দিবস বিধান

আরবি ভাষা দিবস কী এবং এ দিবসটি কেন পালন করা হয়?

বিশ্ব আরবি ভাষা দিবস বা আন্তর্জাতিক আরবি ভাষা দিবস। প্রতি বছর ১৮ই ডিসেম্বর এই দিবসটি পালিত হয়। জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৩১৯০ নং সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ২০১০ খ্রিষ্টাব্দে এই দিনে বিশ্ব আরবি ভাষা দিবস উদযাপনের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়। কারণ ১৯৭৩ খ্রিষ্টাব্দের এই দিনে জাতিসংঘের আনুষ্ঠানিক ভাষা এবং জাতিসংঘের দাপ্তরিক কার্যক্রম সমূহের ব্যবহারিক ভাষা হিসেবে গৃহিত হয়।

কুরআনের ভাষা আরবি। রাসুলের (সা.) মাতৃভাষা ছিল আরবি। মুসলমানদের হৃদয়ের সম্মানিত ভাষা আরবি। প্রায় চবিবশ কোটি মানুষের মাতৃভাষা আরবি। আরিব ভাষার এর গুরুত্ব অপরিসীম। প্রতিটি মুসলমানকেই অন্তত তার ইবাদত পরিশুদ্ধ করতে আরবি ভাষা শিখতে হয়। তাই এ ভাষার প্রতি মুসলমানদের ভালোবাস সীমাহীন। বলা হয়ে থাকে, জান্নাতের ভাষাও হবে আরবি।

অন্যদিকে সেমেটিক ভাষাগোত্রের মাঝে অনন্য এক অবস্থান নিয়ে আছে আরবী ভাষা। শুধু সেমেটিক ভাষাগোষ্ঠিই নয়, পৃথিবীর সকল ভাষার মাঝে আরবী ভাষার রয়েছে সবচেয়ে উচ্চ ও উন্নত আসন। তাই বলা যায় আরবী ভাষা কালজয়ী ভাষা। কালের প্রবাহ কখনো এর মৌলিক বৈশিষ্ট্যকে ক্ষুণ্ণ করতে পারেনি। এই ভাষা স্থিতিশীল ও গতিশীল।

পৃথিবীর সকল ভাষাতেই কোনো না কোনো সময় এসেছে ব্যাপক পরিবর্তন। কিন্তু আরবী ভাষা আল্লাহর বিশেষ ব্যবস্থাপনায় রয়েছে অপরিবর্তনীয় ও অবিকৃত।

Comment

লেখক পরিচিতি

গাজী সানাউল্লাহ রাহমানী

তরুণ আলেম ও মিডিয়া ব্যক্তিত্ব গাজী সানাউল্লাহ রাহমানী। বাংলাদেশের টেলিভিশনের ধর্মপ্রাণ দর্শক-শ্রোতাদের কাছে অত্যন্ত জনপ্রিয় একটি নাম। মিডিয়ার সাথে সম্পৃক্ততা ছাত্রজীবন থেকে। বিগত এক দশকের বেশী সময় ধরে বাংলাদেশের স্যাটেলাইট চ্যানেলের ইসলামী অনুষ্ঠানসমূহে সরব অংশগ্রহণ করে আসছেন তরুণ এই স্কলার। এছাড়া সাউদি আরবের বিখ্যাত চ্যানেল আল মক্কা টিভি, নিউয়র্কের টাইম টেলিভিশন ও মধ্যপ্রাচ্যের জনপ্রিয় চ্যানেল আল মাজদের সাথেও কাজ করে অভিজ্ঞতাকে করেছেন বর্ণময়।
কাজের স্বীকৃতি হিসেবে সন্মানিত হয়েছেন সাউদি সরকারের বিশেষ মেহমান হিসেবে আমন্ত্রিত হয়ে। পেয়েছেন পবিত্র কাবার মহামান্য ইমামের পক্ষ থেকে শুভেচ্ছা ক্রেষ্ট। এছাড়াও পেয়েছেন জাগৃতি লেখক ফোরাম সম্মাননা। কোরআন-সুন্নাহ মাল্টিমিডিয়া সন্মাননা। শাহে মদিনা শিল্পী গোষ্ঠি সন্মাননা। মারকাযুত তাহফিজ মিডিয়া পদক। ঐশিস্বর মিডিয়া পদক। ঢাকাস্থ সাউদি দুতাবাসের ধর্মীয় অনুষদ কর্তৃক দায়ী ও খতিব সন্মাননা সনদ।
সাধারণ মানুষের মাঝে ইসলামী অনুশাসনের ব্যাপক প্রচারের লক্ষ্যে কাজ করছেন নানাবিধ প্রতিষ্ঠানে। তরুণ ও অভিজ্ঞ শরিয়াহ বিশেষজ্ঞদের নিয়ে প্রতিষ্ঠা করেছেন শরিয়াহ রিসার্চ ইনস্টিটিউট বাংলাদেশ। ইসলামী অর্থনীতি ও হালাল প্রসাধনীর বিষয়ে শিকড়ের গভীরে গিয়ে কাজ করছে তিনি। সম্প্রতি ভারতে অনুষ্ঠিত আন্তর্জাতিক ফেকাহ সেমিনারে বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করে প্রশংসিত হয়েছেন।
খতিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন হাজী মফিজুর রহমান ট্রাস্ট, মোহাম্মদী হাউজিং সোসাইটি, মোহাম্মদপুর, ঢাকার কেন্দ্রীয় মসজিদ ও ইসলামী কমপ্লেক্স। পাশাপাশি বাংলাদেশ সরকারের ধর্ম মন্ত্রণালয়ের অধীনে ঢাকাস্থ হজ ক্যাম্পের হজ প্রশিক্ষক হিসেবে নিয়োজিত আছেন। শিশুদের কোরআনী শিক্ষার জন্য প্রতিষ্ঠা করেছেন মাদরাসাতুল কোরআন। দেশের নানা প্রান্তে দ্বীনি আলোচনার পাশাপাশি ইসলামকে বিষয় হিসেবে ধারণ করে লেখালিখি করছেন জাতীয় দৈনিক পত্রিকায়।

কমেন্টস করুন