তথ্য-প্রযুক্তি ফিচার

দৃষ্টিহীনদের জন্য আসছে ডিজিটাল কোরআন

দৈনন্দিন জীবনে নানা সমস্যার মধ্য দিয়ে যেতে হয় দৃষ্টিপ্রতিবন্ধীদের। এমনকি ধর্ম চর্চা কিংবা ইবাদত-বন্দেগি তারা ঠিকমতো পালন করতে পারেন না। দৃষ্টি শক্তি না থাকায় তারা কোরআনে কারিমও তেলাওয়াত করতে পারেন না। কিন্তু প্রযুক্তির সহায়তায় সৌদি উদ্ভাবক মিশাল আল হারাসানি (Meshal Al-Harasani) একটি ডিজিটাল কোরআন তৈরির কাজ করছেন। যা দৃষ্টিপ্রতিবন্ধীরা অনায়াসে পড়তে পারবেন। গবেষক মিশালের বয়স যখন ১৩, তখন থেকেই তিনি বিভিন্ন বিষয়ে নিয়ে গবেষণা করতে থাকেন, এসব বিষয়ে তার উৎসাহও ব্যাপক। এমন উৎসাহ থেকেই তিনি ডিজিটাল কোরআন তৈরির কাজ করছেন।

প্রতিবন্ধীদের কোরআন শেখানোর সেমিনারে অংশ নিতে এই পবিত্র গ্রন্থটি ছাপতে গিয়েছিলেন বাদশাহ ফাহাদ কোরআন কমপ্লেক্সে। এর পরেই ডিজিটাল মাসহাফ তৈরির বিষয়টি তার মাথায় আসে। তিনি বলেন, প্রতিবন্ধীদের কোরআন পড়া সহজ করতে আমি গবেষণা করেছি। বিশেষ করে দৃষ্টিপ্রতিবন্ধীদের জন্য বিষয়টি সহজ করে দিতে চাই। এই গবেষকের ডিজিটাল মাসহাফ তৈরির কাজ এখনও শেষ হয়নি। আশা করা হচ্ছে, চলতি বছরের শেষ নাগাদ তিনি এই কাজ শেষ করতে পারবেন।

সৌজন্যে : বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম

Comment

লেখক পরিচিতি

জাহিদ হাসান মিলু

আমি জাহিদ। সরকাারি কাগজপত্রের জাহিদুল ইসলাম থেকে বেসরকারি কাগজপত্রে জাহিদ হাসান মিলু- নামের এই বিচিত্র পরিবর্তনের পেছনে একটা মিষ্টি গল্প আছে।
জন্মেছি গোপালগঞ্জ জেলার অখ্যাত গ্রাম প্রশন্নপুরে, ১৯৯৬ সালের ডিসেম্বরে। কী এক বিশেষ কারণে যেন কাগজকলমে বয়েস কমিয়ে আমাকে আরও তিনবছরের ছোটো করে রাখা হয়েছে। বাবা মা দুজনেই অক্ষর না শিখেও আমার জীবনের শ্রেষ্ঠতম স্বাক্ষর হয়ে আছেন।
অবুঝ বয়েসে পারিবারিক স্বপ্নের কারণে ভর্তি হতে পেরেছিলাম মাদ্রাসায় , আলহামদুল্লিলাহ। জীবনের সবথেকে বড় পারিবারিক গিফ্ট ছিল এটা আমার জন্য। কুরআন পড়তে শিখলাম, মুখস্থ করতে পারলাম। অর্থ জানলাম এবং ব্যাখ্যাও পড়লাম।
আমাদের পাড়ার মাদ্রাসা কুলিয়ার ভিটায় পড়ার সময় ধর্মের প্রতি আমাদের ভেতরে যে বীজটা রোপিত হয়েছিল, সেটা ডালাপাল মেলে খোলা হাওয়ায় বেড়ে ওঠার সুযোগ পায় প্রাণের প্রতিষ্ঠান এরাবিল মডেল মাদ্রাসায়। তারপর? তারপর আর কি- এখন পড়াশোনা করছি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জার্নালিজম বিভাগে।
দায়ী হওয়ার স্বপ্ন আমার সবথেকে বড় স্বপ্ন। স্বপ্নটি পূরণ করতেই পড়ছি, শুনছি, দেখছি, শিখছি এবং অপেক্ষা করছি।