আন্তর্জাতিক সংবাদ

১১৯ বছর পর নামাজ হলো যে মসজিদে

লিখেছেন তানজিল আমির

অটোমান যুগে (উসমানীয় খেলাফতের সময়) নির্মিত তুরস্কের পূর্বাঞ্চলীয় এলাজিগ প্রদেশের একটি মসজিদ দীর্ঘ ১১৯ বছর পর পুনরায় খুলে দেয়া হয়েছে। বুধবার নামাজ আদায়ের মাধ্যমে স্থানীয় প্রশাসন আনুষ্ঠানিকভাবে মসজিদটি উদ্বোধন করেন। ৪৫০ বছর আগে নির্মিত দাবাখান মসজিদ বিগত ১১৯ বছর বন্ধ ছিল। বন্ধ থাকা এ মসজিদটি এর আগে পরিত্যক্ত ঘোষণা করা হয়েছিল। হারপুত জেলা কর্তৃপক্ষ ঐতিহ্যবাহী দাবাখান মসজিদ পুনর্নির্মাণের লক্ষ্যে ব্যাপক সংস্কার করে।

দীর্ঘ সময় পর চালু হওয়া মসজিদদে নামাজ আদায় করে হারপুত জেলার মেয়র মুকাহিত ইয়ামলমাজ সাংবাদিকদের বলেন, তারা হারপুতের চার হাজার বছরের সভ্যতা ও সংস্কৃতির সঙ্গে যুক্ত হয়ে একটি ঐতিহাসিক দিনের সাক্ষী হয়ে থাকলেন।তিনি বলেন, ‘দাবাখান মসজিদটি ১১৯ বছর পর পুনরায় চালু হওয়ায় আমরা গর্বিত।’

সপ্তদশ শতকের অটোমান স্থাপত্যের নিদর্শন এ মসজিদটি হারপুত দুর্গের উত্তর-পূর্বে অবস্থিত। বড় একটি একক গম্বুজ বিশিষ্ট ২৫ বর্গফুটের এ মসজিদটি। ধারণা করা হয়, কয়েক শতাব্দী আগে দাবখানে মসজিদটি ঐতিহাসিক সিল্ক রোডের যাত্রীরা নামাজ আদায়ের জন্য ব্যবহার করতেন। ঐতিহাসিক হারপুত শহর প্যালিওলিথিক যুগে ফিরে যাওয়া প্রাচীন বসতিগুলোর আবাসস্থল। ২০১৮ সালে ইউনেস্কোর বিশ্ব ঐতিহ্যবাহী তালিকায় এ শহরকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়।

সৌজন্যে : যুগান্তর অনলাইন

Comment

লেখক পরিচিতি

তানজিল আমির

তরুণ লেখক, আলেম ও গবেষক। আলোচিত সাপ্তাহিক 'লিখনী'তে ফিচার লেখক হিসেবে শুরু করেছিলেন মিডিয়ায় পথচলা। এরপর দৈনিক যুগান্তরের 'ইসলাম ও জীবন' পাতায় নিয়মিত প্রদায়ক হিসেবে কাজ করেন। সার্টিফিকেট নাম ‘আমির উদ্দিন তানজিল’ হলেও লেখক হিসেবে তানজিল আমির নামটিই পরিচিতি পেয়ে যায়।
প্রবন্ধ, কলাম ও বৈচিত্রময় নানা ফিচার লিখেছেন বিভিন্ন জাতীয় দৈনিকে। লেখালেখির পাশাপাশি গবেষণা ও ইতিহাস বিষয়ে কাজ করতে আগ্রহী তরুণ এই লেখক । তার লেখা রেফারেন্স হিসেবে উদৃত হয়েছে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক বিভিন্ন বইয়ে।
সাক্ষাৎকার গ্রহণে তার রয়েছে বিশেষ আগ্রহ। তার নেওয়া গুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন ব্যক্তির সাক্ষাৎকার লিড হয়েছে বিভিন্ন জাতীয় দৈনিকে। বর্তমানে দৈনিক যুগান্তরের সহ-সম্পাদক হিসেবে কাজ করছেন তানজিল আমির।