জাতীয় সংবাদ

শবে বরাতের তারিখ নিয়ে বিভ্রান্তি নিরসনে ১০ সদস্যের কমিটি গঠন

শবে বরাতের তারিখ নিয়ে বিভ্রান্তি তৈরি হওয়ায় ১০ সদস্যের কমিটি করা হয়েছে। ১৭ এপ্রিলের মধ্যে কমিটি তাদের সিদ্ধান্ত জানাবে। শনিবার (১৩ এপ্রিল) জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটির জরুরি সভা শেষে এসব তথ্য জানান ধর্ম বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ও জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটির সভাপতি শেখ মোহাম্মাদ আব্দুল্লাহ।

শনিবার (১৩ এপ্রিল) সকাল ১১টায় ইসলামিক ফাউন্ডেশন বায়তুল মোকাররম সভাকক্ষে বিশেষ সভার আয়োজন করছে জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটি। সভার সভাপতিত্ব করেন ধর্ম বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ও জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটির সভাপতি শেখ মো. আব্দুল্লাহ। শবে বরাতের তারিখ নিয়ে বিভ্রাট হয়েছে বলে দাবি করে মজলিসু রুইয়াতিল হিলাল নামের একটি সংগঠন। সংগঠনটির প্রতিনিধিরা এ সভায় উপস্থিত ছিলেন। সভা শেষে শেখ মোহাম্মাদ আব্দুল্লাহ বলেন, ‘চাঁদ দেখা কমিটিতে আলেম, আবহাওয়া অধিদফতরসহ সশ্লিষ্টরা রয়েছেন। সবার পরামর্শে চাঁদ দেখা কমিটি সিদ্ধান্ত জানাবে। কিন্তু কিছু গোষ্ঠী এ সিদ্ধান্তের আপত্তি জানাচ্ছে। তাদের উদ্দেশ্য সৎ বলে বিবেচিত মনে হচ্ছে না। তারপরও বিভ্রান্তি দূর করতে ১০ সদস্যের একটি কমিটি করা হয়েছে। কমিটি ১৭ এপ্রিলের মধ্যে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত জানাবেন।’

কমিটির আহ্বায়ক মাওলানা আব্দুল মালেক। কমিটিতে রয়েছেন মাওলানা ফরীদ উদ্দীন মাসঊদ, মাওলানা আব্দুল কুদ্দুস, মাওলানা রুহুল আমীন, মাওলানা মিজানুর রহমান, মাওলানা আব্দুর রাজ্জাক, মাওলানা দেলোয়ার, মুফতি ফয়জুল্লাহ, বায়তুল মোকাররমের সিনিয়র পেশ ইমাম মিজানুর রহমান, মুফতি ইয়াহইয়া।

বাংলাদেশের আকাশে শনিবার (৬ এপ্রিল) হিজরি শাবান মাসের চাঁদ দেখা যায়নি বলে ঘোষণা দিয়েছিল সভাকক্ষে জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটি। সেদিন সন্ধ্যায় ইসলামিক ফাউন্ডেশন বায়তুল মোকাররম সভাকক্ষে জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটির সভা শেষে জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটির সভাপতি ও ধর্ম বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী শেখ মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ জানিয়েছিলেন, ২১ এপ্রিল দিবাগত রাতে সারাদেশে পবিত্র লাইলাতুল বরাত বা শবে বরাত পালিত হবে। তবে মজলিসু রুইয়াতিল হিলাল দাবি করছে, ৬ এপ্রিল বাংলাদেশের আকাশে শাবন মাসের চাঁদ দেখা গিয়েছে। সংগঠনটির দাবি,ভুল তারিখে পবিত্র শবে বরাতের তারিখ ঘোষণা করা হয়েছে।

Comment

লেখক পরিচিতি

মুহাম্মদ ছফিউল্লাহ হাশেমী

মুহাম্মদ ছফিউল্লাহ হাশেমী— প্রাবন্ধিক ও শিক্ষক। জন্ম ০১ মার্চ, ১৯৮৪। কুমিল্লা জেলার দেবিদ্বার উপজেলাধীন বেতুয়া গ্রামে জন্ম এবং বেড়ে উঠা। পিতা কুমিল্লা জেলার প্রখ্যাত ওয়ায়েজ ও মুফাসসিরে কুরআন মাওলানা আবুল হাশেম (রহ.)।
কুমিল্লা জেলার ঐতিহ্যবাহী দীনি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ধামতী ইসলামিয়া কামিল মাদরাসা থেকে দাখিল, আলিম, ফাজিল ও কামিল পাশ করেন। পাশাপাশি কওমি শিক্ষাধারায়ও কিছুদিন পড়াশুনা করেছেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগ থেকে স্নাতক (সম্মান) ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রি লাভ করেন। একই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এমফিল ডিগ্রিও অর্জন করেন।
দীর্ঘদিন যাবত দেশের বিভিন্ন জাতীয় দৈনিক ও অনলাইন পোর্টালে লিখছেন। বর্তমানে একটি বেসরকারি কলেজে সহকারী অধ্যাপক হিসেবে কর্মরত আছেন।