আন্তর্জাতিক সংবাদ

সম্ভ্রম রক্ষার্থে বোরকা পরা শুরু করেছেন ইহুদি নারীরাও

নিজেদের সম্ভ্রম রক্ষার্থে এবং নিরাপত্তার স্বার্থে মুসলিম নারীদের মতো আপাদমস্তক ঢাকা বোরকা পরা শুরু করেছেন ইসরাইলসহ বিভিন্ন দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের ইহুদি নারীরা। ইসলামভিত্তিক আন্তর্জাতিক বার্তাসংস্থা দ্য ইসলামিক ইনফরমেশন.কমে এ বিষয়টি নিয়ে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়েছে। প্রতিবেদনটি প্রকাশের পরপরই বেশ সাড়া জাগিয়েছে তা।

দ্য সেন্ট্রাম মিডিয়ার ইউটিউব চ্যানেলে প্রকাশিত একটি ভিডিওর তথ্যসূত্র অনুসারে দ্য ইসলামিক ইনফরমেশন.কমের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত এ প্রতিবেদনে ইসরাইলসহ পৃথিবীর বেশ কিছু দেশের বেশ কিছু অঞ্চলের ইহুদি নারীদের বোরকা পরিধানের চিত্র ও ভিডিও ফুটেজ তুলে ধরা হয়।



প্রতিদেনটিতে বলা হয়, ইহুদি হয়েও মুসলিম নারীদের মতো তারা কেন বোরকা পরছেন? একজন ইহুদি নারীকে এমন প্রশ্ন করা হলে জবাবে তিনি বলেন, পুরুষদের থেকে সম্ভ্রম রক্ষা করতে এবং নিজেকে পূতপবিত্র ও নিরাপদ রাখতেই তারা এমনভাবে বোরকা পরছেন। তিনি আরও বলেন, বোরকা এমন একটি পোশাক; যা মুসলিম বিশ্বের বেশিরভাগ নারীরা পরিধান করেন এবং এই পোশাক তাদেরকে নিরাপত্তা দেয়। নিজেদের নিরাপত্তার কথা ভেবেই মুসলিমদের এ পোশাক গ্রহণ করেছেন বলে জানান সে নারী।

সম্ভ্রম রক্ষার্থে হোক কিংবা হোক নিরাপত্তার স্বার্থে— ইসলাম প্রদত্ত পর্দার বিধানের পোশাক বোরকাকে এভাবে গ্রহণ করার বিষয়টিকে ইতিবাহক হিসেবেই দেখছেন বিশ্বের বিখ্যাত মুসলিম স্কলাররা। তারা বলছেন, শুধু ইসলাম প্রদত্ত পোশাকই নয়; ইসলামের সব বিধানই মানুষের নিরাপত্তা ও অধিকারকে সুনিশ্চিত করেছে। বোরকার মতো ইসলামের বিধানের সৌন্দর্যেও একদিন আলোকিত হবে গোটা বিশ্বসমাজ— এমনটাই প্রত্যাশা রইলো।

Comment

লেখক পরিচিতি

মুহাম্মদ বিন ওয়াহিদ

মুহাম্মদ বিন ওয়াহিদ— তরুণ সংবাদকর্মী ও সম্পাদক হিসেবে পরিচিত। ময়মনসিংহের ভালুকা উপজেলার ডাকাতিয়া গ্রামের বাসিন্দা। প্রাথমিক শিক্ষাজীবন শুরু গ্রামের মক্তব থেকে। ৭ বছর বয়সে নিজ ইচ্ছায় ইসলামী শিক্ষা শুরু করেন ঢাকার ঐতিহ্যবাহী ধর্মীয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠান জামি'আ রাহমানিয়া আরাবিয়ায়। সেখানে দীর্ঘ ১২ বছর পড়াশোনা করে উচ্চতর শিক্ষা গ্রহণের জন্য চলে যান ভারতের দারুল উলুম দেওবন্দে। সেখানে দেড় মাস অবস্থান করে পারিপার্শ্বিক অবস্থার অবনতির জন্য দেশে চলে আসতে হয় তাকে। সর্বশেষ ২০২০ সালে তিনি জামিয়া শারঈয়্যা মালিবাগে দাওরায়ে হাদিস অধ্যয়ন করছেন।
২০১২ সালে মিজান জামাত থেকে লেখালেখির সূচনা করেন এবং এর কিছুদিন পর থেকেই বিভিন্ন ছোট কাগজে, গল্প,কবিতা, প্রবন্ধ-নিবন্ধ, ভ্রমণকাহিনিসহ নানা বিষয়ে তিনি নিয়মিত লিখতে থাকেন। ২০১৭ সালে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর হিজরত পরবর্তী জীবন নিয়ে ৬৪ পৃষ্ঠার চমৎকার একটি উপন্যাসের বইও তিনি রচনা করেন। যা মানবাধিকার প্রকাশন থেকে প্রকাশিত হয়েছে।
২০১৯ সাল থেকে দৈনিক যুগান্তর,দৈনিক আমার সংবাদ,দৈনিক আমাদের সময়, দৈনিক আলোকিত বাংলাদেশ,বার্তা২৪, দুরন্ত নিউজ, ইনসাফ, আওয়ার ইসলাম এবং ইসলাম প্রতিদিনসহ দেশের সব জাতীয় দৈনিকে তিনি নিয়মিত লিখে চলেছেন। এছাড়াও কাজ করছেন ইসলাম প্রতিদিনের আন্তর্জাতিক ডেক্সে।