পুলিশের সঙ্গে স্থানীয় লোকজনের সংঘর্ষ ও ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে ভোলার বোরহানউদ্দিনে । সর্বশেষ পাওয়া খবর অনুযায়ী, গুলিবিদ্ধ হয়ে চারজন নিহত হয়েছেন। গুরুতর আহত নয়জনকে বরিশাল শেরে-বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। অন্তত অর্ধশত মানুষ বিভিন্নভাবে আহত হয়েছেন। তাদের বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
নিহতদের মধ্যে- মাহাফুজ ও মিজানের নাম জানা গেছে। গুলিবিদ্ধরা হলেন- বোরহানউদ্দিনের ছোটমানিকা এলাকার মিজানুর রহমান (৩০), নান্টু (৪০), মাকসুদুর রহমান (১৮), তানভীর (৩০), অলিউল্লাহ (৪০), সিদ্দিক (২৮), তাহের, শামীম ও সোহরাব। আহতদের মধ্যে গুরুতর অবস্থায় বেশ কয়েকজনকে ভোলা সদর হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত (দুপুর দেড়টা) ওই এলাকায় থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে।
রোরহানউদ্দিন থানার উপ পরিদর্শক (এসআই) মোহাইমিনুল ইসলাম বলেন, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ বেশ কয়েক রাউন্ড টিয়ারশেল নিক্ষেপ করেছে। এ ঘটনায় বোরহানউদ্দিন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে একজন মারা গেছে বলে শুনেছি। রোরহানউদ্দিন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা মো. শাহীন জানান, সংঘর্ষের ঘটনায় গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত মাহফুজ ও মিজানের মরদেহ হাসপাতালে আনা হয়েছে। আহতাবস্থায় বেশ কয়েকজন ভর্তি রয়েছে।
বিপ্লব চন্দ্র শুভ বোরহানউদ্দিন উপজেলার কাচিয়া ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডের চন্দ্র মোহন বৈদ্দের ছেলের আইডি থেকে এই ম্যাসেজ আসাকে কেন্দ্র করে সাধারণ মুসুল্লিদের ব্যানারে আজ সকাল ১০টায় বিক্ষোভের ডাক দেয়া হয়। সকাল থেকে বোরহানউদ্দিন উপজেলার গ্রামগঞ্জ থেকে মুসুল্লিরা শহর অভিমুখে আসতে থাকে। এতে ভোলার প্রলিশ সুপার পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের জন্য পুলিশ মোতায়েন করেন। পুলিশ সভা সংক্ষিপ্ত করার জন্য নির্দেশ দেয়ার পর পরেই সংঘর্ষের শুরু হয়। প্রথমে এক পুলিশ সদস্য গুলিবিদ্ধ হওয়ার পর পুলিশ গুলি ছুঁড়লে পুলিশের গুলিতে পথচারিসহ বিক্ষোভকা রী আহত হন।
সূত্র : বিডিনিউজটোয়েন্টিফোর.কম ও বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম