জাতীয় সংবাদ

আরবী ভাষা শিক্ষক প্রশিক্ষণ কর্মশালা ২৬ সেপ্টেম্বর

আগামী ২৬ সেপ্টেম্বর দিনব্যাপী আরবী ভাষা শিক্ষক প্রশিক্ষণ কর্মশালার আয়োজন করেছে মারকাযুল ‍লুগাতিল আরাবিয়্যাহ বাংলাদেশ। সকাল ৯টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত এই কর্মশালা চলবে। কর্মশালাটিতে অংশ গ্রহণ করার জন্য নিবন্ধন ফি বাবদ ২০০ টাকা প্রদান করতে হবে। নিবন্ধ ফি বিকাশে পাঠানো যাবে।

আরবী শিক্ষক কর্মশালার আয়োজন প্রসঙ্গে মারকাযুল ‍লুগাতিল আরাবিয়্যাহ বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক মাওলানা মহিউদ্দীন ফারুকী বলেন, ‘যে কোনো কাজকে সুষ্ঠু ও ফলপ্রসুভাবে সম্পন্ন করার জন্য যথাযথ পদ্ধতি অবলম্বন ও কলাকৌশল প্রয়োগ করা জরুরি একটি বিষয়। উপযুক্ত পদ্ধতি গ্রহণ ও যথাযথ কলাকৌশল প্রয়োগের ওপর যে কোনো কাজের সফলতা নির্ভরশীল। আমরা জানি, শিক্ষা দান আর শিক্ষা অর্জন বিষয়টি কখনোই এক নয়। যেহেতু দুটোর মাঝে পার্থক্য রয়েছে, যেজন্য শিক্ষা দান বা কোনো তথ্য প্রদানের জন্য যথাযথ প্রশিক্ষণ গ্রহণের প্রয়োজন রয়েছে। ইবনে খলদুন (রহ.) বলেছেন, শিক্ষকতা বা যে কোনো বিষয় অন্য কাউকে জানানো, বোঝানো বা পড়ানো একটি শিল্প। শিল্প অর্জনের প্রশিক্ষণের বিকল্প নেই। এই গুরুত্ব অনুধাবন করেই মারকাযুল ‍লুগাতিল আরাবিয়্যাহ বাংলাদেশ আরবী ভাষা শিক্ষকদের জন্য এমন একটি কর্শশালার আয়োজন করেছে। আমরা আশা করছি— এই কর্মশালার মাধ্যমে আরবী ভাষার শিক্ষকদের শিক্ষা দান পদ্ধতি আরো সুন্দর ও সাফল্যমন্ডিত হবে এবং তারা উপকৃত হবেন ইনশা আল্লাহ।’

এ কর্মশালাটিতে কেবলমাত্র আরবী ভাষার শিক্ষকগণ অংশ গ্রহণ করতে পারবেন। কর্মশালা সংক্রান্ত সার্বিক বিষয়াবলী জানতে যোগাযোগ করতে পারেন ০১৬৩৩৬৪৪৭৫৩ অথবা ০১৭৩৬২১১৭৫৫ এই নাম্বারে।

উল্লেখ্য, বাংলাদেশে আরবী ভাষা শিক্ষার প্রচার-প্রসার এবং মান উন্নয়ন নিয়ে কাজ করার উদ্দেশ্যে প্রতিষ্ঠিত হয় মারকাযুল ‍লুগাতিল আরাবিয়্যাহ বাংলাদেশ।

Comment

লেখক পরিচিতি

জাহিদ হাসান মিলু

আমি জাহিদ। সরকাারি কাগজপত্রের জাহিদুল ইসলাম থেকে বেসরকারি কাগজপত্রে জাহিদ হাসান মিলু- নামের এই বিচিত্র পরিবর্তনের পেছনে একটা মিষ্টি গল্প আছে।
জন্মেছি গোপালগঞ্জ জেলার অখ্যাত গ্রাম প্রশন্নপুরে, ১৯৯৬ সালের ডিসেম্বরে। কী এক বিশেষ কারণে যেন কাগজকলমে বয়েস কমিয়ে আমাকে আরও তিনবছরের ছোটো করে রাখা হয়েছে। বাবা মা দুজনেই অক্ষর না শিখেও আমার জীবনের শ্রেষ্ঠতম স্বাক্ষর হয়ে আছেন।
অবুঝ বয়েসে পারিবারিক স্বপ্নের কারণে ভর্তি হতে পেরেছিলাম মাদ্রাসায় , আলহামদুল্লিলাহ। জীবনের সবথেকে বড় পারিবারিক গিফ্ট ছিল এটা আমার জন্য। কুরআন পড়তে শিখলাম, মুখস্থ করতে পারলাম। অর্থ জানলাম এবং ব্যাখ্যাও পড়লাম।
আমাদের পাড়ার মাদ্রাসা কুলিয়ার ভিটায় পড়ার সময় ধর্মের প্রতি আমাদের ভেতরে যে বীজটা রোপিত হয়েছিল, সেটা ডালাপাল মেলে খোলা হাওয়ায় বেড়ে ওঠার সুযোগ পায় প্রাণের প্রতিষ্ঠান এরাবিল মডেল মাদ্রাসায়। তারপর? তারপর আর কি- এখন পড়াশোনা করছি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জার্নালিজম বিভাগে।
দায়ী হওয়ার স্বপ্ন আমার সবথেকে বড় স্বপ্ন। স্বপ্নটি পূরণ করতেই পড়ছি, শুনছি, দেখছি, শিখছি এবং অপেক্ষা করছি।