জাতীয় সংবাদ

শুরু হলো চরমোনাইর বাৎসরিক ফাল্গুনের মাহফিল

চরমোনাইর বাৎসরিক ফাল্গুনের মাহফিলের আনুষ্ঠানিক কার্যক্রম শুরু হলো।আমিরুল মুজাহিদিন মুফতি সৈয়দ রেজাউল করীমের (পীর সাহেব চরমোনাইর) উদ্বোধনী বয়ানের মাধ্যমে আজ বুধবার (২০ ফেব্রুয়ারি) এ কার্যক্রম শুরু হয়।

মাহফিলের কার্যক্রম পরিচালনা কমিটির প্রধান দায়িত্বে থাকা বাংলাদেশ মুজাহিদ কমিটির সেক্রেটারি জেনারেল ডা. মোখতার হোসাইন জানান, ‘আনুষ্ঠানিকভাবে আমরা মাহফিলের কার্যক্রম শুরু করছি, তিন দিনব্যাপী লাখো মুসুল্লির অংশগ্রহণে এ মাহফিল কার্যক্রম শুরু হয়েছে। তিনি আরো বলেন, ইনশাল্লাহ নিয়মতান্ত্রিকভাবে মাহফিলের বাকি কার্যক্রম পরিচালিত হবে।

উদ্বোধনী বয়ানে আমীরুল মুজাহিদিন মুফতি সৈয়দ রেজাউল করীম মাহফিলে আগত মুসল্লীদের উদ্দেশ্যে “দরদমাখা” বয়ানে বলেন, চরমোনাই মাহফিল সর্বপ্রথম বর্তমান পীর সৈয়দ রেজাউল করিমের দাদা সৈয়দ ইসহাক রহমাতুল্লাহ আলাইহীর মাধ্যমে শুরু হয় এরপর বর্তমান পীর সৈয়দ রেজাউল করিম এর পিতা সৈয়দ ফজলুল করিম রহমাতুল্লাহ আলাইহীর মাধ্যমে সম্প্রসারণ হয় যারা উভয়ই চরমোনাই ময়দানে শুয়ে আছেন।

দ্বিতীয় দিন সন্ধ্যা এবং তৃতীয় দিন সকালে নায়েবে আমিরুল মুজাহিদিন মুফতি সৈয়দ ফয়জুল করীম বয়ান করবেন। তৃতীয় দিন সন্ধ্যা এবং শেষ দিন আখেরী মোনাজাতের আগে আমীরুল মুজাহিদীনের  বয়ানের মাধ্যমে কার্যক্রম শেষ হবে।সর্বশেষ ২৩ ফেব্রুয়ারি শনিবার সকালে আখেরি মোনাজাতে শেষ হবে মাহফিলের  সকল আনুষ্ঠানিক কার্যক্রম।

 

Comment

লেখক পরিচিতি

জাহিদ হাসান মিলু

আমি জাহিদ। সরকাারি কাগজপত্রের জাহিদুল ইসলাম থেকে বেসরকারি কাগজপত্রে জাহিদ হাসান মিলু- নামের এই বিচিত্র পরিবর্তনের পেছনে একটা মিষ্টি গল্প আছে।
জন্মেছি গোপালগঞ্জ জেলার অখ্যাত গ্রাম প্রশন্নপুরে, ১৯৯৬ সালের ডিসেম্বরে। কী এক বিশেষ কারণে যেন কাগজকলমে বয়েস কমিয়ে আমাকে আরও তিনবছরের ছোটো করে রাখা হয়েছে। বাবা মা দুজনেই অক্ষর না শিখেও আমার জীবনের শ্রেষ্ঠতম স্বাক্ষর হয়ে আছেন।
অবুঝ বয়েসে পারিবারিক স্বপ্নের কারণে ভর্তি হতে পেরেছিলাম মাদ্রাসায় , আলহামদুল্লিলাহ। জীবনের সবথেকে বড় পারিবারিক গিফ্ট ছিল এটা আমার জন্য। কুরআন পড়তে শিখলাম, মুখস্থ করতে পারলাম। অর্থ জানলাম এবং ব্যাখ্যাও পড়লাম।
আমাদের পাড়ার মাদ্রাসা কুলিয়ার ভিটায় পড়ার সময় ধর্মের প্রতি আমাদের ভেতরে যে বীজটা রোপিত হয়েছিল, সেটা ডালাপাল মেলে খোলা হাওয়ায় বেড়ে ওঠার সুযোগ পায় প্রাণের প্রতিষ্ঠান এরাবিল মডেল মাদ্রাসায়। তারপর? তারপর আর কি- এখন পড়াশোনা করছি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জার্নালিজম বিভাগে।
দায়ী হওয়ার স্বপ্ন আমার সবথেকে বড় স্বপ্ন। স্বপ্নটি পূরণ করতেই পড়ছি, শুনছি, দেখছি, শিখছি এবং অপেক্ষা করছি।