আন্তর্জাতিক সংবাদ

হালাল খাবার ও পবিত্র কুরআন নিয়ে মহাকাশ ভ্রমণে যাচ্ছেন নভোচারী

হাজা আল-মানসুরি। প্রথম কোনো আরব্য যুবক, যিনি মহাকাশ ভ্রমণে যাচ্ছেন। মহাকাশ সফরে তিনি সঙ্গে নিয়ে যাচ্ছেন পবিত্র কুরআনুল কারিমের একখণ্ড পাণ্ডুলিপি। সংযুক্ত আরব আমিরাতের মহাকাশ নভোচারী হাজা আল-মানসুরি এ ভ্রমণে নিজের প্রয়োজনীয় জিনিসের সঙ্গে পবিত্র কুরআনুল কারিম সঙ্গে নিবেন। আন্তর্জাতিক স্পেস স্টেশনে ৮ দিনের মহাকাশ সফরে তিনি ১০ কেজি পণ্য বহন করতে পারবেন। দ্য ইন্টারন্যাশনাল স্পেস স্টেশন তার জন্য হালাল খাবারের ব্যবস্থাপনাও করেছে

মার্কিন মহাকাশ সংস্থা (নাসা) সাইটের ঘোষণা অনুযায়ী আগামী ২৫ সেপ্টেম্বর মহাকাশযান Soyuz MC-15 এর মাধ্যমে ৮ দিনের সফর শুরু হবে। এ সফরে থাকবে ৩ নভোচারী। এদের একজন আরব আমিরাতের মুসলিম নভোচারী হাজা আল-মানসুরি। তার মহাকাশ ভ্রমণে ব্যক্তিগত জিনিসপত্রের মধ্যে থাকবে পবিত্র কুরআনের একখণ্ড পাণ্ডুলিপি, পারিবারিক ছবি, খাঁটি সিল্কে বোনা সংযুক্ত আরব আমিরাতের পতাকা এবং ‘কিস্সাতি’ (আমার গল্প) নামক একটি গ্রন্থ।

সংযুক্ত আরব আমিরতের নভোচারী প্রোগ্রাম ম্যানেজার সালেম আল-মারি এক সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন, হাজা আল-মানসুরি Soyuz MC-15 মহাকাশযানের মাধ্যমে ৮ দিন মহাকাশে অবস্থান করবেন। এ মহাকাশ ভ্রমণটি কাজাখাস্তানের বাইকনুর কসমোড্রোম স্পেস বেস থেকে ২৫ সেপ্টেম্বর যাত্রা শুরু করে ৩ অক্টোবর ফিরে আসার পরিকল্পনা রয়েছে।

Comment

লেখক পরিচিতি

জাহিদ হাসান মিলু

আমি জাহিদ। সরকাারি কাগজপত্রের জাহিদুল ইসলাম থেকে বেসরকারি কাগজপত্রে জাহিদ হাসান মিলু- নামের এই বিচিত্র পরিবর্তনের পেছনে একটা মিষ্টি গল্প আছে।
জন্মেছি গোপালগঞ্জ জেলার অখ্যাত গ্রাম প্রশন্নপুরে, ১৯৯৬ সালের ডিসেম্বরে। কী এক বিশেষ কারণে যেন কাগজকলমে বয়েস কমিয়ে আমাকে আরও তিনবছরের ছোটো করে রাখা হয়েছে। বাবা মা দুজনেই অক্ষর না শিখেও আমার জীবনের শ্রেষ্ঠতম স্বাক্ষর হয়ে আছেন।
অবুঝ বয়েসে পারিবারিক স্বপ্নের কারণে ভর্তি হতে পেরেছিলাম মাদ্রাসায় , আলহামদুল্লিলাহ। জীবনের সবথেকে বড় পারিবারিক গিফ্ট ছিল এটা আমার জন্য। কুরআন পড়তে শিখলাম, মুখস্থ করতে পারলাম। অর্থ জানলাম এবং ব্যাখ্যাও পড়লাম।
আমাদের পাড়ার মাদ্রাসা কুলিয়ার ভিটায় পড়ার সময় ধর্মের প্রতি আমাদের ভেতরে যে বীজটা রোপিত হয়েছিল, সেটা ডালাপাল মেলে খোলা হাওয়ায় বেড়ে ওঠার সুযোগ পায় প্রাণের প্রতিষ্ঠান এরাবিল মডেল মাদ্রাসায়। তারপর? তারপর আর কি- এখন পড়াশোনা করছি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জার্নালিজম বিভাগে।
দায়ী হওয়ার স্বপ্ন আমার সবথেকে বড় স্বপ্ন। স্বপ্নটি পূরণ করতেই পড়ছি, শুনছি, দেখছি, শিখছি এবং অপেক্ষা করছি।