ইসলাম ধর্মমতে বিবাহ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ও ফজিলতপূর্ণ একটি ইবাদত। কুরআন এবং হাদিসে ছেলেমেয়ের উপযুক্ত বয়স হলে দ্রুত তাদের বিয়ে সম্পন্ন করার ব্যাপারে গুরুত্বারোপ করা হয়েছে। নবীজি (সা.) বলেন, “তোমাদের মধ্যে যাদের বিয়ে করার সামর্থ্য আছে, তারা যেন বিয়ে করে ফেলে। কারণ বিয়ে তাদের দৃষ্টিকে নিম্নমুখী রাখতে সাহায্য করবে এবং লজ্জাস্থানকে হেফাজত করবে।
অবাক করা বিষয় হলো, বিয়ের মতো এতো গুরুত্বপূর্ণ বিধানটিই ব্যাপকভাবে উপেক্ষিত হচ্ছে মুসলিম বিশ্বের অন্যতম দেশ সৌদি আরবে। আন্তর্জাতিক যুব দিবস উপলক্ষে পরিসংখ্যান সংস্থা গাসতাতের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সৌদি আরবের ৬৬% যুবক-যুবতী এখনও অবিবাহিত। এদিকে ২০১৮ সালের এক পরিসংখ্যান প্রতিবেদনে দেখা যায়, বিয়ের বয়স পেরিয়ে গেলেও সৌদি আরবে বিয়ে হচ্ছে না প্রায় ৫২ লক্ষাধিক নারী-পুরুষের। এনিয়ে দুশ্চিন্তায় সময় কাটছে তাদের পরিবারের সদস্যদের।
মেয়েদের ভবিষ্যৎ নিয়ে দেশটির অনেক পরিবারই উদ্বিগ্ন। ক্রমবর্ধমান হারে অবিবাহিত তরুণীর সংখ্যা ভয়াবহ আকার ধারণ করছে দেশটিতে। জানা গেছে, এর মধ্যে বয়স পেরিয়ে যাওয়ার পরও ৩০ লাখ ১ হাজার ২৬৪ জন পুরুষ এবং ২২ লাখ ৬১ হাজার ৯৪৬ জন নারীও অবিবাহিত রয়ে গেছেন।
৩৯.৯ বছর পেরিয়ে যাওয়া পুরুষদের এবং ৩৬.৪ বছর পেরোনো নারীদের বিয়েই হচ্ছে না। দেশটিতে ক্রমবর্ধমান হারে অবিবাহিত তরুণীর সংখ্যা ভয়াবহ আকার ধারণ করছে। বিয়ের স্বাভাবিক বয়স পেরিয়ে গেছে এমন নারীর সংখ্যা ২০০৫ সালে ছিল ১৫ লাখেরও বেশি। ২০১৫ সালে এই সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪০ লাখে।