ইসলামী ঐক্যজোটের চেয়ারম্যান মাওলানা আবদুল লতিফ নেজামী ইন্তেকাল করেছেন। ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন। সোমবার (১১ মে) রাত সাড়ে আটটায় কাকইরাইলে অবস্থিত ইসলামি ব্যাংক হাসপাতালে তিনি ইন্তেকাল করেন।
ইফতারের আগে হঠাৎ অসুস্থতাবোধ করলে তাকে কাকরাইলে অবস্থিত ইসলামি ব্যাংক হাসপাতালে নেওয়া হয় এবং সেখানেই রাত সাড়ে আটটায় তিনি ইন্তেকাল করেন। সাদামাটা জীবনের অধিকারী ও সহজ সরল মানুষ হিসেবে মাওলানা আবদুল লতিফ নেজামীর খ্যাতি রয়েছে। রাজনীতির পাশাপাশি তিনি দৈনিক সরকার পত্রিকার সম্পাদক ছিলেন।
মাওলানা নেজামীকে ইসলামি রাজনীতির জীবন্ত কোষ বলা হয়। নেজামে ইসলামে যোগদানের মধ্য দিয়ে তার রাজনীতি শুরু। ইসলামি আন্দোলনের বিভিন্ন বাঁক ও প্রতিকূল মুহূর্তেও তিনি আক্রমণাত্মক বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর হাসিমুখে দিতেন। এটা তার বিশেষ বৈশিষ্ট্য ছিলো।
তার মৃত্যুতে ইসলামী ঐক্যজোটের মহাসচিব মুফতি ফয়জুল্লাহ ফেসবুক স্ট্যাটাসে জানান, ‘দেশের অন্যতম শীর্ষ আলেম দ্বীন, দীন-মিল্লাতের অতন্দ্রপ্রহরী, মাখদুমুল উলামা,আমার অত্যন্ত শ্রদ্ধাভাজন আবদুল লতিফ নেজামী সাহেব (রহ.) -এর ইন্তেকালের খবরটি খুবই দুঃখ ও বেদনার। তাঁর মরহুম হয়ে যাওয়ার সংবাদে মনটা ভেঙ্গে যাচ্ছে। স্মৃতির আয়নায় ভেসে উঠছে টুকরো টুকরো অনেক ঘটনা। আহ এত দ্রুত তাঁকে হারিয়ে ফেললাম।
মাওলানা নেজামী (রহ.) একজন হক্কানী আলেম এবং প্রচার বিমুখ রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব ছিলেন। তাঁর ইন্তেকালে দেশ একজন প্রতিথযশা মুরুব্বী হারাল। হযরতের ইন্তিকাল নিশ্চয় আলেম সমাজ ও দেশের জন্য অনেক বড় ক্ষতি। আমি মাওলানা নেজামী (রহ.)-এর বর্ণাঢ্য কর্মময় জীবন ও অনুকরণীয় দৃষ্টান্তসমূহ গভীর শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করছি। স্বরণ করছি, বহু ঈমানী আন্দোলনে তাঁর অবিস্মরণীয় ভূমিকার কথা ‘
মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী, ২ ছেলে ও ২ মেযেসহ অসংখ্য আত্মীয়-স্বজন রেখে গেছেন। তার মৃত্যুতে ইসলামি রাজনীতির অঙ্গনে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। তার জানাজার স্থান ও সময়ের বিষয়ে এখনও কিছু জানা যায়নি।