ফিচার ভিডিও

জাপানের সেরা পাঁচ মসজিদ

‘সূর্যোদয়ের দেশ’ হিসেবে জাপানের একটা আলাদা পরিচিতি রয়েছে। জাপান বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম অর্থনীতির দেশ। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে বিপর্যয়ের পরও বিংশ শতাব্দীর শেষ ভাগে দারুণ অগ্রগতি অর্জন করে দেশটি। আন্তর্জাতিক অঙ্গনে জাপানের ভূমিকা বেশ গুরুত্বপূর্ণ।


বিশ্বের অন্যতম প্রধান দাতা দেশ জাপান। সব কিছুর সঙ্গে মিলে মিশে একাকার হয়ে আছে জাপানের মুসলিম ঐতিহ্য। বেশ কিছু নজরকাড়া মসজিদও রয়েছে জাপানে।


জনসংখ্যার দিক থেকে বিশ্বে অন্যতম বৃহৎ এই দেশটির মানুষ মূলত চারটি দ্বীপের শহরগুলোতে বসবাস করে। প্রশান্ত মহাসাগরে অবস্থিত পূর্ব এশিয়ার দ্বীপরাষ্ট্র ছয় হাজার ৮৫২টি দ্বীপ নিয়ে গঠিত। চারটি বড় দ্বীপ হনশু, হোক্কাইডো, কিওশু ও শিকোকুতেই দেশটির মোট আয়তনের ৯৭ শতাংশ।



বিশ্বের অন্যতম প্রধান দাতা দেশ জাপান। জাপানের ৭৫ থেকে ৮০ শতাংশ এলাকা পাহাড়ি। ভূমিকম্পপ্রবণ দেশ জাপান। তিনটি ট্যাকটোনিক প্লেটের ওপর অবস্থিত জাপানে বিশ্বের মোট ভূমিকম্পের ২০ শতাংশ অনুভূত হয়। দেশটিতে সর্বশেষ বড় ধরনের ভূমিকম্প হয় ২০১১ সালের মার্চে। এতে প্রায় ১৬ হাজার লোক নিহত হয়। ফুকুশিমার দেইচি পরমাণু প্রকল্প এই ভূমিকম্প ও এর থেকে সৃষ্ট সুনামিতে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। সব কিছুর সঙ্গে মিলে মিশে একাকার হয়ে আছে জাপানের মুসলিম ঐতিহ্য। বেশ কিছু নজরকাড়া মসজিদও রয়েছে জাপানে।



১. টোকিও জামে মসজিদ

এই মসজিদটি টোকিওর ওয়ামা চো ডিস্ট্রিক্টে অবস্থিত। এই মসজিদটি সর্বপ্রথম ১৯৩৮ সালে নির্মাণ হয়। এটি রাশিয়া থেকে আগত তাতার মুসলিমরা নির্মাণ করে। এটি বর্তমানে জাপানের সবচেয়ে বড় মসজিদ। এই মসজিদটির নির্মাণশৈলীতে অটোমান স্থাপত্যের প্রভাব রয়েছে। ১৯৮৬ সালে মসজিদটি বেশ পুরনো ও ভঙ্গুর হয়ে পড়লে এটি পুননির্মাণ করা হয়। এর সাথে তুর্কি কালচারাল সেন্টার রয়েছে।



২. ফুকুওকা আল নুর মসজিদ

এই মসজিদটি জাপানের কুইশো দ্বীপে অবস্থিত। ২০০৯ সালে এই মসজিদটি নির্মাণ হয়। এর সাথে একটি ইসলামিক সেন্টারও আছে। বয়স্ক ও শিশুদের জন্য পৃথক ও উন্মুক্ত কুরআন শিক্ষা, বিভিন্ন উপলক্ষ্যে সেমিনার ও ধর্মীয় আলোচনা এবং ইসলাম সম্পর্কে অমুসলিমদের ভুল ধারণা ও ভয়ভীতি দূরকরণসহ নানা ধরনের ইসলামী কার্যক্রম পরিচালনা করে থাকে এই ইসলামিক সেন্টার।



৩. কোবে মসজিদ

এটি জাপানের প্রথম মসজিদ। স্থানীয় মুসলিম কমিউনিটির সহায়তায় ১৯২৮ সালে এই মসজিদটির নির্মাণ কাজ শুরু হয়। তারপর ১৯৩৫ সালে এর নির্মাণ কাজ শেষ হয়। ১৯৪৩ সালে জাপান নৌবাহিনী একবার এই মসজিদটি বাজেয়াপ্ত করে নেয়। এখন অবশ্য এটি মসজিদ হিসেবেই চালু আছে। মসজিদটি জাপানের প্রথম মসজিদ হিসেবে এখনো ইতিহাসের পাতায় জায়গা করে  আছে।



৪.দারুল আরকাম মসজিদ

এই মসজিদটি জাপানের রাজধানী টোকিওতে অবস্থিত। এটি ১৯৯৮ সালে নির্মিত হয়। স্থানীয়ভাবে এই মসজিদটি আসাকুসা জামে মসজিদ নামে পরিচিত। মসজিদটি পরিচালনা করছে জাপান মস্ক ফেডারেশন (জে এম এফ)। এই সংস্থার অধীনে মসজিদটি বহুমুখী কার্যক্রম পরিচালনা করছে। সুন্নাহ সম্মত পদ্ধতিতে বিয়ে, ইসলামি লাইব্রেরী, ইসলামে দীক্ষিত করন ও মৃতদের গোসল দেয়াসহ বেশ কিছু কার্যক্রম এই মসজিদে পরিচালিত হয়।



৫. বাবুল ইসলাম মসজিদ


এই মসজিদটি ওয়ামা শহরে অবস্থিত। অনাড়াম্বর, ভাব গাম্ভীর্যপূর্ণ একটি মসজিদ। জাপানের অনেক মসজিদের মত এখানেও বহুমুখী কার্যক্রম পরিচালিত হয়।



 

Comment

লেখক পরিচিতি

আবু সাঈদ যোবায়ের

জন্ম কুমিল্লায়। পড়াশোনা করেছেন মাদ্রাসায়। বর্তমানে একটি বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত। সম্পন্ন করেছেন ইসলামিক ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক কর্তৃক আয়োজিত একাধিক আন্তর্জাতিক প্রশিক্ষণ। লেখালেখি করেন ছোট বেলা থেকেই। ইসলামী সভ্যতা, ইতিহাস মুসলিম বিশ্বের নানা ঘটনা প্রবাহ নিয়ে লেখেন নিয়মিত। আরবী ইংরেজি থেকে অনুবাদও করেন। ইসলাম প্রতিদিনের সাথে আছেন কন্ট্রিবিউটিং রাইটার হিসেবে।

কমেন্টস করুন