দোয়া বিধান

দ্রুত চাকরি পাওয়ার পরীক্ষিত দোআ

সম্ভবত চাকরি খোঁজাটা আমাদের জন্য সবচেয়ে কঠিন কাজ। প্রচণ্ড চাপের মধ্য দিয়ে সবাইকে এমন একটি সময় পার করতে হয়।  তাই এবার আপনাদের জন্য কিছু পরীক্ষিত দোআ নিয়ে হাজির হয়েছি।  যেগুলো পাঠ করলে আপনি খুব দ্রুত চাকরি পেয়ে যেতে পারেন। চাকরি না থাকাটা সত্যিই দুঃস্বপ্নের মতো। এ ছাড়া বর্তমান সময়ে চাকরির ক্ষেত্রে আসন থাকে সীমিত কিন্তু প্রার্থী অসংখ্য।

চাকরির জন্য আপনি ইন্টারনেটে প্রচুর দোআ পেতে পারেন, যার অধিকাংশই শুদ্ধ সূত্রে বর্ণিত নয় কিংবা দলিল-প্রমাণ দ্বারা সাব্যস্ত নয়। এই নিবন্ধে কুরআন এবং হাদীসের শুদ্ধ সূত্রে বর্ণিত দোআগুলোই তুলে ধরা হলো।

আমল—০১

নিম্নে বর্ণিত দোআটি কুরআনে উল্লেখ রয়েছে। যখন হজরত মূসা (আ.) ফিরআউন থেকে পরিত্রাণ খুঁজছিলেন। প্রচণ্ড ক্ষুধার্ত ও ক্লান্ত ছিলেন তিনি। তখন হজরত মূসা (আ.) হাত তুলে আকাশের দিকে তাকিয়ে দোআটি পাঠ করেছিলেন। দোআটি করার সঙ্গে সঙ্গেই আল্লাহ তাআলা হজরত মূসাকে (আ.) এমন প্রাচুর্য দান করলেন, যা দিয়ে তিনি পরবর্তী দশ বছর সুখে শান্তিতে কাটিয়ে দিতে পেরেছিলেন। সেই সঙ্গে তাকে একটি পরিবারও দান করেছিলেন আল্লাহ মহান।

দোআটি হলো—

বাংলা উচ্চারণ—’ফাছাকা লাহুমা ছুম্মা তাওয়াল্লা ইলাজ-জিল্লি ফাক্বলা রাব্বি ইন্নী লিমা আনঝলতা ইলাইইয়া মিন খাইরিন ফাকীর।’ (কুরআন, সুরা আল-কাছাছ, আয়াত : ২৪)

দোআটির অর্থ—সে সময় মূসা তাদের পক্ষে (পশুগুলোকে) পানি পান করিয়ে দিল। তারপর ছায়ায় ফিরে গেল এবং বলল, হে আমার রব, নিশ্চয় আপনি আমার প্রতি যে অনুগ্রহই নাযিল করবেন, আমি তার মুখাপেক্ষী। এই দোআটি সেসব মুসলিমদের জন্য জরুরি, যারা দ্রুত চাকরি পেতে চান অথবা যারা অভাবগ্রস্ত অবস্থায় দিন কাটাচ্ছেন।

আমল—০২

এ ক্ষেত্রে আরেকটি অজিফাও রয়েছে যেটি আপনাকে দ্রুত চাকরি পেতে সাহায্য করতে পারে। সেটি হলো—ইয়া ওয়াহহাবু। আল্লাহ মহানের একটি গুণবাচক নাম। এর অর্থ হলো—হে দানকারী। এই নামটি বারবার পাঠ করার দ্বারাও দ্রুত চাকরি মিলবে ইনশাআল্লাহ।

সূত্র : দ্য ইসলামিক ইনফরমেশন

ওকে/এমএইচ

Comment

লেখক পরিচিতি

জাহিদ হাসান মিলু

আমি জাহিদ। সরকাারি কাগজপত্রের জাহিদুল ইসলাম থেকে বেসরকারি কাগজপত্রে জাহিদ হাসান মিলু- নামের এই বিচিত্র পরিবর্তনের পেছনে একটা মিষ্টি গল্প আছে।
জন্মেছি গোপালগঞ্জ জেলার অখ্যাত গ্রাম প্রশন্নপুরে, ১৯৯৬ সালের ডিসেম্বরে। কী এক বিশেষ কারণে যেন কাগজকলমে বয়েস কমিয়ে আমাকে আরও তিনবছরের ছোটো করে রাখা হয়েছে। বাবা মা দুজনেই অক্ষর না শিখেও আমার জীবনের শ্রেষ্ঠতম স্বাক্ষর হয়ে আছেন।
অবুঝ বয়েসে পারিবারিক স্বপ্নের কারণে ভর্তি হতে পেরেছিলাম মাদ্রাসায় , আলহামদুল্লিলাহ। জীবনের সবথেকে বড় পারিবারিক গিফ্ট ছিল এটা আমার জন্য। কুরআন পড়তে শিখলাম, মুখস্থ করতে পারলাম। অর্থ জানলাম এবং ব্যাখ্যাও পড়লাম।
আমাদের পাড়ার মাদ্রাসা কুলিয়ার ভিটায় পড়ার সময় ধর্মের প্রতি আমাদের ভেতরে যে বীজটা রোপিত হয়েছিল, সেটা ডালাপাল মেলে খোলা হাওয়ায় বেড়ে ওঠার সুযোগ পায় প্রাণের প্রতিষ্ঠান এরাবিল মডেল মাদ্রাসায়। তারপর? তারপর আর কি- এখন পড়াশোনা করছি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জার্নালিজম বিভাগে।
দায়ী হওয়ার স্বপ্ন আমার সবথেকে বড় স্বপ্ন। স্বপ্নটি পূরণ করতেই পড়ছি, শুনছি, দেখছি, শিখছি এবং অপেক্ষা করছি।