আন্তর্জাতিক সংবাদ

ফিলিস্তিন-ইসরাইল ইস্যুতে নিজেদের অবস্থান পরিস্কার করলো ওআইসি

ফিলিস্তিন-ইসরাইল ইস্যুতে আমাদের অবস্থান এক ও অভিন্ন বলে নিজেদের অবস্থান পরিস্কার করে বিবৃতি দিয়েছে ইসলামিক সহযোগিতা সংস্থা (ওআইসি)। সোমবার সংস্থার সেক্রেটারি জেনারেল ড. ইউসুফ বিন আহমাদ বিন আবদুল রহমান আল-উসাইমীন বলেন, ফিলিস্তিন ও মসজিদে আকসা বিষয়ে ওআইসির অবস্থান আগে যেমন ছিল, এখনও তেমনই আছে এবং ভবিষ্যতে তা-ই থাকবে। খবর আরব নিউজ উর্দুর
উসাইমিন বলেন, ফিলিস্তিন ও মসজিদে আকসা ওআইসির জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ ও মৌলিক বিষয়। এটি আমাদের ঐক্য, শক্তি এবং অধিকার আদায়ের সংগ্রামের উৎস। ওআইসি’র সদস্যভুক্ত সমস্ত দেশের নীতি এবিষয়ে এক ও অভিন্ন বলেও উল্লেখ করেন তিনি। তিনি আরও বলেন, অবৈধ দখলদার ইহুদিদের অপসারণে এবং ফিলিস্তিনদের প্রাপ্য অধিকার আদায়ে মুসলিম দেশগুলো ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করার পরিকল্পনা করছে।
ড. আল উসাইমিনের বরাতে সৌদি বার্তা সংস্থা এসপিএ আরও জানিয়েছে, সদস্যভুক্ত দেশগুলোর সঙ্গে অতি সম্প্রতি ওআইসি পরামর্শ করেছে এবং একটি সিদ্ধান্তে উপনীত হয়েছে যে, আরব বিশ্বে শান্তি ও শৃঙ্খলা ফেরাতে একটি কৌশলগত পরিকল্পনা গ্রহণ করে সে মোতাবেক কাজ করতে হবে এবং আরব-ইসরাইল দ্বন্দ্বকে অত্যন্ত শান্তিপূর্ণভাবে ও ন্যায়সঙ্গত উপায়ে সমাধান করতে হবে।
প্রসঙ্গত, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মধ্যাস্থতায় সংযুক্ত আরব আমিরাত ও ইহুদি রাষ্ট্র ইসরাইলের মাঝে ঐতিহাসিক এক শান্তিচুক্তি সম্পাদিত হয়েছে। দুই দেশের মধ্যে সম্পর্ক স্বাভাবিক করতে অতি সম্প্রতি এ চুক্তি করা হয় বলে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স। হোয়াইট হাউজের সিনিয়র কর্মকর্তারা রয়টার্সকে জানিয়েছে, এই চুক্তির আওতায় ইসরাইল পশ্চিম তীরে যেসব অঞ্চল সংযুক্তি নিয়ে আলোচনা করেছে, সেসব ক্ষেত্রে সার্বভৌমত্ব প্রয়োগ স্থগিত করতে সম্মত হয়েছে।
উপসাগরীয় দেশগুলোর মধ্যে সর্বপ্রথম মিসর চুক্তিটির সরাসরি সমর্থন করে। এরপর সৌদি আরবের ঘনিষ্ঠ মিত্র বাহরাইন এবং ওমানও সংযুক্ত আরব আমিরাতকে অভিনন্দন জানিয়েছে এবং মুসলিম সংখ্যা গরিষ্ঠ দেশও ইসরাইলের সঙ্গে শান্তিচুক্তি করতে আগ্রহ দেখিয়েছে। অন্যদিকে ফিলিস্তিন, তুরস্ক, ইরানসহ বিশ্বের অনেক দেশ ইসরাইলের সঙ্গে এমন কূটনৈতিক সম্পর্কের নিন্দা জানিয়েছে।

 

Comment

লেখক পরিচিতি

মুহাম্মদ বিন ওয়াহিদ

মুহাম্মদ বিন ওয়াহিদ— তরুণ সংবাদকর্মী ও সম্পাদক হিসেবে পরিচিত। ময়মনসিংহের ভালুকা উপজেলার ডাকাতিয়া গ্রামের বাসিন্দা। প্রাথমিক শিক্ষাজীবন শুরু গ্রামের মক্তব থেকে। ৭ বছর বয়সে নিজ ইচ্ছায় ইসলামী শিক্ষা শুরু করেন ঢাকার ঐতিহ্যবাহী ধর্মীয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠান জামি'আ রাহমানিয়া আরাবিয়ায়। সেখানে দীর্ঘ ১২ বছর পড়াশোনা করে উচ্চতর শিক্ষা গ্রহণের জন্য চলে যান ভারতের দারুল উলুম দেওবন্দে। সেখানে দেড় মাস অবস্থান করে পারিপার্শ্বিক অবস্থার অবনতির জন্য দেশে চলে আসতে হয় তাকে। সর্বশেষ ২০২০ সালে তিনি জামিয়া শারঈয়্যা মালিবাগে দাওরায়ে হাদিস অধ্যয়ন করছেন।
২০১২ সালে মিজান জামাত থেকে লেখালেখির সূচনা করেন এবং এর কিছুদিন পর থেকেই বিভিন্ন ছোট কাগজে, গল্প,কবিতা, প্রবন্ধ-নিবন্ধ, ভ্রমণকাহিনিসহ নানা বিষয়ে তিনি নিয়মিত লিখতে থাকেন। ২০১৭ সালে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর হিজরত পরবর্তী জীবন নিয়ে ৬৪ পৃষ্ঠার চমৎকার একটি উপন্যাসের বইও তিনি রচনা করেন। যা মানবাধিকার প্রকাশন থেকে প্রকাশিত হয়েছে।
২০১৯ সাল থেকে দৈনিক যুগান্তর,দৈনিক আমার সংবাদ,দৈনিক আমাদের সময়, দৈনিক আলোকিত বাংলাদেশ,বার্তা২৪, দুরন্ত নিউজ, ইনসাফ, আওয়ার ইসলাম এবং ইসলাম প্রতিদিনসহ দেশের সব জাতীয় দৈনিকে তিনি নিয়মিত লিখে চলেছেন। এছাড়াও কাজ করছেন ইসলাম প্রতিদিনের আন্তর্জাতিক ডেক্সে।