ফিচার ভিডিও স্থাপত্য-নিদর্শন

কাতারের দ্য মিউজিয়াম অব ইসলামিক আর্ট

Featured Video Play Icon

দেশে দেশে ইসলামী জাদুঘর। পর্ব০১ দ্য মিউজিয়াম অব ইসলামিক আর্ট, দোহা, কাতার


কাতারের রাজধানী দোহায় অবস্থিত দ্য মিউজিয়াম অব ইসলামিক আর্টকে বলা হয় সবচেয়ে আধুনিক ইসলামী জাদুঘর। প্রতিবছর প্রায় পাঁচ লাখ মানুষ কাতারের জনপ্রিয় এই জাদুঘরটি পরিদর্শন করে। পাঁচতলা জাদুঘরটিতে প্রদর্শন হল ছাড়াও রয়েছে নারী ও পুরুষের জন্য আলাদা আলাদা অজু ও নামাজের স্থান। এই জাদুঘরের নকশা করেছেন চীনা বংশোদ্ভূত মার্কিন স্থপতি আই এম পাই। জাদুঘরটির নির্মাণকাজ শুরু হয় ২০০০ সালে। ২০০৬ সালে নির্মাণকাজ শেষ হলেও সবার জন্য খুলে দেওয়া হয় ২০০৮ সালে। অনুমতি পাওয়ার পর জাদুঘরটি নির্মাণের কাজে ভবনের আলো নকশাকারী প্রতিষ্ঠান আইসোমেট্রিক লাইটিং, ডিজাইন ও পরিবেশ সংরক্ষণবিষয়ক নকশা প্রতিষ্ঠান এভি কনসালটেন্স এবং কাঠামোগত নকশার জন্য কাজ করেছে লেসলি এ রবার্টসন অ্যাসোসিয়েটস।

জাদুঘরের অভ্যন্তরে মোট জায়গা রয়েছে প্রায় চার লাখ স্কয়ার ফিট। পাঁচতলা এই জাদুঘরের ভেতরের অংশগুলো অদ্ভুতভাবে কাচ দিয়ে সাজানো। যার একপাশ থেকে আরেকপাশে যেতে হয় কাচের তৈরি সিঁড়ি দিয়েই। মাঝখানে রয়েছে ১৬৪ ফুট উঁচু গম্বুজ। এই জাদুঘরে আরব ইতিহাসের বহু গুরুত্বপূর্ণ দলিলপত্র, শিলালিপি, তৈজসপত্র, গহনা, অস্ত্র, বইয়ের পাণ্ডুলিপিসহ নানা ঐতিহাসিক বস্তু সংরক্ষিত রয়েছে। ইসলামের ইতিহাসের বিভিন্ন যুগ অনুযায়ী আলাদা আলাদা গ্যালারিতে ভাগ করে সাজানো হয়েছে এসব।

জাদুঘরে স্থান পাওয়া সামগ্রীর ভেতর ধাতব বস্তু, কারুশিল্প সামগ্রী, কার্পেট, পাথর, সিরামিক পণ্য, কোরআনের দুর্লভ পাণ্ডুলিপি, মুদ্রা, জুয়েলারি, অস্ত্র, কয়েন, কাচের জিনিসসহ ইসলামী শিল্পের নানা নিদর্শন রয়েছে। এ ছাড়া জাদুঘর ভবনেই একটি সমৃদ্ধ লাইব্রেরি স্থাপন করা হয়েছে। যাতে আরবী ও ইংরেজিসহ বিভিন্ন ভাষার দেড় লাখের বেশি বই রয়েছে। এই লাইব্রেরিতেই প্রায় ২০০ বিরল বই রয়েছে, যা পৃথিবীর আর কোথাও পাওয়া যায় না। পাঠাগারটিতে শিশুদের পৃথক পাঠ কর্নারও স্থাপন করা হয়েছে।

জাদুঘর কমপ্লেক্সে গিফট শপ, রেস্টুরেন্ট, ২০০ আসন বিশিষ্ট থিয়েটার রয়েছে। দর্শনার্থীদের সুবিধার্থে আর্থিক লেনদেনের জন্য এটিএম বুথ, যোগাযোগের জন্য ফ্রি ওয়াই-ফাই কানেকশন, ফ্রি গাইডলাইন এবং অভ্যর্থনা ও তথ্য অনুসন্ধান কেন্দ্রও রয়েছে। এ ছাড়া জাদুঘরের সীমানায় দুই লাখ ৮০ হাজার বর্গমিটারের বিশাল একটি উন্মুক্ত পার্ক স্থাপন করা হয়েছে, যা কিনা ২৪ ঘণ্টা খোলা থাকে। [তথ্যসূত্র : দৈনিক কালের কণ্ঠ]

ওকে/এমএইচ

Comment

লেখক পরিচিতি

আতাউর রহমান খসরু

আতাউর রহমান খসরু পেশা ও নেশায় একজন লেখক-সাংবাদিক। মুহাম্মদপুরের জামিয়া রাহমানিয়া থেকে তাকমিলে হাদিস শেষ করে মাদরাসা দারুর রাশাদে সাংবাদিকতা বিভাগে পড়াশোনা করেন তিনি। পাশাপাশি সম্পন্ন করেছেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইসলামিক স্ট্যাডিজে মাস্টার্স ।
জাতীয় একাধিক সংবাদপত্রেও রয়েছে রির্পোটিং ও সম্পাদনার অভিজ্ঞতা। সম্পাদনা করেছেন মাসিক শিশু-কিশোর পত্রিকা নকীব এবং মদিনার পয়গাম। কাজ করেছেন আওয়ারেইসলামটোয়েন্টিফোর.কম ও ইসলামটাইমসটোয়েন্টিফোর.কমের বার্তা সম্পাদক হিসেবে। সহ-সম্পাদক হিসেবে বর্তমানে কাজ করছেন দৈনিক কালের কণ্ঠে।
সভ্যতা ও সংস্কৃতির উপর ইসলামের অবদান, কারাগার নয় শান্তিময় পরিবার, মুসলিম বর-কনে ইসলামি বিয়ে, ইমাম গাজালি (রহ.) -এর জীবন ও কর্মসহ এ যাবত তার প্রকাশিত গ্রন্থ ৭টি। ২০১২ সালে মাসিক রাহমানী পয়গামের শ্রেষ্ঠ লেখক সম্মানা পেয়েছেন তিনি।