প্রকৃতিতে শুরু হয়েছে শীতের প্রবাহ। সকালবেলা দরোজা খুলতেই একঝাঁক কুহেলিবিন্দু শীতলতার পরশ বুলিয়ে যায়...
লেখক- মোস্তফা কামাল গাজী
লেখক- তরুণদীপ্ত, সব্যসাচী ও প্রতিভাবান লেখক মোস্তফা কামাল গাজী ছোটবেলা থেকেই সাহিত্যানুরাগী। তিনি গাজীপুর জেলার টংগী থানাধীন মারুকা গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। পিতা মতিউর রহমান ও মাতা মিনারা বেগমের পঞ্চম সন্তান তিনি। পাঁচ ভাই-বোনের মধ্যে তিনি সবার ছোট। প্রাথমিক শিক্ষা নিজ গ্রামের প্রাইমারি স্কুলে সমাপন করে নিজ দাদার অন্তিম ইচ্ছায় ভর্তি হোন গ্রামের কওমি মাদ্রাসায়। লেখক হয়ে ওঠার গল্প সেখান থেকেই। ইসলামি ম্যাগাজিনের দারুণ ভক্ত ছিলেন। পত্রিকার প্রতিটি লেখা তাকে মুগ্ধ করতো। স্বপ্ন দেখতেন পত্রিকার লেখকদের মতো তিনিও লিখবেন৷ কিন্তু তিনি গ্রামের মাদ্রাসায় বাংলা বইয়ের অপ্রতুলতা প্রচণ্ডভাবে অনুভব করেন। তাই টংগীর জামিয়া উসমানিয়া দারুল উলুম সাতাইশ মাদ্রাসায় ভর্তি হয়ে যান। মাদ্রাসায় 'সাহিত্য সংসদ' নামে একটি সংগঠন থাকায় সাহিত্যের জগতে বেশ উপকৃত হোন৷ সাহিত্যেরস সমৃদ্ধ নানা বইয়ে বুঁদ হয়ে থাকতেন পড়ার ফাঁকে ফাঁকে। এরপর একটু আধটু লিখতে শুরু করেন৷ মনের কথাগুলো সাজিয়ে আঁকতেন সাদা কাগজে। উস্তাদগণের সহযোগিতায় মাসিক পত্রিকাগুলোতে লেখা পাঠানো শুরু হয় একসময়। একে একে লেখাগুলো ছাপার অক্ষরে আসতেও থাকে। দাওরা হাদিস এ মাদ্রাসায় শেষ করে পাড়ি জমান উম্মুল মাদারিস দারুল উলুম দেওবন্দে। দাখেলা পরীক্ষায় কৃতিত্বের সঙ্গে উত্তীর্ণ হয়ে ভর্তি হয়ে যান। বিশিষ্ট প্রবাসী লেখকদের সঙ্গে পরিচিত হয়ে লেখালেখিতে নতুনত্ব আনার প্রয়াস পান। সেখানে প্রতি সপ্তাহে অনুষ্ঠিত 'সাহিত্য সন্ধ্যা' থেকেও প্রচুর উপকৃত হোন। একযোগে দৈনিক কালের কণ্ঠ, সমকাল, প্রথম আলো, নয়া দিগন্ত, ইনকিলাব, ইত্তেফাক, যুগান্তর, আলোকিত বাংলাদেশসহ দেশের শীর্ষস্থানীয় পত্রিকাগুলোতে লিখতে থাকেন। প্রবন্ধ, গল্প, ছড়া, ফিচার লিখে বেশ সুনাম অর্জন করেছেন ইতোমধ্যে। দেওবন্দ থেকে দাওরা পুনরায় সমাপ্ত করে দারুল উলুম আগ্রায় ইফতা বিভাগে ভর্তি হোন। সেখান থেকে কৃতিত্বের সঙ্গে ইফতা শেষ করে দেশে ফিরে আসেন৷ বর্তমানে তিনি ঢাকা জেলার সাভার উপজেলার একটি কওমি মাদ্রাসায় শিক্ষকতার দায়িত্ব পালন করছেন৷ সঙ্গে লেখালেখিটাও ধরে রেখেছেন নেশা ও পেশা হিসেবে।