বিভিন্ন সময় বিভিন্ন স্থানে অনাকাঙ্ক্ষিতভাবে আগুন লাগে। চলতি বছর ঢাকাতে দুটি বড় ধরনের অগ্নিকান্ড সংঘঠিত হলো। কিছুদিন আগেই পুরান ঢাকার চকবাজারে ভয়াবহ অগ্নিকান্ডে শতাধিক মানুষ শহীদ হলো। আজকে আগুন লাগলো বনানীর একটি বহুতল ভবনে। এভাবে প্রায় প্রতিনিয়তিই বাংলাদেশসহ বিশ্বের বিভিন্নদেশে কোনো না কোনোভাবে ছোট-বড় অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটছেই। আগুন লাগার পর বিভিন্ন উপায়ে মানুষ আগুন নেভানোর চেষ্ঠা চালায়। আগুন নিভাতে নিভাতে শহীদ হন অনেকে। এছাড়া আহত হন বহু মানুষ।
ইসলাম একটি পূর্ণাঙ্গ জীবনবিধান হিসেবে মুসলমনাদের সব কাজ ও সমস্যার সমাধান ইসলামে প্রদত্ত হয়েছে। কোথাও আগুণ লাগলে হতাশ না হয়ে আগুন নিভানোর ক্ষেত্রে বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করার পাশাপাশি কিছু দোয়া ও আমলে নির্দেশনাও প্রদান করেছে ইসলাম।
একটি হাদিসে বর্ণিত হয়েছে। হজরত আবদুল্লাহ ইবনে আমর ইবনুল আস (রা.) থেকে বর্ণিত রাসুল (সা.) বলেন, ‘তোমরা যখন কোথাও আগুন (লাগতে) দেখো, তখন তোমরা তাকবির দাও। কারণ তাকবির আগুন নিভিয়ে দেবে। (তাবরানি, হাদিস নং: ১/৩০৭) তাকবির হলো- আল্লাহু আকবার, আল্লাহু আকবার। এর অর্থ : আল্লাহ মহান। আল্লাহ মহান। ইমাম ইবনে তাইমিয়া (রহ.) বলেন, ‘আগুন যত প্রলয়ঙ্করী হোক; তাকবিরের মাধ্যমে তা নিভে যায়। আর আজানের মাধ্যমে শয়তান পলায়ন করে। (আল-ফাতাওয়া আল-কুবরা: ৫/১৮৮)
পবিত্র কোরআনের একটি আয়াত রয়েছে, যেটি পড়লে আগুন নেভাতে প্রভাব পড়বে এবং আগুনের ক্রিয়া নিস্তেজ হয়ে যাবে। আল্লাহর নবী হজরত ইবরাহিমকে (আ.) আগুন যেন স্পর্শ না করে, সে নির্দেশ দিয়েছিলেন মহান আল্লাহ তাআলা। পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তাআলা ইরশাদ হয়েছে, ইয়া না-রু কু-নি বারদান ওয়া সালামান আলা ইবরাহিম। অর্থ : ‘হে আগুন! তুমি ইবরাহিমের জন্য শীতল ও নিরাপদ হয়ে যাও।’ (সুরা আম্বিয়া, আয়াত: ৬৯) এছাড়া আগুন লাগলে বিভিন্ন বর্ণনায় আজান দেওয়ার কথা উল্লেখ রয়েছে।