ইউরোপের তৃতীয় বৃহত্তম ও বিশ্বের ২০তম বৃহত্তম দ্বীপ হলো আয়ারল্যান্ড। দ্বীপ রাষ্ট্র আয়ারল্যান্ডের পুলিশ বাহিনীতে কর্মরত নারীদের জন্য হিজাব পরার অনুমতি দেয়া হয়েছে। আয়ারল্যান্ডে বসবাসরত সংখ্যালঘু সম্প্রদায়কে পুলিশ বাহিনীর চাকরিত উৎসাহিত করতেই এ ঘোষণা। এমনটিই জানিয়েছেন আয়ারল্যান্ডের পুলিশ কমিশনার ড্রিউ হ্যারিস।
মুসলিম ধর্মাবলম্বী নারী সদস্যদের হিজাবের পাশাপাশি শিখ ধর্মাবলম্বীরা তাদের ঐতিহ্যগত পাগড়িরও পড়তে পারবে। আর আয়ারল্যান্ডের পুলিশ বিভাগ শুধু গঠনমূলক ও ইতিবাচকই নয় বরং তারা খুবই বৈচিত্র্যপূর্ণ বলেও জানান ড্রিউ হ্যারিস।
আয়ারল্যান্ডের পুলিশ সার্ভিস এক সরকারী বিবৃতিতে উল্লেখ করেছে যে, তাদের পদ্ধতিটি ‘পিএসএনআই, পুলিশ স্কটল্যান্ড, নিউজিল্যান্ড পুলিশ, এনওয়াইপিডি এবং যুক্তরাজ্য, অস্ট্রেলিয়া ও কানাডার অন্যান্য পুলিশ সার্ভিসগুলোর নিয়মনীতি অনুসরণ করে গঠন করা হয়েছে।
২০১১ সালের আইরিশ আদমশুমারি অনুযায়ী, আয়ারল্যান্ডের মোট জনসংখ্যা ছিল ৬৪ লাখ। সে হিবেসে দেশটিতে মাত্র ১ শতাংশ মুসলিম বসবাস করে। ২০১৬ সালের প্রতিবেদন অনুযায়ী দেশটিতে মুসলমানের সংখ্যা হলো ৬৫ হাজার।
মরক্কোর বিখ্যাত ভুগোলবিদ আল-ইদ্রিসি তার ‘তাবুলা রজারিয়িয়ানা’তে আয়ারল্যান্ডের পরিচয় তুলে ধরেন। যা ১২ শতাব্দীর বিশ্বকোষেও উল্লেখ হয়েছে। দ্বীপ দেশ আয়ারল্যান্ড বিভিন্ন ধর্মাবলম্বী নারী পুলিশদের শালীন ও স্বচ্ছন্দ্যের জন্য হিজাবসহ ধর্মীয় পোশাকের অনুমতি দেয়া হয়েছে। এর আগে আমেরিকা, স্কটল্যান্ড, তুরস্ক, অস্ট্রেলিয়াসহ পশ্চিমা বিশ্বের অনেক দেশে এ অনুমতি দেয়া হয়।
সৌজন্যে : জাগোনিউজটোয়েন্টিফোর.কম