আন্তর্জাতিক সংবাদ

উইঘুর মুসলিমদের কবরস্থান ধ্বংস করছে চীন

জাতিগত পরিশুদ্ধির চলমান প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে চীন এবার উইঘুর মুসলিমদের কবরস্থানকেও রেহাই দিচ্ছে না। শিনজিয়াং প্রদেশের উইঘুর মুসলিমদের কবরস্থান ধ্বংস করতে শুরু করেছে দেশটির সরকার। স্যাটেলাইট থেকে প্রাপ্ত ছবি অনুযায়ী সুলানিম উইঘুর কবরস্থান, তেউইজিম উইঘুর কবরস্থান ও শায়ার উইঘুর কবরস্থান ইতিমধ্যে ধ্বংস করা হয়েছে।

আল জাজিরার প্রকাশিত আরেকটি ভিডিওতে উঠে এসেছে কীভাবে চীন নিরলসভাবে তাদের মুসলিম জনসংখ্যা ও মসজিদ ধ্বংস করছে। এখন তাদের নজর পড়েছে উইঘুরদের কবরগুলোর ওপরও। কবরস্থানগুলো ভেঙে সেখানে পার্কিং লট ও খেলার মাঠ বানাচ্ছে দেশটি।

প্রজন্ম থেকে প্রজন্মান্তরের এই কবরগুলোর ধ্বংসাবশেষ এখন খোলা আকাশের নিচে পড়ে রয়েছে। চীনের শিনজিয়াং প্রদেশের মুসলিম জনগোষ্ঠীরা দেশটির মোট মুসলিম জনসংখ্যার একটি বড় অংশ হিসেবে দ্রুত হারে বৃদ্ধি পাচ্ছিল।

বৌদ্ধধর্ম ও নিরীশ্বরবাদ দ্বারা প্রভাবিত চীন শিনজিয়াং প্রদেশের দশ লক্ষাধিক মুসলিমদের প্রতি নাখোশ। এই অঞ্চলে মুসলমান জনসংখ্যা ও ইসলামের প্রসার নিয়ন্ত্রণের জন্য সরকার মুসলিমদের চোখ বেঁধে বিভিন্ন ক্যাম্পে নিয়ে যাচ্ছে যেন তাদের মগজধোলাই করিয়ে চীনা বানানো যায়।

চীনের মিত্ররাষ্ট্র পাকিস্তানও উইঘুর সমস্যাকে চীনের অভ্যন্তরীণ ব্যাপার হিসেবে অভিহিত করে এ নিয়ে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হয়নি। পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানসহ অন্যান্য বিশ্বনেতৃবৃন্দ উইঘুরদের সমর্থনে নিশ্চুপ থাকলেও আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম বিশ্ববাসীর সামনে নিয়মিতই বাস্তবতা তুলে ধরছে। সম্প্রতি দ্য ইন্ডিপেন্ডেন্ট-এর একটি ভিডিওতে চোখবাঁধা উইঘুর মুসলিমদের একটি পুনঃশিক্ষা ক্যাম্পে বসে থাকতে দেখা গিয়েছে।

ক্রমবর্ধমান এ সমস্যাটিকে অধিকাংশ বিশ্বনেতা ও সংবাদমাধ্যম উপেক্ষা করলেও যুক্তরাজ্য ও যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমসমূহ এই ঘটনাটিকে নিয়ে নিয়মিত সংবাদ প্রচার করে যাচ্ছে।

তথ্যসূত্র : দ্য ইসলামিক ইনফরমেশন

ওকে/এমএইচ

Comment

লেখক পরিচিতি

জাহিদ হাসান মিলু

আমি জাহিদ। সরকাারি কাগজপত্রের জাহিদুল ইসলাম থেকে বেসরকারি কাগজপত্রে জাহিদ হাসান মিলু- নামের এই বিচিত্র পরিবর্তনের পেছনে একটা মিষ্টি গল্প আছে।
জন্মেছি গোপালগঞ্জ জেলার অখ্যাত গ্রাম প্রশন্নপুরে, ১৯৯৬ সালের ডিসেম্বরে। কী এক বিশেষ কারণে যেন কাগজকলমে বয়েস কমিয়ে আমাকে আরও তিনবছরের ছোটো করে রাখা হয়েছে। বাবা মা দুজনেই অক্ষর না শিখেও আমার জীবনের শ্রেষ্ঠতম স্বাক্ষর হয়ে আছেন।
অবুঝ বয়েসে পারিবারিক স্বপ্নের কারণে ভর্তি হতে পেরেছিলাম মাদ্রাসায় , আলহামদুল্লিলাহ। জীবনের সবথেকে বড় পারিবারিক গিফ্ট ছিল এটা আমার জন্য। কুরআন পড়তে শিখলাম, মুখস্থ করতে পারলাম। অর্থ জানলাম এবং ব্যাখ্যাও পড়লাম।
আমাদের পাড়ার মাদ্রাসা কুলিয়ার ভিটায় পড়ার সময় ধর্মের প্রতি আমাদের ভেতরে যে বীজটা রোপিত হয়েছিল, সেটা ডালাপাল মেলে খোলা হাওয়ায় বেড়ে ওঠার সুযোগ পায় প্রাণের প্রতিষ্ঠান এরাবিল মডেল মাদ্রাসায়। তারপর? তারপর আর কি- এখন পড়াশোনা করছি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জার্নালিজম বিভাগে।
দায়ী হওয়ার স্বপ্ন আমার সবথেকে বড় স্বপ্ন। স্বপ্নটি পূরণ করতেই পড়ছি, শুনছি, দেখছি, শিখছি এবং অপেক্ষা করছি।