জাতীয় সংবাদ

জর্ডানে অনুষ্ঠিত কুরআন প্রতিযোগিতায় প্রথম হয়েছেন বাংলাদেশের ত্বকী

পবিত্র হিফজুল কুরআন প্রতিযোগিতায় আরো একটি সম্মান যুক্ত হলো বাংলাদেশের পালকে। জর্ডানে অনুষ্ঠিত আন্তর্জাতিক হিফজুল কুরআন প্রতিযোগিতায় প্রথম স্থান অর্জন করেছেন বাংলাদেশের প্রতিযোগী হাফেজ সাইফুর রহমান ত্বকী ।  আন্তর্জাতিক এই আসরে ৬২ দেশের প্রতিযোগীদের পেছনে ফেলে প্রথম হনে তিনি। এছাড়া প্রতিযোগিতায় দ্বিতীয় স্থান অর্জন করে কাতারের প্রতিযোগী, তৃতীয় স্থান বাহরাইন, চতুর্থ পাকিস্তান ও পঞ্চম স্থান অর্জন করে সৌদিআরবের প্রতিযোগী।

এর আগে আন্তর্জাতিক হিফজুল কোরআন প্রতিযোগিতায় অংশ গ্রহণের জন্য ১৩ জুন ২০১৯ সালে জর্ডানের উদ্দেশ্যে ঢাকা ত্যাগ করেছেন আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন হাফেজ ক্বারী সাইফুর রহমান ত্বকী। জর্ডানের রাজধানী আম্মানে অনুষ্ঠিত এই প্রতিযোগিতায় চলে ১৫ জুন থেকে২০ জুন পর্যন্ত। কাতার এয়ারলাইনসে একটি ফ্লাইটে  ঢাকায় অবতরণ করবেন বাংলাদেশের এই কৃতী হাফেজ বিমান বন্ধরে ইসলামিক ফাউন্ডেশন, তার মাদ্রাসার শিক্ষক, ছাত্ররা সংবর্ধনা তাকে দিবেন। হাফেজ ক্বারী নেসার উদ্দিন আহমেদ আন নাসেরী পরিচালিত মারকাজুত তাফফিজ ইন্টারন্যাশনাল ক্যাডেট মাদ্রাসার ছাত্র ত্বকী। তার বাবা মাওলানা বদিউল আলম ধলপুর লিচুবাগান নাদিয়াতুল কোরআন হাফিজিয়া নূরানী মাদ্রাসার প্রতিষ্ঠাতা প্রিন্সিপাল এবং রামপুরার বায়তুল আমান জামে মসজিদের খতিব।

উল্লেখ্য, হাফেজ সাইফুর রহমান ত্বকী ২০১৪ সালে এনটিভি আয়োজিত পিএইচপি কোরআনের আলো প্রতিভার সন্ধানে প্রতিযোগিতায় প্রায় ত্রিশ হাজার প্রতিযোগীকে পেছনে ফেলে প্রথম স্থান অর্জন করেন। ২০১৫ সালে জেদ্দায় আন্তর্জাতিক হিফজুল কোরআন প্রতিযোগিতায় প্রথম স্থান, ২০১৬ সালে বাহরাইনে তৃতীয় স্থান ও ২০১৭ সালে কুয়েত আন্তর্জাতিক হিফজুল কোরআন তেলাওয়াত প্রতিযোগিতায় বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করে দ্বিতীয় স্থান অর্জন করেন।

Comment

লেখক পরিচিতি

জাহিদ হাসান মিলু

আমি জাহিদ। সরকাারি কাগজপত্রের জাহিদুল ইসলাম থেকে বেসরকারি কাগজপত্রে জাহিদ হাসান মিলু- নামের এই বিচিত্র পরিবর্তনের পেছনে একটা মিষ্টি গল্প আছে।
জন্মেছি গোপালগঞ্জ জেলার অখ্যাত গ্রাম প্রশন্নপুরে, ১৯৯৬ সালের ডিসেম্বরে। কী এক বিশেষ কারণে যেন কাগজকলমে বয়েস কমিয়ে আমাকে আরও তিনবছরের ছোটো করে রাখা হয়েছে। বাবা মা দুজনেই অক্ষর না শিখেও আমার জীবনের শ্রেষ্ঠতম স্বাক্ষর হয়ে আছেন।
অবুঝ বয়েসে পারিবারিক স্বপ্নের কারণে ভর্তি হতে পেরেছিলাম মাদ্রাসায় , আলহামদুল্লিলাহ। জীবনের সবথেকে বড় পারিবারিক গিফ্ট ছিল এটা আমার জন্য। কুরআন পড়তে শিখলাম, মুখস্থ করতে পারলাম। অর্থ জানলাম এবং ব্যাখ্যাও পড়লাম।
আমাদের পাড়ার মাদ্রাসা কুলিয়ার ভিটায় পড়ার সময় ধর্মের প্রতি আমাদের ভেতরে যে বীজটা রোপিত হয়েছিল, সেটা ডালাপাল মেলে খোলা হাওয়ায় বেড়ে ওঠার সুযোগ পায় প্রাণের প্রতিষ্ঠান এরাবিল মডেল মাদ্রাসায়। তারপর? তারপর আর কি- এখন পড়াশোনা করছি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জার্নালিজম বিভাগে।
দায়ী হওয়ার স্বপ্ন আমার সবথেকে বড় স্বপ্ন। স্বপ্নটি পূরণ করতেই পড়ছি, শুনছি, দেখছি, শিখছি এবং অপেক্ষা করছি।