ফিচার ভাষা-শিল্প-সাহিত্য

সিবাওয়াই— আরবী ভাষা শিক্ষায় ব্যতিক্রমী উদ্যোগ

বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত বা জেনারেল শিক্ষিতদের জন্য আরবী ভাষা শেখার ব্যতিক্রমী উদ্যোগ গ্রহণ করেছে ‘সিবাওয়াই’। ইংরেজি ভাষার আদলে অভিনব পদ্ধতিতে খুব সহজে অল্পদিনে আরবী ভাষা শেখানো হয় এখানে। ব্যতিক্রমধারার ‘সিবাওয়াই’ নামের এ প্রতিষ্ঠান শুরু করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আরবী বিভাগের শিক্ষার্থী নাজমুল হাসান। সম্প্রতি  চালু হওয়া এ প্রতিষ্ঠান ইতিমধ্যে বিশ্ববিদ্যালয় অঙ্গনে বেশ সাড়া ফেলেছে। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, চলতি বছরের শুরুতে প্রতিষ্ঠিত হয়ে এ পর্যন্ত মোট তিনটি ব্যাচ সম্পন্ন হয়েছে। শুরুতে নানা অনুৎসাহ আর প্রতিকূলতা সত্ত্বেও প্রতিষ্ঠানটি এখন ঢাকার বাইরেও তাদের শাখা খুলতে আগ্রহ প্রকাশ করছে।

সিবাওয়াইয়ের কর্ণধার নাজমুল হাসান জানান, ‘আরবী ভাষা, পবিত্র একটি ভাষা—এ ভাষায় মহান আল্লাহর কালাম লেখা হয়েছে। ইসলামকে সম্পূর্ণভাবে জানতে হলে প্রকৃতপক্ষে আরবী ভাষা শিক্ষার কোনো বিকল্প নেই। এ ছাড়া আধুনিক যুগের ভাষা হিসেবেও আরবী ভাষা অনেক গুরুত্বপূর্ণ। কুরআন-হাদীস বোঝাসহ আধুনিক জ্ঞান-বিজ্ঞানে পারদর্শিতা অর্জনেও এ ভাষার গুরুত্ব সীমাহীন। তবে অত্যন্ত দুঃখের বিষয় হলো— আমাদের দেশে যারা মাদরাসায় পড়াশোনা করেন তারা আরবী ভাষা শেখার সুযোগ পেলেও জেনারেল শিক্ষিতদের জন্য এ সুযোগ বিরল। তাই এই শূন্য জায়গাটি পূরণ করতেই আসলে আমার এ প্রচেষ্টা। আল্লাহ সহায় হোন!’

ঢাকার নীলক্ষেতে অবস্থিত এ প্রতিষ্ঠানটিতে বর্তমান শিক্ষার্থী সংখ্যা প্রায় দুই শতাধিক। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত একদল মেধাবী শিক্ষার্থীর পরিশ্রমে এগিয়ে চলেছে ‘সিবাওয়াই’।

সিবাওয়াইতে কোর্স সম্পন্ন করা এক শিক্ষার্থী বলেন, ‘আমার আরবী ভাষা শেখার পেছনে যার প্রতি ধন্যবাদ না জানালেই নয়, তা হচ্ছে আরবী ভাষার প্রতিষ্ঠান ‘সিবাওয়াই’। এত কঠিন বিষয়গুলো যে এত সহজে উপস্থাপন করা যায়, তা এখানে না আসলে জানতামই না কখনো। আশা করি, ‘সিবাওয়াই’-এর আরবী ভাষা শেখানোর প্রচেষ্টা সফল হবে, সবাই আরবী বুঝতে পারবে মাতৃভাষার মতো। সিবাওয়াইয়ের জন্য শুভকামনা।’

আরবী ভাষা শিখতে চাইলে আপনিও কোর্স করতে পারেন সিবাওয়াইয়ে। কোর্স করতে হলে বা প্রতিষ্ঠানটি সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে চোখ রাখুন সিবাওয়াইয়ের ফেসবুক পেইজে অথবা কল করুন ০১৮৭৯২১১২৮৭ এই নম্বরে।

ওকে/এমএইচ

Comment

লেখক পরিচিতি

জাহিদ হাসান মিলু

আমি জাহিদ। সরকাারি কাগজপত্রের জাহিদুল ইসলাম থেকে বেসরকারি কাগজপত্রে জাহিদ হাসান মিলু- নামের এই বিচিত্র পরিবর্তনের পেছনে একটা মিষ্টি গল্প আছে।
জন্মেছি গোপালগঞ্জ জেলার অখ্যাত গ্রাম প্রশন্নপুরে, ১৯৯৬ সালের ডিসেম্বরে। কী এক বিশেষ কারণে যেন কাগজকলমে বয়েস কমিয়ে আমাকে আরও তিনবছরের ছোটো করে রাখা হয়েছে। বাবা মা দুজনেই অক্ষর না শিখেও আমার জীবনের শ্রেষ্ঠতম স্বাক্ষর হয়ে আছেন।
অবুঝ বয়েসে পারিবারিক স্বপ্নের কারণে ভর্তি হতে পেরেছিলাম মাদ্রাসায় , আলহামদুল্লিলাহ। জীবনের সবথেকে বড় পারিবারিক গিফ্ট ছিল এটা আমার জন্য। কুরআন পড়তে শিখলাম, মুখস্থ করতে পারলাম। অর্থ জানলাম এবং ব্যাখ্যাও পড়লাম।
আমাদের পাড়ার মাদ্রাসা কুলিয়ার ভিটায় পড়ার সময় ধর্মের প্রতি আমাদের ভেতরে যে বীজটা রোপিত হয়েছিল, সেটা ডালাপাল মেলে খোলা হাওয়ায় বেড়ে ওঠার সুযোগ পায় প্রাণের প্রতিষ্ঠান এরাবিল মডেল মাদ্রাসায়। তারপর? তারপর আর কি- এখন পড়াশোনা করছি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জার্নালিজম বিভাগে।
দায়ী হওয়ার স্বপ্ন আমার সবথেকে বড় স্বপ্ন। স্বপ্নটি পূরণ করতেই পড়ছি, শুনছি, দেখছি, শিখছি এবং অপেক্ষা করছি।