হেফাজত মহাসচিব ও আল-জামিয়াতুল আহলিয়া দারুল উলূম মুঈনুল ইসলাম হাটহাজারী মাদ্রাসার সহকারী পরিচালক আল্লামা বাবুনগরী (৭০) অসুস্থ হয়ে রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। শনিবার বিকালে তাকে রিজেন্ট এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইটে করে ঢাকায় আনা হয়েছে। হেফাজত মহাসচিব বার্ধক্যজনিত রোগসহ দীর্ঘদিন যাবৎ হৃদরোগ, ডায়াবেটিস ও কিডনি রোগে আক্রান্ত হয়ে উন্নত চিকিৎসার অভাবে মানবেতর জীবনযাপন করছিলেন। উন্নত চিকিৎসা গ্রহণের জন্য বিদেশ যাওয়ার পরিকল্পনা থাকলেও দীর্ঘ ৫ বছর যাবত পাসপোর্টটি ফেরত না পাওয়ায় সেটিও সম্ভব হচ্ছে না।
আল্লামা হাফেজ জুনাইদ বাবুনগরী’র পাসপোর্ট ফিরিয়ে দিতে সরকারের কাছে দাবী জানিয়েছেন সংগঠনটির আমীর হাটহাজারী মাদরাসার মুহতামিম আল্লামা শাহ আহমদ শফী। হাটহাজারী মাদরাসার মুখপত্র মাসিক মুঈনুল ইসলামের নির্বাহী সম্পাদক মুফতী সরওয়ার কামাল বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এদিকে হেফাজতের কয়েকজন শীর্ষ আলেম ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, বেশ কয়েক বছর যাবৎ হার্ট, কিডনি, ডায়াবেটিস, কোলেস্টরল, উচ্চরক্তচাপসহ আরো বিভিন্ন জটিল রোগে আক্রান্ত আল্লামা জুনায়েদ বাবুনগরী। তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য দেশের বাইরে নেয়া খুবই প্রয়োজন। কিন্তু তিনি দেশের বাইরে যেতে পারছেন না। সরকার তার ব্যক্তিগত পাসপোর্ট জব্দ করে রেখেছে। এবার যদি পাসপোর্ট ফেরত দেয়া না হয়, তাহলে আলেম-ওলামা ও সাধারণ তৌহিদি জনতার পক্ষ থেকে কঠোর কর্মসূচি দেয়ার হুশিয়ারি দেন হেফাজত নেতারা।
এ ব্যাপারে হেফাজতের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা আজিজুল হক ইসলামাবাদী জানান, আল্লামা জুনায়েদ বাবুনগরী বিভিন্ন জটিল রোগে আক্রান্ত হয়েও উন্নত চিকিৎসা থেকে বঞ্চিত। ইতিপূর্বে উনি হজ, ওমরা ও চিকিৎসার জন্য দেশের বাহিরে যেতে চেয়েছেন। কিন্তু সরকার পাসপোর্ট না দেয়ায় সেটা সম্ভব হয়নি। প্রসঙ্গত, ২০১০ সালে প্রতিষ্ঠিত ধর্মভিত্তিক সংগঠন হেফাজতে ইসলাম ব্যাপক আলোচনায় আসে ২০১৩ সালে। কথিত নাস্তিক ব্লগারদের বিচার চেয়ে মতিঝিলের শাপলা চত্বরে লংমার্চ করে সাংগঠনিক শক্তির জানান দেয় অরাজনৈতিক এই সংগঠনটি। তবে ওই বছরের ৫ মে শাপলা চত্বরের ঘটনার পর সংগঠনটির মহাসচিব আল্লামা বাবুনগরী গ্রেফতার হয়েছিলেন। সে সময় তার পাসপোর্টটি নিয়ে নেয়া হয়।