আন্তর্জাতিক সংবাদ

সাইকেল চালিয়ে হজে যাওয়ার ঘোষণা

সাইকেল চালিয়ে হজে যেতে প্রস্তুতিমূলক প্রশিক্ষণে অংশগ্রহণ করেছেন কেনিয়ার ৪ অভিজাত নাগরিক। যাদের তিনজন পুরুষ ও একজন নারী। হজে অংশগ্রহণের পাশাপাশি তারা দরিদ্রদের জন্য প্রতিষ্ঠিত একটি সেবা সংগঠনের কল্যাণ তাহবিলও সংগ্রহ করবে। সবকিছু ঠিক থাকলে চলতি বছরের ১০ জুন কেনিয়া থেকে হজের উদ্দেশ্যে রওনা হওয়ার কথা। ৪৫ দিনের দীর্ঘ সাইকেল ভ্রমণের জন্য নিজেদের তৈরি করতে পাহাড়ি এলাকায় সাইকেল চালিয়ে প্রস্তুতি নিচ্ছেন তারা। আফ্রিকা থেকে এটি হবে প্রথম হজ কাফেলা, যারা সাইকেলে পবিত্র হজ পালনে রওনা হবেন।

কেনিয়া কোস্ট ট্যুরিস্ট অ্যাসোসিয়েশনের (কেসিটিএ) অফিসার মোসাম্বা বলেন, ‘কেনিয়ার এ চার সাইক্লিস্ট বলেছে যে, তারা ৪৫ দিনের কেনিয়া থেকে পবিত্র হজ পালনে মক্কায় পৌঁছতে দৃঢ় প্রতিজ্ঞ।’ কেনিয়া থেকে যাত্রা শুরু করে ইথিওপিয়া, উত্তর সুদান হয়ে ফেরিতে লাল সাগর পাড়ি দিয়ে জেদ্দা বন্দর হয়ে পবিত্র হজ পালনে মক্কায় পৌঁছবেন তারা। সাইকেলে হজে যাওয়া দলের চার সদস্য হলেন- মোহাম্মদ জহির (দলনায়ক), আনোয়ার মানসুর, মোহাম্মদ সেলিম মোহাম্মদ এবং নারী প্রতিনিধি ওসমান ইদরিসা।

কেসিটিএর প্রতিনিধি ফারুক ওয়ার বলেন, কেনিয়ার নাইরোবি থেকে মক্কা পর্যন্ত প্রায় সাড়ে তিন হাজার মাইল পথ অতিক্রম করতে হজে গমনকারী সাইক্লিস্টদের জন্য গন্তব্যস্থলের লোকেশনসমৃদ্ধ মানচিত্র অন্যান্য বিষয়াদি সরবরাহ করেন। তাদের এ ভ্রমণকে স্বাগত জানানোর পাশাপাশি তাদের মঙ্গল কামনা করেন। সাইকেলে হজে যাওয়াকে কেন্দ্র করে চার সদস্যের এ হজ টিম আড়াই লাখ মার্কিন ডলারের তাহবিল সংগ্রহ করবে। এ অর্থ দিয়ে তারা কেনিয়ার নামাঙ্গা এলাকায় আল-ফোরকান ট্রেনিং ইনস্টিটিউটটের জন্য আল-ফোরকান টাওয়ার নির্মাণ করবে।

আল-ফোরকান ট্রেনিং ইনস্টিটিউট এক স্বেচ্ছাসেবী দরিদ্র মানুষের কল্যাণে কাজ করার সংগঠন। এ সংগঠন আইটিসহ বিভিন্ন বিষয়ের ওপর প্রশিক্ষণ দেয়। সাইকেলে হজ পালনকারীদের টার্গেট পাঁচ লাখ ইউএস ডলার সংগ্রহ করা। সাইকেলে সফরকারী দলের উদ্দেশ্য শুধুই হজ পালন নয় বরং হজের পাশাপাশি দারিদ্র্যের সেবায় অর্থ তাহবিলও সংগ্রহ করা।

সৌজন্যে : জাগোনিউজটোয়েন্টিফোর.কম

 

Comment

লেখক পরিচিতি

আশিকুল ইসলাম খান

আমি আশিকুল ইসলাম খান। তাকমিল ( স্নাতক) সম্পন্ন করেছি ২০১৫ সালে টঙ্গী দারুল উলূম মাদরাসা থেকে। আরবী সাহিত্য নিয়ে পড়েছি জামিয়া দারুল আরকাম, বি-বাড়িয়ায়। বর্তমানে ইফতা পড়ছি জামিয়া আরাবিয়া খাদিমুল ইসলাম, মিরপুর-১৩। লেখালেখি হাতেখরি সেই বাল্যকালেই শ্রদ্ধেয় মামা মুফতী জহীরুল ইসলাম সাহেবের হাতে । তারপর বেশ কিছু পত্রিকায় কাজ করারও সুযোগ হয়েছে। দীর্ঘ দুই বৎসর পাক্ষিক মুক্ত আওয়াযের টঙ্গী থানা রিপোর্টার হিসেবে কাজ করছি। ইসলাম প্রতিদিনের সাথে জড়িত আছি কন্ট্রিবিউটিং রাইটার হিসেবে।