ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মহাপরিচালক সামীম মোহাম্মদ আফজাল বলেছেন, হালাল সনদ প্রদানের জন্য ইসলামিক ফাউন্ডেশন একমাত্র সরকারী প্রতিষ্ঠান। কিছু প্রতিষ্ঠান বেআইনীভাবে হালাল সনদ প্রদান করছে। যে সকল প্রতিষ্ঠান অবৈধভাবে হালাল সনদ প্রদান করছে তাদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে। তিনি (১৭ ফেব্রয়ারি) রবিবার সকালে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের আগারগাঁওস্থ প্রধান কার্যালয়ে ‘হালাল পণ্যের বাজার সৃষ্টি ও সচেতনতা’ শীর্ষক মতবিনিময় সভায় সভাপতির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
তিনি আরো বলেন, মুসলিম-অমুসলিম নির্বিশেষে বিশ্বব্যাপি হালাল পণ্যের চাহিদা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে হালাল পণ্যের বাজার সৃষ্টি ও এ বিষয়ে জনসচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে মসজিদের ইমাম সাহেবদের সম্পৃক্ত করা হবে। মসজিদের ইমামগণকে আগামী মাস থেকে এ বিষয়ে বিশেষ প্রশিক্ষণ দেয়া হবে। এছাড়া হালাল খাদ্যের প্রতি জনগণকে আকৃষ্ট করার লক্ষ্যে আগামী রমজান মাসে ‘হালাল এক্সপো’র আয়োজন করা হবে। ইসলামিক ফাউন্ডেশনের হালাল সনদ বিভাগের পরিচালক মোঃ আবুল কালাম জানান, ২০০৭ সাল থেকে ইসলামিক ফাউন্ডেশন বাংলাদেশে উৎপাদিত খাদ্যসামগ্রী, ভোগ্যপণ্য, ফার্মাসিউটিক্যালস ও কসমেটিক্স-এর অনুকূলে হালাল সনদ প্রদান করে আসছে। ইতোমধ্যে প্রায় ৮০টি কোম্পানীর ১৫০টির অধিক পণ্যের অনুকূলে হালাল সনদ প্রদান করেছে। হালাল সনদপ্রাপ্ত ৪০টি প্রতিষ্ঠানে প্রায় ৩৫টি দেশে বাংলাদেশে উৎপাদিত পণ্য বিদেশে রপ্তানি করছে। তিনি আরো জানান, ইসলামিক ফাউন্ডেশন হালাল সনদ কার্যক্রমকে ডিজিটালাইজেশন করা হচ্ছে। অনলাইনের মাধ্যমে হালাল সনদ কার্যক্রম পরিচালনা করা হবে।
ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মহাপরিচালক সামীম মোহাম্মদ আফজালের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় অন্যান্যের মধ্যে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের সচিব কাজী নূরুল ইসলাম, হালাল সনদ বিভাগের পরিচালক মোঃ আবুল কালাম, পরিকল্পনা বিভাগের পরিচালক মুহাম্মদ রফিক উল ইসলাম, হালাল সনদ বিভাগের উপ-পরিচালক ড. মোঃ আবু ছালেহ পাটোয়ারী, সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ, বিসিএসআইআর-এর বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. আবদুস সাত্তার, বিএসটিআই-এর সহকারী পরিচালক আবু সাঈদ ও ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক মোঃ আইয়ুব হোসেন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। ইসলামিক ফাউন্ডেশনের থেকে হালাল সনদপ্রাপ্ত প্রতিষ্ঠানের শতাধিক প্রতিনিধি সভায় অংশ নেন।
সূত্র : প্রেস বিজ্ঞপ্তি