সৈয়দ মইনুদ্দিন আহমেদ মাইজভান্ডারি ক্যালিগ্রাফি ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে জাতীয় জাদুঘরের নলীনিকান্ত ভট্টশালী গ্যালারীতে ১০তম জাতীয় ক্যালিগ্রাফি প্রদর্শনী ও প্রতিযোগিতা চলছে। আগামী ০৪ ফেব্রুয়ারী ২০১৯ পর্যন্ত প্রদর্শনী চলবে। প্রদর্শনীর শুভ উদ্বোধন করেন শাহ্জাদায়ে সৈয়দ সাইফুদ্দীন আহমেদ মাইজভান্ডারি ও সৈয়দ মইনুদ্দিন আহমেদ মাইজভান্ডারীর সুযোগ্য দৌহিত্র মেহবুব-এ-মইনুদ্দীন আল মাইজভান্ডারী।
প্রতিদিন সকাল দশটা থেকে সন্ধা ছয়টা পর্যন্ত প্রদর্শনী সর্বসাধারণের জন্য উন্মুক্ত থাকে। প্রদর্শনীতে স্থান পেয়েছে শতের অধিক শিল্পকর্ম। প্রদর্শনীর উদ্বোধন অনুষ্ঠানের আরো উপস্থিত ছিলেন সৈয়দ মইনুদ্দিন আহমেদ মাইজভান্ডারি ক্যালিগ্রাফি ফাউন্ডেশনের নির্বাহি পরিচালক বিশিষ্ট ক্যালিগ্রাফার শিল্পী সাইফুল্লাহ সাফা এবং খ্যাতিমান ও দেশবরেণ্য ক্যালিগ্রাফি শিল্পীবৃন্দ।
প্রদর্শনী উপলক্ষে উন্মুক্ত ক্যালিগ্রাফি প্রতিযোগিতা ও ক্যালিওগ্রাফি কর্মশালারও আয়োজন করা হয়েছে। ফেব্রুয়ারি মাসের ১ ও ২ তারিখ (শুক্র ও শনিবার) জাতীয় জাদুঘরের নলীনিকান্ত ভট্টশালী গ্যালারীতে দুপুর ১১টা থেকে ২টা পর্যন্ত উন্মুক্তভাবে এই ক্যালিগ্রাফি প্রতিযোগিতা ও ক্যালিওগ্রাফি কর্মশালা অনুষ্ঠিত হবে। কর্মশালা প্রদান করবেন বিশ্ব বিখ্যাত ক্যালিগ্রাফার হাজী নুরু দীন ও তার সহধর্মিণী (চাইনিজ)। প্রতিযোগিতায় প্রথম স্থান অধিকারকারী পাবেন ৫,০০০ টাকা। দ্বিতীয় স্থান অধিকারকারী পাবেন ৩,০০০ টাকা। আর তৃতীয় স্থান অধিকারকারী পাবেন ২,০০০ টাকা। এছাড়া চতুর্থ ও পঞ্চম স্থান অধিকারকারী পাবেন ১, ০০০ টাকা করে পুরস্কার। প্রতিযোগিতার বিষয় হবে উন্মুক্ত, তবে দৃষ্টি নন্দন ক্যালিওগ্রাফি হতে হবে আরবী অথবা বাংলায়। প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণকারী শিল্পীর বয়সও উন্মুক্ত।
এছাড়া প্রদর্শনী উপলক্ষে বাংলাদেশে ক্যালিগ্রাফি চর্চায় যেসকল বরেণ্য শিল্পীগণ বিশেষ অবদান রেখেছেন তাদেরকে সংবর্ধনা প্রদান করা হবে। এবার যারা বিশেষ সংবর্ধনা পাচ্ছেন যারা। ১. শিল্পী মূর্তাজা বশীর। ২. শিল্পী ড. আব্দুস সাত্তার। ৩. শিল্পী ড. সবিহুল আলম। ৪. শিল্পী সাইফুল ইসলাম। ৫. শিল্পী আরিফুর রহমান। ৬. শিল্পী ফেরদৌস আরা বেগম।