন করে হজযাত্রীদের সুবিধা দেওয়ার চেষ্টা করছে। সবকিছু সমন্বয় করে আমরা উদ্বেগহীন হজ মৌসুমের প্রত্যাশা করছি। বুধবার (১৯ জুন) রাজধানীর আশকোনাস্থ হজ ক্যাম্পে হজ চিকিৎসক দলের প্রশিক্ষণে প্রধান অতিথির বক্তব্যে ধর্ম প্রতিমন্ত্রী আলহাজ্ব এডভোকেট শেখ মো. আবদুল্লাহ এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, চলতি সপ্তাহের মধ্যেই সৌদি কর্তৃপক্ষ হজ ভিসা ইস্যু শুরু করবে। ভিসার জন্য তারা পাসপোর্ট জমা নেওয়া শুরু করেছে। ইতোমধ্যে হজযাত্রীদের প্রায় ৯০ হাজার বিমান টিকিট কাটা হয়েছে। যেখানে আগে হজ ফ্লাইট শুরু হলেও টিকিট কাটা হতো না। সৌদি এয়ারলাইন্স কর্তপক্ষের বিরুদ্ধে টিকিট বিক্রয় নিয়ে কিছু অভিযোগ এসেছে, আমরা সেগুলো নিরসনের চেষ্টা করছি। সব মিলিয়ে বলা চলে এবারের হজ ব্যবস্থাপনা অনেকটা সুন্দর ও সুশৃঙ্খলভাবে চলছে।
প্রতিমন্ত্রী দৃঢ়ভাবে বলেন, হজ চিকিৎসক দলের সদস্যরা কোনো আনন্দ ভ্রমণ কিংবা মার্কেটিংয়ের জন্য সৌদি আরব যাচ্ছেন না। তারা যাচ্ছেন বাংলাদেশি হজযাত্রীদের সেবা দিতে। এক্ষেত্রে আমাদের প্রত্যাশা থাকবে, আপনারা আপনাদের সর্বোচ্চ আন্তরিকতা দিয়ে হজযাত্রীদের সেবা করবেন। ধর্ম সচিব মো. আনিছুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত প্রশিক্ষণ কর্মশালায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগের ভারপ্রাপ্ত সচিব জিএম সালেহ উদ্দিন, হাবের সভাপতি এম শাহাদাত হোসাইন তসলিমসহ বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
কর্মশালায় ধর্ম প্রতিমন্ত্রী আরও জানান, বরাবরের মতো এবারও জেদ্দা, মক্কা ও মদিনায় বাংলাদেশি হাজীদের জন্য চিকিৎসা ক্যাম্প স্থাপন করা হবে। আমাদের ইচ্ছা ছিলো, মিনা, মুজদালিফা ও আরাফার ময়দানের হজ ক্যাম্প করার। কিন্তু সৌদি সরকারের কিছু বিধি-নিষেধের কারণে এটা করা সম্ভব হয়নি। উল্লেখ্য, আসন্ন হজ মৌসুমে সৌদি আরবে অসুস্থ বাংলাদেশি হজযাত্রীদের চিকিৎসা সেবা প্রদানের জন্য ২৩০ সদস্যবিশিষ্ট হজ চিকিৎসক দল গঠন করে ধর্ম মন্ত্রণালয়। দুই দলে বিভক্ত হয়ে তারা সৌদি আরবে দায়িত্ব পালন করবেন। হজ চিকিৎসক দলে ১০৫ জন চিকিৎসক, ৭৫ জন নার্স-ব্রাদার, ৪০ জন ফার্মাসিস্ট ও ১০ জন ওটি এসিস্ট্যান্ট-ল্যাবরেটরি টেকনিশিয়ান রয়েছেন। চিকিৎসক দলের সদস্যরা ২ জুলাই থেকে সৌদি আরবের উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু করবেন।